Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Tuesday, July 30, 2013

কেউই অজেয় নয় বাদাবনের জেলায়

কেউই অজেয় নয় বাদাবনের জেলায়

হিমাদ্রি সরকার, সূর্যকান্ত কুমার ও বিশ্ব ভট্টাচার্য

পাঁচ বছর আগে গ্রাম দখলের লড়াইয়ে পরিবর্তনের হাওয়ার মধ্যেও বর্ধমানে সাইনবোর্ড হয়েই থেকে গিয়েছিল কংগ্রেস-তৃণমূল জোট৷ এ বার জোট হয়নি৷ কিন্ত্ত একা তৃণমূলের ধাক্কাতেই মাটিতে মিশল ৩৪ বছরের লাল দুর্গ৷ গ্রামীণ এলাকা থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল, কামড় বসানো তো দূরের কথা, কোথাও দাঁতই ফোটাতে পারেনি সিপিএম তথা বামফ্রন্ট৷ ২০০৮-এর পঞ্চায়েত ভোটে ২৭৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২০২টি ছিল বামেদের দখলে৷ বিরোধী জোটের ভাগে গিয়েছিল ৬৩টি, যার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৪২টি৷ আর সোমবার সন্ধে পর্যন্ত ঘোষিত ২৪৮টি আসনের মধ্যে ১৮২টিই গিয়েছে একা তৃণমূলের দখলে৷ বামেদের দখলে? ৪২! উলটপুরাণই বটে৷


ফল যে এমনটা হবে, তা সম্ভবত ভোটের আগেই আঁচ পেয়েছিলেন সিপিএমের জেলা সেনাপতিরা৷ তাই হয়তো ফেস্টুন-মিটিং-মিছিল-প্রচার কোথাও অস্তিত্বই টের পাওয়া যায়নি বামেদের৷ বর্ধমান গ্রামীণ এলাকায় মঙ্গলকোট-কেতুগ্রাম-ভাতার-আউশগ্রাম অথবা শিল্পাঞ্চলের রানিগঞ্জ-জামুড়িয়া, যে সব এলাকায় একসময়ে প্রার্থী দিতে না-পারা বা বুথে এজেন্ট বসতে না-দেওয়ার অভিযোগ করত তত্‍কালীন বিরোধীরা, এ বার সে সুর শোনা গিয়েছে তাবড় বাম নেতাদের গলায়৷ একসময় ভোটের দিন জেলা নেতারা খবর নিতেন, কোথাও বিরোধীরা বেশি বাড়াবাড়ি করছে কি না, কোথাও দলের ক্যাডারদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কি না৷ আর এ বার সিপিএমের সেই জেলা নেতাদের গলায় অন্য সুর, 'কোথাও আমাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না৷'


কিন্ত্ত এই হাল কেন? একসময় মেমারি, মঙ্গলকোট বা কেতুগ্রামে যে নেতারা ভোট পরিচালনা করতেন, তাঁরাই এ বার ঘরছাড়া৷ কাদের ভরসায় বুথে বসবেন এজেন্টরা? পাশাপাশি সিপিএমের কৃষকসভার প্রবীণ নেতা বিনয় কোঙারের খাসতালুক বর্ধমানের একটা বড় অংশে বঞ্চিত কৃষকরাই৷ তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ভরাডুবি হয়েছে বামেদের৷ রানিগঞ্জ-জামুড়িয়া শিল্পাঞ্চলে মোটামুটি একই চিত্র৷ জামুড়িয়ায় ন'টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাত্র একটিতে জিতেছে বামেরা৷ গত প্রায় চার দশকে যে রানিগঞ্জে কোনও দিন হারেনি সিপিএম, সেখানেও ধুয়েমুছে সাফ৷


এই ফলাফলের পরও অবশ্য পূর্বতন বিরোধীদের সুরে সন্ত্রাসেরই অভিযোগ করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদার৷ তাঁর অভিযোগ, 'গণনা টেবিলেও সন্ত্রাস হয়েছে৷ আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে৷' তৃণমূলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ অবশ্য বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়াবাড়ি না-করলে এবং কয়েক জায়গায় সিপিএম সন্ত্রাস না-করলে ফল আরও ভালো হতে পারত৷'

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...