Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Monday, October 14, 2013

বাংলায় জাতপাত ও ধম্ম চক্র প্রবর্ত্তন In Gujarat, thousands of Dalits choose Buddhism for a 'new identity' एकीकडे आंबेडकरवादी बौध्दांच्या आर्थिक समृध्दीचा स्तर वाढला आहे तर दुसरीकडे त्यांच्या वैचारिक निष्ठेत डळमळीतपणा आला आहे खैरलांजीच्या सात वर्षानंतर...! But India is essentially a Hindu state. Without Hinduism, India would cease to exist. Its the whole faith, including the caste system, that make these Indian believe that their "country" in thousands of years old. If its no Hinduism as a country, these Indians would readily agree with me that India was created by the British, which is the historical fact.

বাংলায় জাতপাত ও ধম্ম চক্র প্রবর্ত্তন

In Gujarat, thousands of Dalits choose Buddhism for a 'new identity'


एकीकडे आंबेडकरवादी बौध्दांच्या आर्थिक समृध्दीचा स्तर वाढला आहे तर दुसरीकडे त्यांच्या वैचारिक निष्ठेत डळमळीतपणा आला आहे

खैरलांजीच्या सात वर्षानंतर...!

But India is essentially a Hindu state. Without Hinduism, India would cease to exist. Its the whole faith, including the caste system, that make these Indian believe that their "country" in thousands of years old. If its no Hinduism as a country, these Indians would readily agree with me that India was created by the British, which is the historical fact.



পলাশ বিশ্বাস

বাংলার প্রাচীন ও সেন বংশের রাজত্বকালের পূর্বের ইতিহাস বৌদ্ধময় ভারতের ইতিহাসভারতের ইতিহাস

আর্যাবর্তের মনুস্মৃতি শাসনের বিরুদ্ধে ব্রাত্য পান্ডববর্জিত অনার্য অসুর বাংলায়

ধম্ম চক্র প্রবর্ত্তনের ইতিহাস

ঔপনিবেশিক বাংলার ইতিহাস অসুর অনার্য আদিবাসী তফসিলি শুদ্র মুসলমান ও বৌদ্ধদের, চাষিদের অবিরাম সংগ্রামের ইতিহাস


চর্য্যাপদ,কবি জয়দেব,মঙ্গলকাব্য, চৈতন্যমহাপ্রভুর অহিংস প্রেমময বৈষ্ণব আনদোলন ও বিদ্রোহ,বিদ্রোহ দমনের ইতিহাস,অহিন্দু শাক্ত ও শৈবদের অনার্য ইতিহাস,ধর্মনিরপেক্ষ লালন ফকির,বাউল,মতুয়া, সুফি,সাধুদের ইতিহাস


স্বদেশী আন্দোলন ও বারোয়ারি দুর্গা পুজা জমিদারি ও সামন্তন্ত্রের অবক্ষয় শুরু হওযার পরেরে ইতিহাস এবং তার আগে নিরীশ্বর পুরোহিত বিরোধী সংস্কারমুখী ব্রাহ্ম নবজাদরণের ইতিহাস,সতী প্রথা বিধবা বিবাহ বহুবিবাহ নিষেধের,ঈশ্বর চন্দ্রের হরিচাঁদ গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলন ও স্ত্রী শিক্ষার, শূদ্র জাগরমের বিবেকানন্দের ইতিহাস


ঔ ইতিহাসের শবদেহের পরেই আদকের বাংলায় ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের বাম ডান ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের ইতিহাস


দশাই বা অসুর উত্সব হুল ও কর্মার মতই আদিবাসী জীবনযাপনের ইতিরহাস


লর্ড ক্লাইভ শোবাবাজারের রাজা নবকৃষ্ণদেব মার্ফত আদিবাসি অনার্য অসুর নিধনের যে নরমেধ চালু করলেন দুর্গা পুজা মারফত,তাকেই করপোরেট ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক শাসক শ্রেণী বঙ্গ সংস্কৃতির ব্রান্ডিং হিসাবে তুলে ধরছে,তারই ধর্মান্ধ রাজনীতি,করপোরেট প্রমোশন


অনার্য অসুর আদিবাসী কৃষক ব্রাত্য বহিস্কৃত অন্ত্যজ অস্পৃশ্য বঙ্গের এই নরমেধ,exclusion,Excommunication and Ethnic cleansing আয়োজন ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করতেই বাম ডান ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক মহাজোট


বাংলায় জাতপাতবারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক পরে সেন বংশের আমলে শুরু হয়


