কালেমা পড়তে পারে নাকি...
বাহহহ...
এখন নাও ঠ্যালা !!!
হাইরে,মুসলিম তো শুধু তোমরাই আমরা তো নাস্তিক...!!!!
তোমরা আগে মানুষ হও,অমানুষদের জন্য ধর্ম না ...
বুঝার চেষ্টা করেন,এই দেশে বিতলামি কইরেন না... সুযোগ আছে চলে যান... নিজেকে মুসলিম বলে বলে টুপি পাঞ্জাবি পড়ে এইসব আজাইরা কাজ-কার্বার করে আমাদের ধর্মকে ছোট করতে যাইয়েন না...
আমরা কিন্তু শাহবাগে কম যাই দেখে মনে কইরেন না যে, শাহবাগে তো মানুষ নাই...
এই ভুল ধারনায় থাইকেন না...
আমরা বের হলে শাহবাগে আর বসে থাকতে বের হব না...
আমাদের তো নাস্তিক বলা হয়, যা খুশি তাই বলেন, তখন দেখবেন, এই ভণ্ড মুসলিমদের থেকে এই নাস্তিক গুলাই ইসলাম ধর্মকে বাঁচাবে এবং অন্য ধর্মের মানুষদের কাছে ইসলাম ধর্মকে ছোট হইতে দিবে না এবং আবার এই দেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ একটা রাষ্ট্রতে পরিনত করবে...
আপনাদের যথেষ্ট হয়েছে ,, আর ভণ্ডামি না করে, পাকিস্তান, আরফানিস্থান, লাদেনের লাশের স্থান যেইখানে খুশি চলে যান।
জয় বাংলা...জয় বাংলা...
বিপ্লবীদের জয় হোক...
কার্টেসিঃ (অর্ণব ওয়ারেস খান)
|| প্রেস রিলিজ ||
সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে আইসিএসএফ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে কিছু মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সাধনের উদ্দেশ্যে, এবং সামাজিক সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে সোচ্চার। 'হেফাজতে ইসলাম' নামের আড়ালে জামায়াত ইসলামীসহ এই দুষ্টচক্র সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের মহান স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও নারী জাগরণের উন্মেষ রোধে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আরো লক্ষ করছি যে সরকার এসব ধর্মীয় চরমপন্থী গোষ্ঠীকে সঠিকভাবে মোকাবিলায় ব্যার্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
আমরা হেজাফতে ইসলামসহ এই জাতীয় দলগুলোর তথাকথিত লংমার্চ এবং হরতাল কর্মসূচির নামে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রতিথযশা নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, এবং শাহবাগে অবস্থানরত তারুণ্যের উপর মৌলবাদীদের সুপরিকল্পিত হামলা ও আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটি মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তা, এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে নগ্ন আক্রমণ। আমরা মনেকরি, বাংলাদেশের একটি ক্রান্তিকালীন সময়ে যখন আপামর জনসাধারণ ১৯৭১ এ সংঘটিত যাবতীয় মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ, ও গণহত্যার বিচারের জন্য ঐক্যবদ্ধ, সেই সময়ে একটি চিহ্নিত মৌলবাদী গোষ্ঠির প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদে এ-ধরনের হিংসাত্মক আক্রমণ আমাদের আরো ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত করবে মাত্র।
আমরা জানি, এদেশের প্রগতিশীল আন্দোলনে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে জনাব শাহরিয়ার কবির এবং অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মতো ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা অনন্যসাধারণ। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশরত অবস্থায় তাঁদের ওপর ব্যক্তিগতভাবে এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমাবেশের উপর হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের আক্রমণ প্রমাণ করে যে উগ্র মৌলবাদী শক্তির কাছ থেকে আমরা কেউই নিরাপদ নই। এই আক্রমণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীর উপর বলেই আইসিএসএফ মনে করে।
দ্বিতীয়ত, পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত নারী সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ আমাদের উদার, প্রগতিশীল, এবং গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে এ-ধরনের মধ্যযুগীয় নৃশংসতা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত। সাহসী সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন সহ সকল সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা বাংলাদেশে মুক্তভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, আইসিএসএফ এই প্রত্যাশা করে। এই ঘৃণ্য আক্রমণ চলতে দেওয়া নারীমুক্তি ও একটি সুষম সমাজের বিকাশে অন্তরায়। বাংলাদেশের নারীদের উপর ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী চক্র এ-দেশকে একটি পশ্চাৎমুখী সমাজব্যবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করবো আগামি দিনগুলিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাতে পুরুষ এবং নারীর সমঅধিকারের ভিত্তিতে একটি সুষম সমাজের বিনির্মাণে বাধা প্রদানকারী কুচক্রীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে। পাশাপাশি আমরা ঘটনার সময় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বহীন আচরণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
