Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Saturday, September 21, 2013

আইন বদলে জিটিএ দখলের ভাবনা মমতার

আইন বদলে জিটিএ দখলের ভাবনা মমতার

আইন বদলে জিটিএ দখলের ভাবনা মমতার

সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়

বিমল গুরুংকে বাদ দিয়েই পাহাড় শাসনের রাস্তা খুলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

রাজ্য সরকার 'রিমুভাল অফ ডিফিকালটিস অ্যাক্ট'-এর সুযোগ নিয়ে জিটিএ আইনের বিধি বদল করার প্রস্ত্ততি নিচ্ছে৷ ফলে নির্বাচিত সদস্যদের বদলে মনোনীত সদস্যকেও রাজ্য সরকার জিটিএ প্রধান করতে পারবে৷ জিটিএ আইনটি নতুন, তাই দু'বছরের মধ্যে 'রিমুভাল অফ ডিফিকালটিস অ্যাক্ট'কে হাতিয়ার করে বিধানসভার দ্বারস্থ না হয়েই জিটিএ-র বিধি সংশোধন করা সম্ভব৷ ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচনের জন্য ডাকা জিটিএ বৈঠক ভেস্তে গেলেই রাজ্য সরকার পাহাড় শাসনে এই পথে পা বাড়াবে বলে মহাকরণ সূত্রের খবর৷ রাজ্যেরস্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'পাহাড়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে৷ জিটিএ আইনের সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ধৃত মোর্চা কাউন্সিলরদের জামিন আদালত দেবে৷ সরকারের বা প্রশাসনের এব্যাপারে কী বলার আছে৷' প্রসঙ্গত, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দাবি, জিটিএ সদস্যদের মুক্তি না দিলে তারা প্রধান নির্বাচনে অংশ নেবে না৷

বিমল গুরুং গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) প্রধান থেকে পদত্যাগ করেছেন গত ৩০ জুলাই৷ আইনমাফিক এর পর থেকে ৬০ দিনের মধ্যে জিটিএর নতুন প্রধান নির্বাচন করতে হবে৷ কিন্ত্ত মোর্চা নেতৃত্ব আর জিটিএতে আগ্রহী নন৷ বরং তাঁরা গোর্খাল্যান্ড দাবিকে সামনে রেখে নতুন করে আন্দোলনের নামে পাহাড়কে অশান্ত করার খেলায় মেতেছে৷ তাই গত ৪ সেপ্টেম্বর নতুন প্রধান নির্বাচনের জন্য রাজ্য সরকার জিটিএর বৈঠক ডাকলেও মোর্চা নেতৃত্ব তাদের ধৃত কাউন্সিলারদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে তা বয়কট করেন৷ এরপর রাজ্য সরকার ফের ২৭ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচনের জন্য জিটিএর বৈঠক ডেকেছে৷ এখনও পর্যন্ত মোর্চা নেতৃত্বের যা মনোভাব, তাতে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পাহাড়ে বন্্ধ প্রত্যাহার হলেও প্রধান নির্বাচনের জন্য জিটিএর ডাকা বৈঠকে তাঁরা যোগ দেবেন না৷ এই মনোভাব জিটিএতে একটা আইনি সঙ্কট তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ বর্তমান আইনে দু'মাসের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচন না হলে প্রশাসক নিয়োগ করে সরকারকে ছ'মাসের মধ্যে আবার জিটিএর নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে৷

বর্তমান আইনে বলা রয়েছে, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে প্রধান নির্বাচন করতে হবে৷ যেহেতু মোর্চা সদস্যরা সহযোগিতা করছেন না, তাই রাজ্য সরকার বিধির বদল ঘটিয়ে মনোনীত সদস্যদের মধ্যে থেকেই প্রধান নির্বাচন করবে৷ প্রধান নির্বাচনের বৈঠক ভেস্তে গেলেই রাজ্য সরকার এইভাবেই পাহাড় শাসেনর পথ বেছে নেবে৷ লক্ষ্য, জিটিএকে রক্ষা করা৷ এজন্য বিধানসভার দ্বারস্থ হতে হবে না সরকারকে৷ প্রশাসনিক নির্দেশ বলেই এটা করা সম্ভব৷

http://eisamay.indiatimes.com/state/mamata-plans-to-overtake-GTA/articleshow/22827035.cms

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...