Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Monday, April 15, 2013

অন্ধকারে খনিতে আটক ২২জন শ্রমিককে উদ্ধার সহকর্মীদেরMiners rescue 22 cominers from the dark dangerous mine!

অন্ধকারে খনিতে আটক ২২জন শ্রমিককে উদ্ধার সহকর্মীদের

Miners rescue 22 cominers from the dark dangerous mine!

এই সময়, আসানসোল: উপরে ওঠার পথে মাটি থেকে মাত্র ১০ ফুট নীচে আচমকা থেমে গিয়েছিল ডুলিটি৷ মাটির উপরে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ২২ জন শ্রমিককে নিয়ে ডুলিটি আটকে পড়ে৷ বিদ্যুত্ স্বাভাবিক হওয়ার আশু কোনও সম্ভাবনায় বিপন্ন হয়ে পড়ে ওই শ্রমিকদের জীবন৷ সেই খবর পেলেও, তাঁদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা দুরে থাক, ঘটনাস্থলেই ইসিএলের কোনও কর্তা আসেননি বলে অভিযোগ৷ শেষ পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোহার সিড়ি বেয়ে অন্ধকার খনিতে নেমে এক জন এক জন করে সহকর্মীদের উদ্ধার করেন কয়লা খাদানের এক শ্রমিক৷ 

পেশায় কয়লা খনির ফিটার আবদুল মজিদের সৌজন্যে শ্রমিকরা প্রাণে রক্ষা পাওয়ার পর সকলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শুক্রবার সন্ধ্যায়৷ ঘটনাটি আসানসোলের কাছে সাতগ্রাম এলাকায় জেকে নগর প্রজেক্ট কোলিয়ারির৷ সারা দিন কাজের পর শ্রমিকরা খনির ভিতরে আসার সময় এই বিপত্তি হয় শুক্রবার বিকেলে৷ এতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়৷ ইসিএলের পক্ষে কেউ না গেলেও ঘটনাস্থলে ছুটে যান আইএনটিইউসি-র স্থানীয় শাখার সম্পাদক বাবলু সিনহা এবং তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের স্থানীয় নেতা চুনীলাল মিশ্র৷ 

ওই কয়লা খনির পিট ম্যানেজার বীরেন্দ্র সিংকে ঘেরাও করে শ্রমিকরা তাঁদের সহকর্মীদের উদ্ধার করার দাবি জানাতে থাকেন৷ কিন্ত্ত তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় ফিটার আবদুল মজিদ দুঃসাহসিক কাজটিতে নেমে পড়েন একাই৷ পিঠে সেফটি বেল্ট বেঁধে তিনি খনির ভিতর লোহার সিড়ি বেয়ে নামতে আরম্ভ করেন অন্ধকারের মধ্যেই৷ হাতড়ে হাতড়ে আটকে পড়া ডুলির কাছে পৌঁছে অন্ধকারের মধ্যেই নাট-বল্টু আলগা করে ডুলির উপরের পাটাতনটি খুলে ফেলেন৷ 

এর পর আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রত্যেককে হাত ধরে দীর্ঘ সময় ধরে নিয়ে আসেন উপরে৷ আবদুল মজিদের চেষ্টায় উদ্বেগমুক্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা৷ তাঁরা আবার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার দাবিতে পিট ম্যানেজার বীরেন্দ্র সিংকে ঘেরাও করেন৷ আইএনটিইউসি নেতা বাবলু সিনহা বলেন, 'ইসিএলের এজেন্ট শৈলেন্দ্রকুমার সিং ও জেনারেল ম্যানেজার নারায়ণ ঝাকে অনেক বার অনুরোধ করেছিলাম ঘটনাস্থলে আসার জন্য৷ কিন্ত্ত ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে গেলেও মিটিংয়ে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে কেউ আসেননি ওরা৷' 

ইসিএলের এজেন্ট শৈলেন্দ্রকুমার সিং ঘটনাটি বিদ্যুত্ বিভ্রাটের জন্য হয়েছে বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন৷ তবে শেষ পর্যন্ত শনিবার কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে প্রতিশ্রীতি দেওয়ায় ঘেরাওমুক্ত হন পিট ম্যানেজার৷ 

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...