তৃতীয়ত, আমরা উৎকণ্ঠিত হয়ে লক্ষ করছি যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিশিষ্ট প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকেও সাম্প্রতিক সময়ে হুমকি ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। দুই দফায় তাঁর বাসায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলেছে এবং তাঁর নিকটাত্মীয়দের নানান ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আইসিএসএফ মনে করে এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এই বিচারের সাথে জড়িত সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিত চলমান একটি প্রক্রিয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুধু একটি গণদাবি নয়, এটি মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতি আমাদের একটি পবিত্র দায়িত্ব। এই তাৎপর্যপূর্ণ কাজে যাঁরা নিয়োজিত আছেন তাঁদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
চতুর্থত, হেফাজতে ইসলামের মঞ্চ থেকে মুক্তচিন্তার চর্চাকারি ব্লগার এবং গণজাগরণ মঞ্চের উপর বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, তাঁদের নাস্তিক বলে অভিযুক্ত করা, এবং তাঁদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষার ব্যবহার একটি গণতান্ত্রিক সমাজে কাম্য হতে পারে না। আইসিএএসএফ হেফাজতে ইসলামের এই অবস্থানকে তীব্রভাষায় নিন্দা জানাচ্ছে এবং মনে করছে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে সকল ধরনের মুক্তচিন্তার চর্চা হুমকির সম্মুখীন হবে। আমরা আশা করি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারের দায়িত্বশীল মহল সাংবাদিক এবং মুক্তিযদ্ধের পক্ষের সকল ব্যক্তি ও সংগঠনের নিরাপত্তা বিধানে ভবিষ্যতে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
আইসিএসএফ বিশ্বব্যাপী ১৩টি ভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে ২০০৯ সালে গঠিত একটি ফোরাম, যারা ১৯৭১ সালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান, আইনের শাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭১ সালে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়। এই ক্রান্তিলগ্নে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিতে একতাবদ্ধ অবস্থান এবং আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে আইসিএসএফ মনে করে।
নিবেদনক্রমে,
আইসিএসএফ
লণ্ডন, যুক্তরাজ্য; ৮ এপ্রিল ২০১৩
শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ updated their cover photo.
অরাজনৈতিক মহাসমাবেশের রাজনৈতিক প্রভাব
আমি একজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আমার জন্ম মদিনায়। আমার জন্মের পর ৭ টি বছর আমি কাটিয়েছি এই পুণ্যভূমিতে। এখনও আমার জমজম কূপের সেই শীতল পানি খাওয়ার কথা মনে পড়ে, সাফা মারওয়ায় দৌড়ানোর কথা মনে পড়ে, আব্বুর সাথে হেরেম শরিফে নামাজ পড়ার কথা মনে পড়ে, চার বছর বয়সেই কুরআন শরীফ পড়ার কথা মনে পড়ে। মাঝে নামাজে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম, তবে আল্লাহ্র রহমতে সম্প্রতি আবারও নিয়মিত নামাজ পড়ছি। আমি নিজেকে মুমিন বান্দা সার্টিফাইড করার জন্য এগুলো বলছিনা, তবে আল্লাহ্র ওয়াস্তে কেউ আমাকে নাস্তিক, মুরতাদ, ধর্ম ব্যবসায়ী বলে ট্যাগ দিয়েন না, আমি কাফির না মুমিন তা নির্ধারণ করবেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা।
যাই হোক, এই মুহূর্তে হেফাজতে ইসলাম হচ্ছে টক অফ দ্যা কান্ট্রি। দেশব্যাপী বিরাজ করছে চরম উত্কণ্ঠা। দেশে কী ঘটতে যাচ্ছে—এ নিয়ে জনমনে শঙ্কার পাশাপাশি চলছে নানা বিশ্লেষণ ও আলোচনা-সমালোচনা। একজন মুসলমান হয়েও কেন আমি হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির বিপক্ষে তা ক্লিয়ার করতে চাচ্ছি।
# প্রসঙ্গঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং হেফাজতে ইসলাম
ইসলামের দৃষ্টিতে মাফ নেই যুদ্ধাপরাধীদের। পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার ৪৫ নং আয়াতে এবং সূরা বাক্বারা আয়াত নম্বর ১৭৮, ১৭৯ থেকে জানা যায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্ষতিগ্রস্থের পরিবার অপরাধকারীকে ক্ষমা না করে ততক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীর গুনাহ মাফ হচ্ছে না এবং অপরাধীর বিচার করতে হবে ক্ষতিগ্রস্হদের উপর কৃত অপরাধের ভিত্তিতেই। আর যারা এই বিচার মানবে না তারা গণ্য হবে জালিম হিসেবে।
কিন্তু দেখুন, ১৫ই মার্চ চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবি উঠেছে। খোলসের উন্মোচন হয়ে গেছে তখনই, তাই নয় কি ?
