Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Monday, August 26, 2013

রেলের জমি দখল করে আগরপাড়ায় বেআইনি বাজার

রেলের জমি দখল করে আগরপাড়ায় বেআইনি বাজার
পল্লব ভট্টাচার্য

আগরপাড়া: রেলের জমি দখল করে দিব্যি চলছে আগরপাড়ার রেলবাজার৷ জমছে অভিযোগের পাহাড়৷ সন্ধে হতে না হতেই আগরপাড়া স্টেশনের দুই-তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে বসে যায় বাজার৷ ছোট বড় মিলিয়ে শ'দুয়েক বেআইনি দোকানের স্থায়ী আস্তানা স্টেশন চত্বরে৷ রেল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করছেন বাজার তুলে দিতে৷ কিন্ত্ত এক পা এগিয়েও দু'পা পিছিয়ে আসতে হচ্ছে তাঁদের৷ অভিযোগ, আরপিএফ এবং জিআরপি-র মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই থমকে যাচ্ছে বাজার উচ্ছেদের কাজ৷

স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর চল্লিশেক আগে বাংলাদেশ থেকে আসা ছিন্নমূল উদ্বাস্ত্তরা বসতি গড়ে তুলেছিলেন এই স্টেশন চত্বরের আশপাশে এবং তাঁদের জীবিকা নির্বাহের তাগিদেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বাজার৷ এখন সেটাই বিপুলাকার ধারণ করেছে৷ ট্রেন থেকে নেমে হাতের কাছেই নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজ মশলা মাছ পেয়ে যান নিত্যযাত্রীরা৷ তাই বেআইনি জেনেও সকলেই মুখ বুজে থাকেন৷ সে রকমই এক যাত্রী মনোজ চক্রবর্তী জানালেন, 'শুনেছি বাজারের জমি জবরদখলি৷ রেল চাইছে তুলে দিতে৷ আমরাও বুঝি, এর ফলে সত্যিই ট্রেন চলাচলে খুব অসুবিধে হয়৷ মাঝে মধ্যেই থ্রু ট্রেন দাঁড় করিয়ে দিতে হয়৷ দুর্ঘটনার ভয়ে লোকালও আস্তে চালাতে হয়৷ রেললাইনের ধারে বাজার করার সময় মানুষ এত অন্যমনস্ক থাকেন যে ট্রেনের হুইসলও তাঁদের কানে পৌঁছয় না৷ বাজারের চড়া আলোয় ঢাকা পড়ে যায় ট্রেনের আলো৷ ফলে যে কোনও সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে৷ তবু অধিকাংশ স্থানীয় মানুষ এই বাজারেই রোজকার বাজার সারেন৷'

কিন্ত্ত সব জেনেশুনেও রেলের আধিকারিকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কেন নিচ্ছেন না? স্টেশন সুপারভাইজার নারায়ণ শা-এর কথায়, 'সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজারকে বেশ কয়েক বার চিঠি দিয়েছি৷ কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে দেখেও গিয়েছেন৷ কিন্ত্ত উচ্ছেদের তারিখ নিয়ে আরপিএফ এবং জিআরপি একমত হতে পারছে না বলেই ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না৷' রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ মেন শাখার একমাত্র বেআইনি বাজার হল আগরপাড়া রেলবাজার৷ এই এলাকাকে দখলমুক্ত করতে ইতিমধ্যেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন রেলের শীর্ষকর্তারা৷ কিন্ত্ত এ ধরণের উচ্ছেদ অভিযানে সবচেয়ে গুরপুত্বপূর্ণ ভূমিকা জিআরপি-র, যেহেতু রেললাইনের দশ ফুটের মধ্যে যে কোনও বেআইনি নির্মাণ তুলে দেওয়ার অধিকার একমাত্র জিআরপি-রই রয়েছে৷ আর দশ ফুটের পরে উচ্ছেদের কাজ তদারক করবেন ইন্সপেক্টর অফ ওয়ার্কস, যাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আরপিএফের৷ কাজেই এই রেলবাজার তুলতে হলে আরপিএফ এবং জিআরপি-কে যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে, যা সম্ভব হচ্ছে না বলেই রমরমিয়ে চলছে বাজার৷ রেলবাজারের ব্যবসায়ীরা এখনও এ নিয়ে কোনও আন্দোলনে না নামলেও তাঁদের দাবি, 'রেল পুনর্বাসন দিয়ে উচ্ছেদ করুক৷ জীবিকার অধিকার ধ্বংস করে নয়৷'

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...