Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Thursday, July 25, 2013

বাসে যুবককে চড় কষিয়ে পুলিশে দিলেন শিক্ষিকা

বাসে যুবককে চড় কষিয়ে পুলিশে দিলেন শিক্ষিকা
এই সময়: তিনি জার্মান ভাষা পড়ান৷ তেজও জার্মানদের মতো৷ যত্রতত্র যৌন বাসনা চরিতার্থ করার যে প্রকোপ ইদানীং রাজ্যে দেখা দিয়েছে, তার সঙ্গে যুঝতে হলে বোধহয় জার্মান তেজ ছাড়া গতি নেই৷ হলও তাই৷ বৃহস্পতিবার চলন্ত বাসে এক কামুক যুবককে চড়-থাপ্পড় মেরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন জার্মান ভাষার ওই শিক্ষিকা৷ দমদমের ওই বঙ্গললনা দেখালেন, মুখ বুজে থাকার দিন শেষ৷ আব্রু রক্ষায় দরকারে কিল-ঘুসি মারা ছাড়া আর কোনও নরমপন্থা নেই৷ দিন তিনেক আগে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার একটি দোকানের সামনে এক তরুণী জুতো খুলে এক তরুণকে পিটিয়েছিলেন৷ সেদিন কিন্ত্ত ওই তরুণীর সমর্থনে আশপাশের কেউ অগিয়ে আসেননি৷ সঙ্গে ছিলেন শুধু তাঁর বাবা৷ শিক্ষিকার সৌভাগ্য, তিনি সহযাত্রীদের পাশে পেয়েছেন৷ বাসের চালক, কন্ডাক্টর এবং পুলিশকর্মীরাও শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে যথেষ্ট তত্‍পর হয়েছেন৷ 

বছর চব্বিশের ওই তরুণী মাস তিনেক আগে সাত্রাগাছির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন৷ দমদম থেকে মেট্রোয় রবীন্দ্র সদনে নামেন৷ সেখান থেকে বাসে উঠে সাত্রাগাছি৷ বৃহস্পতিবারও রোজকার মতো রবীন্দ্র সদনের সামনে থেকে ধুলাগড়গামী সিটিসি-র বাসে উঠেছিলেন ওই শিক্ষিকা৷ তখন সকাল সাড়ে সাতটা৷ বাসে উঠে তিনি বসার জায়গা পেয়ে যান৷ বাস একটু এগোতেই তার পাশে এসে বসে রাজেন রাই নামে এক যুবক৷ খানিকক্ষণ উসখুস করার পর সে ঘুমোনোর ভান করে৷ মাঝে মাঝেই শিক্ষিকার গায়ে ঢলে পড়তে শুরু করে৷ শিক্ষিকা তাকে বলেন, 'ঠিক করে বসুন৷' কিন্ত্ত এই অনুরোধ সে পাত্তা দেয়নি৷ সে আবারও তার গায়ে ঢলে পড়ে৷ কুত্‍সিত ইঙ্গিতও করে৷ শিক্ষিকা তখন প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন৷ বলেন, 'বাসে তো আরও জায়গা আছে৷ ওখানে গিয়ে বসুন৷' ইতিমধ্যেই বাসের এক যাত্রী শিক্ষিকার হয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন৷ বাসের কন্ডাক্টরও রাজেনকে বলেন, 'বাসে এ-সব চলবে না৷ আপনি মহিলার পাশ থেকে সরে যান৷'

কিন্ত্ত যুবক অবিচল৷ বাসের সব যাত্রীকে হতভম্ব করে দিয়ে সে প্যান্টের চেন খুলে ফেলে৷ এবং বাসের মধ্যেই হস্তমৈথুন করতে শুরু করে৷ লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে শিক্ষিকার মুখ৷ অন্য যাত্রীরাও এই দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন৷ শিক্ষিকা তখন যুবকের মুখে ঠাসিয়ে চড় কষান৷ বাসেরই এক যাত্রী মোবাইল ফোন থেকে লালবাজার পুলিশ কন্ট্রোলে ফোন করেন৷ লালবাজার থেকে বিষয়টি কর্তব্যরত পুলিশকে জানানো হয়৷ বাসটি তখন দ্বিতীয় হুগলি সেতু পার হয়ে হাওড়ার দিকে চলে গিয়েছে৷ কলকাতা পুলিশই তখন হাওড়া সিটি পুলিশকে জানায়, বাসের মধ্যে এ-রকম একটি ঘটনা ঘটেছে৷ বাসটিকে থামান৷ বাসের মধ্যে তখন হইচই চলছে৷ চলন্ত বাসে মহিলার সামনে যুবকের কুত্‍সিত আচরণ কেউই মেনে নিতে পারছেন না৷ সাত্রাগাছি বাস স্টপে যখন বাসটি পৌঁছেছে, তখন সেখানে দাঁড়িয়ে দু'জন পুলিশকর্মী৷ সাত্রাগাছি ট্রাফিকের সাব-ইনস্পেক্টর বিকাশচন্দ্র সরকার বলেন, 'যাত্রীদের চিত্‍কার শুনে এগিয়ে যেতেই দেখি এক যুবকের ঘাড় ধরে এগিয়ে আসছেন যাত্রীরা৷ এক মহিলাও রয়েছেন তাঁদের মধ্যে৷'

শিক্ষিকা তখন পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান৷ এ দিন তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন৷ সাতসকালে বাসের মধ্যে এই শ্লীলতাহানির ঘটনায় হতবাক সকলেই৷ সিটিসি-র চেয়ারম্যান শান্তিলাল জৈন বলেছেন, 'গাড়ির চালক বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস থামিয়ে অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিয়েছেন৷' যুবকের বাড়ি হাওড়ার নাজিরগঞ্জে৷ সে ট্যাক্সিচালক৷

কী বলছেন ওই শিক্ষিকা? কাল থেকে আমি ওই একই রুটে যাতায়াত করব৷ এবং এ-রকম ঘটনা ঘটতে দেখলেই প্রতিবাদ করব৷ আমার ভয়ডর নেই৷

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...