নয়াদিল্লি: অর্থনৈতিক বৃদ্ধির বাড়াতে শীঘ্রই আরও সংস্কারের ঘোষণা করবে সরকার৷ বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের ৯২ তম বার্ষিক সভায় শিল্পমহলকে আশ্বস্ত করে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ তিনি বলেন, 'প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের লগ্নির নিয়ম আরও শিথিল করা হবে৷' মঙ্গলবারই টেলিকম, বিমা সহ ১৩টি ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার৷ পাশাপাশি, একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন পর্ষদের অনুমতি বিনা বিদেশি বিনিয়োগের সীমাও বাড়ানো হয়েছে৷ অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও সম্প্রতি বলেছেন আরও আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটবে সরকার৷ প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এ দিন স্বীকার করেন, বাজেট লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চলতি অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশে পৌঁছতে পারবে না৷ তিনি জানান, একক ব্র্যান্ডের খুচরো পণ্যে পুরোপুরি বিদেশি লগ্নির অনুমোদন থাকলেও বহু ব্র্যান্ডে খুচরো পণ্য, অসামরিক বিমান পরিবহণ ও বিদ্যুত্ ক্ষেত্রে আরও সংস্কারের ঘোষণা হবে শীঘ্রই৷ বিভিন্ন নিয়ামকের কাছে পড়ে থাকা প্রকল্পে দ্রুত অনুমোদন ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান৷
ডলারের তুলনায় টাকার পতন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টাকার দরে পতনই আপাতত সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ৷ টাকার দরে স্থিতিশীলতা আনার সব চেষ্টা চলছে৷ বৈদেশিক বাণিজ্যের চলতি খাতে ঘাটতি রুখতেও সব চেষ্টা করা হবে৷ তবে, মনমোহন সিং বলেন, চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ২০১২ -১৩ অর্থবর্ষের চেয়ে বেশি হবে৷ স্বল্প মেয়াদে টাকার চাহিদা বাড়াতে বন্ড বিক্রির মাধ্যমে বাজার থেকে ১২ হাজার কোটি তোলার কথা ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ কিন্ত্ত বৃহস্পতিবার সরকারি ঋণপত্রের সেই নিলাম সফল হয়নি৷ প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ী মহলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আরবিআইয়ের পদক্ষেপ দীর্ঘ-মেয়াদি সুদের হার বাড়ানোর জন্য নয়৷ ঋণনীতির সঙ্গে এই পদক্ষেপকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না৷ 'আমার বিশ্বাস, টাকার উপর সাময়িক চাপ কাটাতেই আরবিআই এই পদক্ষেপগুলি করেছে৷ টাকার দর স্থিতিশীল হলে আরবিআই সিদ্ধান্তগুলি প্রত্যাহার করবে৷' ডলারের নিরিখে টাকার দর পড়লে দেশের আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাবে৷ এর জেরে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের চলতি খাতের ঘাটতি বাড়বে৷ চলতি খাতে ঘাটতি বাড়লে সুদ কমানোর পথে হাঁটবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী কয়েক বছরে চলতি খাতের ঘাটতি নেমে জাতীয় উত্পাদনের ২.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে৷ এর জন্য আর্থিক নীতি, ঋণনীতি ও সরবরাহ বাড়নোর মতো সব ব্যবস্থাই নেওয়া হবে৷
ডলারের তুলনায় টাকার পতন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টাকার দরে পতনই আপাতত সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ৷ টাকার দরে স্থিতিশীলতা আনার সব চেষ্টা চলছে৷ বৈদেশিক বাণিজ্যের চলতি খাতে ঘাটতি রুখতেও সব চেষ্টা করা হবে৷ তবে, মনমোহন সিং বলেন, চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ২০১২ -১৩ অর্থবর্ষের চেয়ে বেশি হবে৷ স্বল্প মেয়াদে টাকার চাহিদা বাড়াতে বন্ড বিক্রির মাধ্যমে বাজার থেকে ১২ হাজার কোটি তোলার কথা ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ কিন্ত্ত বৃহস্পতিবার সরকারি ঋণপত্রের সেই নিলাম সফল হয়নি৷ প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ী মহলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আরবিআইয়ের পদক্ষেপ দীর্ঘ-মেয়াদি সুদের হার বাড়ানোর জন্য নয়৷ ঋণনীতির সঙ্গে এই পদক্ষেপকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না৷ 'আমার বিশ্বাস, টাকার উপর সাময়িক চাপ কাটাতেই আরবিআই এই পদক্ষেপগুলি করেছে৷ টাকার দর স্থিতিশীল হলে আরবিআই সিদ্ধান্তগুলি প্রত্যাহার করবে৷' ডলারের নিরিখে টাকার দর পড়লে দেশের আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাবে৷ এর জেরে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের চলতি খাতের ঘাটতি বাড়বে৷ চলতি খাতে ঘাটতি বাড়লে সুদ কমানোর পথে হাঁটবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী কয়েক বছরে চলতি খাতের ঘাটতি নেমে জাতীয় উত্পাদনের ২.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে৷ এর জন্য আর্থিক নীতি, ঋণনীতি ও সরবরাহ বাড়নোর মতো সব ব্যবস্থাই নেওয়া হবে৷
No comments:
Post a Comment