তারা যদি সত্যিকারার্থে ইসলামের সেভিওর হয়ে থাকতেন, তাহলে তাদেরকে জামায়াতে ইসলামের ব্যাপারে তারা কঠোর হতেন। যিনি মনেপ্রাণে মুসলিম, তিনি কখনই জামায়াত শিবিরকে সাপোর্ট করতে পারেন না। জামায়াত শিবিরের মত উগ্র ধর্মান্ধ দলই পারে ধর্মের অপব্যবহার করতে, ধর্মকে পুঁজি করে ক্ষমতা আরোহণের নির্লজ্জ চেষ্টায় নিমজ্জিত হতে। হাতের রগ কাটা, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট থেকে এমন কোন লোমহর্ষক কাজ নেই যা তারা করেনি। ৭১ এ এমন কাজ তারা করেছে, যা কোনভাবেই ইসলামপন্থী হতে পারেনা।
কিন্তু কই কোথাও তো হেফাজতে ইসলামকে জামায়াতে ইসলামের বিপক্ষে কিছু বলতে দেখলাম না। তাহলে কি ধরে নিব আমরা ???
## প্রসঙ্গঃ কুরআনের আয়াতসমগ্র এবং হেফাজতে ইসলাম
"...যারা ধর্ম সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন কাজের দায়িত্ব তোমার নেই, তাদের বিষয় আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।..." –আল কোরআন (সুরা আনআমঃ১৫৯)
"...ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই। সৎ পথ ভ্রান্তপথ থেকে সুস্পষ্ট হয়েছে।..." –আল কোরআন (সুরা বাকারাঃ২৫৬)
"...(ধর্ম সম্পর্কে) বিদ্রূপকারীদের বিরুদ্ধে আমিই (আল্লাহ) আপনার জন্য
যথেষ্ট..." –আল কোরআন (সুরা হিজরঃ৯৫)
"...যদি তারা আত্মসমর্পণ (আল্লাহর কাছে) করে তবে নিশ্চয়ই তারা পথ পাবে। আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কাজ তো কেবল প্রচার করা। আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে সকল বান্দা।"–আল কোরআন
(সুরা আল ইমরানঃ২০)
"...তারপর ওরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কর্তব্য তো শুধুমাত্র স্পষ্ট বাণী পৌঁছে দেয়া..."–আল কোরআন (সুরা নাহলঃ৮২)
"...তুমি মানুষকে হিকমত ও সৎ উপদেশ দিয়ে তোমার প্রতিপালকের (আল্লাহর)পথে ডাক এবং তাদের সাথে ভালভাবে আলোচনা কর। তাঁর (আল্লাহর) পথ ছেড়ে যে বিপথে যায় তার সম্পর্কে আল্লাহ্ই ভাল জানেন, আর যে সৎ পথে আছে তা-ও তিনিই ভাল করে জানেন"
– আল কোরআন (সুরা নাহলঃ১২৫)
"...তোমাদের কাজ তো কেবল প্রচার করা, আর হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ..." –আল কোরআন (সুরা রাদঃ৪০)
"...আর তোমাদের এই যে জাতি (মানবজাতি), এ তো একই জাতি। আর আমিই (আল্লাহ্) তোমাদের প্রতিপালক। তাই আমাকেই ভয় কর। কিন্তু তারা (মানুষ) নিজেদের বহু ভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট। সুতরাং ওদেরকে কিছু কালের জন্য বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।" –আল কোরআন (সুরা মুমিনুনঃ৫২-৫৪)
