Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Monday, July 8, 2013

বন্যাকবলিত উত্তরবঙ্গ

বন্যাকবলিত উত্তরবঙ্গ

বন্যাকবলিত উত্তরবঙ্গ
পাড় ভেঙে কৃষিজমি ভাসিয়েছে জলঢাকা নদী
আলিপুরদুয়ার: গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে৷ শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার শহরেই জলবন্দি প্রায় ৫০ হাজার মানুষ৷ গোটা মহকুমায় দু'লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ কোচবিহারে বন্যাকবলিত প্রায় হাজার চারেক মানুষ৷ ভিড় বাড়ছে ত্রাণ শিবিরগুলিতে৷ 

শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে৷ জল জমে যায় আলিপুরদুয়ার শহর-সহ মহকুমার একাধিক এলাকায়৷ নদীর জল উপচে প্লাবিত হয়েছে তুফানগঞ্জ মহকুমার একাধিক গ্রাম৷ নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের নাটাবাড়ি ১ ও ২, চিলাখানা ১ ও ২, বালাভূত, নাককাটিগছ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়৷

আলিপুরদুয়ার শহরে জমে থাকা জল কালজানি নদীতে ফেলতে ৯টি পাম্পসেট ব্যবহৃত হয়েছে৷ কিন্ত্ত তাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ কারণ কালজানির জলস্তরও বেড়ে যাওয়ায়, স্লুইস গেট লক হয়ে গিয়েছে৷ ফলে জল জমে রয়েছে নানা জায়গায়৷ বাসস্ট্যান্ডে জল জমে যাওয়ায়, এ দিন বাস চলেনি৷ দোকান-বাজারও বন্ধ ছিল৷ আলিপুরদুয়ার ও তুফানগঞ্জে এখন ভরসা শুধু নৌকা৷ আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের বনচুকামারি, জিতপুর এলাকা, আলিপুরদুয়ার ২ ও কুমারগ্রাম ব্লকের একাধিক গ্রামও প্লাবিত হয়৷ এই তিনটি ব্লকের প্রায় ৫০০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ উদ্ধারকাজের জন্য ফালাকাটা থেকে ৫টি নৌকা ও একটি স্পিডবোট আনা হয়েছে৷

আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষ্ণা দে বলেন, 'শনিবারের মতো আজ রাতেও যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে আমাদের বাড়ি ছাড়তে হবে৷'

জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, 'ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আলিপুরদুয়ার মহকুমার সব ক'টি নদীতেই জলস্তর বেড়ে গিয়েছে৷ বন্যাকবলিত বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত৷ জলবন্দি এলাকাগুলোতে শুকনো খাবার বিলি করা হয়েছে৷ বেশ কিছু মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ ত্রাণশিবিরে ঠাঁই পাওয়া মানুষদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন৷'

আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'কালজানির জলস্তর কমলে, শহরে জমে থাকা জল পুরোপুরি বের হবে৷ ত্রিপল ও শুকনো খাবার বিলি করা হচ্ছে৷' তুফানগঞ্জ মহকুমাশাসকের তরফে জানানো হয়েছে, তুফানগঞ্জ ব্লকের বন্যার জল ঢুকে প্রায় ১৫টি বাড়ি ভেঙেছে৷ জেলাশাসক মোহন গান্ধি বলেন, 'পরিস্থিতির দিকে প্রশাসনের নজর আছে৷ পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে৷'

উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রীয় জল কমিশন সূত্রে খবর, তিস্তা ও তোর্সা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সংকেত ও সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি হয়েছে৷ জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার অন্যান্য নদীগুলিতেও হলুদ সংকেত জারি হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে সংকোশ, রায়ডাক ১ ও ২, কালজানি, মুজনাই, বসরা নদী৷ ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এই নদীগুলির জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে৷

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...