"...আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারিত করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে... তুমি ওদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক... ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে তবে বল, 'তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ্ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন..." –আল কোরআন (সুরা হজঃ৬৭-৬৯)
হেফাজতে ইসলামের কি করা উচিত আর কি করছে তা এবার আপনাদের বিবেচনার দায়িত্ব আপনাদের হাতে ছেড়ে দিলাম।
### প্রসঙ্গঃ তাদের ১৩ দফা দাবীর মাঝে ৩টি দাবীর ব্যাপারে আমার বক্তব্য।
আমার বক্তব্য - কোনটি মূর্তি আর কোনটা ভাস্কর্য সেটা আগে বুঝতে হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের দেব-দেবীর মূর্তির পূজো করেন। কিন্তু অপরাজেয় বাঙলা'র মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী ভাস্কর্যকে আমরা পূজো করিনা। এগুলো আমাদের দেশের সম্পদ, আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। এগুলো ধ্বংস করতে চায় হেফাজত- কিসের ভিত্তিতে, কোন যুক্তিতে ?
তাহলে সৌদি আরবে অবস্থিত উটের 'মূর্তি'; ইসলামি রাষ্ট্র ইরানে অবস্থিত কবি শেখ সাদি, কবি ওমর খৈয়াম ও মহাকবি ফেরদৌসির 'মূর্তি' নিয়ে তারা কিছু বলে না কেন ?!? নাকি ওখানে আমাদের চেয়ে কেউ ইসলাম কম বুঝে ?
২) ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
আমার বক্তব্য- কোনটা বিজাতীয় সংস্কৃতি তা হেফাজতি নেতারা সঠিক ভাবে জানেন কি?আরব দেশের পোশাক ,খাবার,সংস্কৃতি কিভাবে বাঙ্গালির জাতীয় সংস্কৃতি হবে তার উত্তর তারা কিভাবে দিবেন?? এই উত্তর দিতে গেলেই তারা তাদের ধর্ম বিশ্বাস এর অবতারনা করবেন !
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ লিঙ্গ নিরপেক্ষভাবে নারী পুরুষ সবাইকে সমান নাগরিক অধিকার দিতে বাধ্য। এদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটা বড় অংশই নারী, যারা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করে এদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করছে। হেফাজতের দাবি মেনে নিলে তাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। হেফাজতের দাবি মেনে নিলে এদেশের নারীরা রাজনীতি করার অধিকার হাড়াবে। খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, মতিয়া চৌধুরি, পাপিয়া এরা রাজনীতি করতে পারবেন না। আর বিজাতীয় সংস্কৃতি ? তাহলে তো বাংলাদেশ থেকে মার্কিন নাস্তিক মার্ক জুকারবার্গের উদ্ভাবিত ফেসবুক নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বাংলাদেশের যারা যারা নাস্তিক জুকারবার্গের ফেসবুক ব্যবহার করে, তাদেরও বিচার করতে হবে।
হেফাজতে ইসলামের দাবি মেনে নিলে শিশু বয়সের এই উচ্ছলতা আর থাকবেনা। চিন্তা করলেই শিউরে উঠতে হয় !
৩) কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
আমার বক্তব্য- শাহবাগে আস্তিক, নাস্তিক, হিন্দু, মুসলমান সকলেই এসেছিলেন। ঠিক যেমন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেছিলেন সকল ধর্মের অনুসারীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। ধর্মের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ককে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। যার যার ধর্ম তার তার; কিন্তু রাষ্ট্র সকলের। আবার যারা ব্লগার সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখেন না, তারা ব্লগার রাজীবকেই শাহবাগ আন্দোলন হিসেবে বিবেচনা করছেন, কিন্তু এই অথর্ব দাবীর সাথে আমরা একমত নই। শুরুর দিকে শাহবাগে সমন্বয়হীনতার কারণে নানা সমস্যা হলেও, পরবর্তীতে কিন্তু ঠিকই আযানের সময় মাইক বন্ধ করে রাখা হত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের প্রত্যেকটিতে। প্রতিটি সমাবেশেও কিন্তু ঠিক তাই করা হয়েছে। কিন্তু সেদিনও সুমিষ্ট ভাষায় গোলাপি বেগম বক্তৃতা দিয়েই চলেছিলেন আযানের সময়, কই হেফাজতে ইসলাম তো এই নিয়ে কিছু বলেনা !! একজন মুসলমান হিসেবে আমি চাই আমার নবীকে নিয়ে যে কুৎসা রটনা করবে তার সর্বোচ্চ বিচার হউক। কিন্তু আমি এটাও বিশ্বাস করি, কি বোর্ডের জবাব হবে কিবোর্ডের মাধ্যমে, যুক্তির জবাব যুক্তিতে, আবেগের জবাব আবেগে। আমার ধর্মবিশ্বাস এতটা ঠুনকো না যে কেউ কিছু বললেই আমার ধর্মবিশ্বাস টলে যাবে।
প্রসঙ্গঃ লং মার্চ নিয়ে ভ্রান্তির সৃষ্টি
লং মার্চ নাস্তিকদের কর্মসুচি কিনা এই প্রশ্নের জবাবে ইসলামের হেফাজতকারী আল্লামা শফী বলেন-" হযরত মুহাম্মদ (সা।)মক্কা থেকে মদীনা পর্যন্ত লং মার্চ করেছিলেন। " নাউজিবুল্লাহ...
হিজরত শব্দের অর্থ-— দেশান্তর বা মাতৃভূমি ত্যাগ। উল্লেখ্য বিধর্মীদের অত্যাচারের কারণে মুসলমানরা ধীরে ধীরে মক্কা থেকে মদিনায় চলে যান। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহ'র নির্দেশ আসার পর, তিনি হজরত আলী-কে ডেকে, তাঁরে শয্যার উপর চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতে নির্দেশ দেন এবং রাতের অন্ধকারে হজরত আবু বকর সিদ্দিকী (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে মক্কা ত্যাগ করেন।
লং মার্চের প্রবর্তক নাস্তিক কমিউনিস্ট মাও সে তুং। হিজরতের সাথে মাও সে তুং এর লং মার্চ তুলনা করে ঈমাম শাফি আপনি নিজেই ইসলাম ধর্মানুসারী কয়েক কোটি মানুষের ধর্মানুভূতি তে আঘাত হানলেন। আপনি কিভাবে ইসলামের হেফাজাত এর দায়িত্ব নিলেন !
তারা বলছেন পৃথিবীর প্রথম লংমার্চ পরিচালিত হয় মহানবী (স.)-এর নেতৃত্বে। তারা বলছেন লং মার্চ মানে দীর্ঘ যাত্রা। তাহলে হযরত মুসা (আঃ) তার পুরা কওম নিয়ে যে নীল নদ পারি দিলেন সেই যাত্রা কে কি বলা হবে ? সেটা ও ত দীর্ঘ যাত্রা ছিল । তাই নয় কি ?
প্রসঙ্গঃ ব্লগার নিয়ে ভ্রান্তি
প্রশ্নঃ ব্লগ কি?
উত্তরঃ 'ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায়।'
উত্তরদাতাঃ মতিঝিল শাপলা চত্বরে মাওলানা মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ্।
প্রশ্নঃ ব্লগ কি ?
উত্তরঃ ইন্টারনেটে কোনও 'নাফরমানি' কাজই হচ্ছে 'ব্লগ'।
উত্তরদাতাঃ ময়মনসিংহের জামিয়া মাদ্রাসার দাওরা হাদিসের (স্নাতকোত্তর) শিক্ষার্থী মো. আবদুল কাদের।
প্রশ্নঃ ব্লগ কি ?
উত্তরঃ 'ব্লগ' হচ্ছে বিজাতীয় পশ্চিমা সংস্কৃতি। এটা মুসলমানরা ব্যবহার করে না। ধর্ম অবমাননাকারীরা ব্লগ দিয়ে অপপ্রচার চালায়। এতে যোগ দিয়েছে এ দেশের নাস্তিকরা।
উত্তরদাতাঃ বরিশালের জামিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আলহাজ তাইয়েবুল ইসলাম।
এরা জানে না, ব্লগ কি?? এরা জানে না ব্লগের বানান কিভাবে লিখতে হয়। এরা এদের নেতাদের দ্বারা ভুল পথে পরিচালিত হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মাদ্রাসার ছাত্র ভাইয়েরা, আপনারা আগে জানুন, বুঝুন, তারপর আন্দোলনে নামুন। সতর্ক থাকুন আপনাদেরকে যেন কেউ ব্যবহার না করতে পারে।
প্রসঙ্গঃ মুসলমানের সার্টিফিকেট
৭১ এ উলঙ্গ করে বাঙ্গালীর লিঙ্গ পরীক্ষা করে দেখতো পাকি হায়েনা; খৎনা থাকলেই মুসলমান, নাইলেই "বিধর্মী" অপবাদে গরম গরম ব্রাশফায়ার ! বর্তমান অবস্থা কিন্তু অনেকটা এইরকমই। কাউকে মুনাফিক, কাফির কিংবা নাস্তিক বলার এখতিয়ার হেফাজতে ইসলাম রাখে না। কে মুমিন আর কে কাফির তা নির্ধারণ করবেন স্বয়ং আলাহ তায়ালা। এভাবে তারাই তো ইসলামে ধর্মের অবমাননা করছেন, কিন্তু এই নিয়ে প্রশ্ন তোলার কেউ নেই ! আফসুস...
প্রসঙ্গঃ মহিলা সাংবাদিক মারধর
একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক নাদিয়া শারমিন হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের খবর সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় সমাবেশ থেকে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, 'পুরুষের সমাবেশে নারী সাংবাদিক কেন?' এ নিয়ে নাদিয়ার সঙ্গে সমাবেশকারীদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে নাদিয়া শারমিনকে প্রচণ্ড মারধর করতে করতে সমাবেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আমার বক্তব্যঃ হেফাজতে ইসলাম, আপনারা মাঠে নেমেছেন ইসলামের সেভিওর হিসেবে, তাই না ?? ইসলামে নারীদের সন্মান ও মর্যাদা রক্ষা করার কথা বারবার বলা হয়েছে। এই আপনাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার নমুনা ?!?
প্রসঙ্গঃ হেফাজতে ইসলামের ইসলাম অবমাননার একটি ভিডিও
ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ), উনার পর আর কোন নবী আসতে পারেন না।
হেফাজতে ইসলাম মহাসচীব মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী এবার নবীদের সাথে তুলনা করলেন হেফাজতে ইসলাম আমীর শফিকে। (নাউজুবিল্লাহ!)
এটা ইসলাম অবমাননা নয় ?!!??
অবশ্যই দেখুন ভিডিওটি।
>>> ভিডিও লিংকঃ https://www.facebook.com/photo.php?v=10152710449440099&set=vb.648840098&type=2&theater
## সরকারের কাছে আমার দাবিঃ
সরকারের কাছে আমার দাবী,
১) উগ্র নাস্তিকদের আইনের আওতায় আনুন, কোন চুনোপুঁটিকে ধরবেন না প্লিজ।
২) উগ্র ধর্মান্ধদেরও আইনের আওতায় আনুন।
৩) ব্লগার মানেই যে নাস্তিক নাহ, তা ক্লেয়ারিফাই করুন বিবৃতি দিয়ে।
উগ্র নাস্তিক এবং উগ্র ধর্মান্ধ > আই হেট বোথ দ্যা ক্লাসেস...!!
পরিশেষঃ
আমরা সাধারন মুসলমানরা বিশ্বাস করি আল্লাহর সেই বাণীতে, যেই বাণী বলে একজন মানুষকে হত্যা করা চরম অপরাধ। সে ধার্মিক হোক আর বিধর্মীই হোক। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় সকল ধর্মের উপর, সকল মতের উপর শ্রদ্ধাশীল হতে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) বিদায় হজের ভাষণে বলে গিয়েছিলেন, "তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা।"
হেফাজতে ইসলামের যত নেতা-কর্মী আছেন, তাদের সকলেই মাঠে নেমেছেন। তাদের লোকসমাগম দেখে অনেকেই অবাক হলেও আমি কিন্তু হইনি। তবে আশার কথা হচ্ছে দেশে আরও কমপক্ষে ১৫ কোটি মানুষ আছেন যারা এখানে আসেননি, নিশ্চয়ই তারা হেফাজতে ইসলামের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দিহান কিংবা বিপক্ষে। এন্ড টু হেফাজতে ইসলাম, আপনারা আগে এই লংমার্চ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী তুলুন, আপনাদের বিতর্কিত দাবিগুলো উঠিয়ে ফেলুন দেখবেন আপনাদের মাঝে আমিও মিশে গেছি। ধর্ম আমার রক্তে, মুক্তিযুদ্ধ আমার চেতনায়। এরা কোনভাবেই সাংঘর্ষিক হতে পারেনা !
হেফাজতে ইসলাম সত্যিকারার্থেই ইসলামকে হেফাজত করুক, এই প্রত্যাশায়......
(...............) এসবের ভিতর নিজেকে কিভাবে পরিবর্তন করবো???
লজ্জা....
আমি এই প্রজন্মের এক উন্মাদ !! আমি আগাছা-কুলাংগার-রাজাকার (যারা এই দেশ আগেও চায় নি বর্তমানেও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না) মুক্ত বাংলাদেশ চাই।আমি যতদুর সম্ভব সকল মোলিক অধিকারের প্রাপ্তি চাই। আমি প্রযুক্তিতে উন্নত বাংলা চাই।সর্বোপরি আমি রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ভাবে মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ চাই।
'' জয় বাংলা''
:::::::::::::::::::::: B M Fayezullah Manik
"তিলেক হিম্মত নাই, আধা ছটাকের নাই তেজ
সাত আসমানে প্রভু খোদাতা'লা হয়ে বসে আছ"
--- ফরহাদ মজহার (দুনিয়া রেজিষ্ট্রি কর, এবাদতনামা)
এইটা বোঝার ক্ষমতা না থাকলে আত্বহত্যা করেন। আর বুঝে থাকলে হিম্মত দেখান।
কার্টেসিঃ Hasan Mahmud Tipu
- আগামীকাল ৯ই এপ্রিল বিকাল ৪ টায়, শাহবাগে হামলার চেষ্টা এবং মতিঝিলে নারী সাংবাদিককে মারধরের প্রতিবাদে প্রতীকী লাঠিমিছিল করবে গণজাগরণ মঞ্চ।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট হরতালের ডাক দেয়ায় মঙ্গলবার ও বুধবারের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিগুলো স্থগিত করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। তার পরিবর্তে এই নতুন কর্মসূচী পালিত হবে।
অহিংস আন্দোলন আমাদের চেতনায়, কিন্তু জেনে রেখো "শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি"।
জয় বাংলা। - সাংবাদিকতায় নিরপেক্ষ বলে কিছু নাই । সত্য আর মিথ্যার মধ্যে যেমন কোন শব্দ নাই ঠিক তেমনি নিরপেক্ষ বলে কিছু নাই। হয় আপনাকে সত্যের পক্ষে আসতে হবে না হয় মিথ্যার পক্ষে। হেফাজতে ইসলাম যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় যে আন্দোলন করছে হয় তার পক্ষে আপনাকে যেতে হবে না হয় দেশের পতাকা হাতে তরুণ প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবীতে আন্দোলন করছে তাদের পক্ষে যেতে হবে ।
যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে আর বিপক্ষে এর মাঝে কোন নিরপেক্ষ শব্দ ব...See More - এমন এক অদ্ভুত দেশে বাস করি আমরা যেখানে দাড়ি টুপিওয়ালা কিছু ভণ্ড আলেম প্রকাশ্যে কুফুরি করে চলেছে অথচ আমরা সেটাকে কোনো আমলেই নিচ্ছি না। নাকি তাদের মুখে দাড়ি মাথায় টুপি আছে বলে তাদের মুখের সব কথা মধুর মত মিষ্ট। এরা জ্ঞানপাপী। ধর্মের জ্ঞান এদের আছে। কিন্তু এরা জেনে শুনে যে সমস্ত কথা বলে তা রীতিমতো বিস্ময়কর।
আর এই একই কথাগুলো যদি কোনো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কেউ লিখত বা বলত তাহলে তাকে রাতারাতি নাস্তিক মুরতাদ বানিয়ে ফেলত। ধর্মীয় জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও যারা ধর্ম অবমাননা করে তাদের অপরাধ কি মার্জনীয়? এদেরকে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।
-
Shongihin Pothik - বিজ্ঞপ্তিঃ
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের কারণে মঙ্গলবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পযর্ন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। - 'ধর্মীয় অনুভূতিতে' আঘাত দেওয়া ব্লগিংয়ের অভিযোগে ব্লগার গ্রেপ্তার এবং ব্লগারদের হয়রানির প্রতিবাদে 'ব্ল্যাক আউটে' যাওয়া ব্লগগুলো আবার সক্রিয় হয়েছে।
'ব্ল্যাক আউট' নিয়ে তৈরি ফেইসবুক পেইজ 'মাজল মি নট' এক স্ট্যাটাসে কিছুক্ষণ আগে জানায়, ...See More - আমাদের পেজের একজন ফ্যান সমুদ্র সন্তান আমাদের কিছু প্রশ্ন পাঠিয়েছেন। আসলেই আমরা এই প্রশ্নের উত্তর কতটুকু জানি?
বাঙলাদেশে একেক সময় একেক যুগ চলে এখন চলছে হেফাজত যুগ। এর বাইরে আমরা কিছুই শুনতে বা বলতে চাইনা। কেউ কি জানেন--
১. যে জন্য আমাদের আন্দোলন সেই কাদের মোল্লার আপিলের কি হলো?
২. ট্রাইবুনালের বর্তমান অবস্থা কি?
৩. জামাত নিষিদ্ধ করা কতদূর?
৪. ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে জঙ্গী অর্থায়ন বা জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা খোঁজার ক্ষেত্রে কি অগ্রগতি?
৫. ঢাবি ছাত্রসহ তিনজন ব্লগারকে কবে মুক্তি দেয়া হবে?
৬. আমার দেশ বন্ধ হবে কবে?
৭. মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের কতদূর?
এখন আমরা যতই হেফাজত হেফাজত করে লাফাবো জামাতের কিন্তু ততই মজা। ওরা কিন্তু আস্তে আস্তে ডিফোকাসড হয়ে যাচ্ছে।
কৃতজ্ঞতাঃ Sanjoy Ghose
কিন্তু এবার ভুল করলে রক্ষা নাই।
জাতীয়তাবাদী দলটা এখন নামে মাত্র।ওরা বিজামাতী।
আগামীতে তারা হ্মমতায় এলে প্রথম দু মাসে সাঈদী,নিজামীরা মুক্ত হয়ে উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হবে।
আল্লামা শফির প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভবনা উজ্জল।
মাওলানা রুহির মত দু তিনজন টেকনোক্রেট কোঠায় মন্ত্রীহবে।
সাঈদী তথ্যমন্ত্রি,নিজামী স্বরাষ্টমন্ত্রী,ফরহাদ মজহার ধর্মমন্ত্রী,মুজাহিদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ভাবতেই অন্যরকম লাগে।
মুসলিম দেশ হিসাবে পরিচিত থাকার কথা নয় কারন অফিসিয়ালি ডিক্লারেশনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ট জনগন নাস্তিক তথা অমুসলিম ঘোষিত হবে।
মুসলিম শাসকেরা গার্মেন্ট শিল্প বন্ধ করে দিবে। নারীরা ঘরের বাহিরে থাকলে সেক্স করা ছাড়া অন্য কিছু করতে পারবে এটা ভাবতেই পারেনা। তাদের প্রচার প্রচারনা তা প্রমান করে।
নায়িকাদের তেমন কদর থাকবে বলে মনে হয়না কারন বোরকার মধ্যে সংবাদ পাঠিকা, উপস্থাপিকা আর অশ্লীল নায়িকা সবই এক।
- Abdullah Harun Jewel
ফাজলামি না কিন্তু। সিরিয়াস। আরে মিয়া সিরিয়াসলি এইটা বলছে। আল্লাহর কসম আমি নিজে দেখছি টিভিতে। প্রমিজ। ওই মিয়া হাসেন ক্যান ?
কার্টেসিঃ Ankur Wares Khan
Roy Suman
বিস্তারিত ১ম কমেণ্টে-
No comments:
Post a Comment