কন্নৌজ আমদানি সেনবংশীয় ব্রাহ্মণ্যধর্মেই আজ বাঙ্গালির পরিচিতি

বাকী ইতিহাস ভূগোল মুছে গেছে


ভারত ভাগের জন্য পশ্চিম বঙ্গ থেকেই পাশ হয় বিভাজন প্রস্তাব

সেদিন কামরেড জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে কম্যুনিস্টরা ভোটদানে অংশদান না করে হিন্দু মহাসভার এজেন্ডা নির্বাধ পাশ করিয়েছিলেন


পান্জাবে ও দেশ ভাগ হয়েছিল কিন্তু পান্জাবিরা সমবেত ভাবে সেই হোলোকাস্টের ইতিহাস থাকে বেরিয়ে এসেছে


বাংলায় জাতপাতের রাজনীতির দরুনই দলিত বহুল হিন্দু এলাকা পাকিস্তানে দিয়ে দেওয়া হল যেহেতু তাঁদের অপরাধ,যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল ও মুকুন্দবিহারি মল্লিকের নেতৃত্বে তফশিলিরা ডা.বাবাসাহেবকে সংবিদান সভার জন্য নির্বাচিত করেছিল


ঔ সমস্ত এলাকার হিন্দু দলিতরা শরণার্থী হয়ে পশ্চিমবঙ্গে এলে ড. বিধানচন্দ্র রায় ও নেহরু তাঁদের পার্টিশান ভিক্টিম মেনে নিতে অস্বীকার করে


পান্জাবি সিন্ধীদের ক্ষতিপুরণ সহ তাঁদের ইচ্ছামত পুনর্বাসন দেওয়া হল যেহেতু প্রতিটি পান্জাবি বা সিন্ধী উদ্বাস্তুদের পাশে তাঁদের জনগোষ্ঠী এককাট্ঠা দাঁড়িয়েছিল


বাংলায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল শুধু তাঁদের যারা কলকাতাতে বসবাস করতেন এবং যাদের জমিদারি ছিল ওপার বাংলায়,যাদের বারত ভাগের ফলে কিছুই হারাতে হয়নি


কমরেড জ্যোতি বসু সহ ওপার বাংলার শাসক শ্রেণী বাংলায় সর্বক্ষেত্রে একচেটিয়া ক্ষমতায়


কিন্তু অখন্ড বাংলায় মুসলিম লীগ 1901 সালে গঠন হলেও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ছিল না


অখন্ড বাংলায় তিন তিনটি অন্তর্বর্তী সরকারে নেতৃত্বে ছিলেন মুসলমান ও তফশিলি প্রজারা


ফজলুল হক সাহেব পুরোপুরে অসাম্প্রদায়িক ছিলেন

তাঁর সরকারে মন্ত্রী ছিলেন ড. শ্যামা প্রসাদ মুখার্জিও

ভূমি সংস্কারের মতুয়া এজেন্ডাতেই মুসলিম লীগের রাজনীতি বিফল করে প্রজা কৃষকদের সরকার হয়েছিল


ব্রাহ্মণ্য রাজনীতিতে সেই সরকার অপদস্ত হওয়ার ফলে শুধু বাংলাতে নয়,সারা ভারতে মুসলিম লীগের সম্প্রসারণ হয়


মুসলিমদের সঙ্গে জোট রাজনীতিতে ব্রাহ্মন্যতন্ত্রকে শক্ষমতার বাইরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল,মুকুন্দবিহারি মল্লিক

ঐ জোটের ফলেই ড. আম্বেডকরের লোক যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারে আইন  মন্ত্রী হয়েছিলেন


এবং ঐ জোটের ফলেই ড.আম্বেডকরের সংবিদান সভায় বাংলা থেকে নির্বাটন হয়


ড. শেখর বন্দোপাধ্যায়ের রিসার্চ ও তাঁর চন্ডাল আন্দোলনের ইতিহাসে সবই লেখা আছে


ভারত ভাগের একমাত্র কারণ বাংলার জাতপাত,ক্ষমতা বন্চিত ব্রাম্হণ্যপন্থীদের প্রতিহিংসা


ঔ জাতপাত,প্রতিহিংসা ও ক্ষমতাদখলের জন্যই ওপার বাংলা থেকে আগত বাঙ্গালি শরণার্থিদের প্রথম থেকেএ ফের ওপারে পাঠিয়ে দেওয়ার উপক্রম.যেটা সম্ভব হয়নি ইউনাইটেড নেশনের মানবাধিকার  ও উদ্বাস্তি বিষয়ক চার্টার গুলোর জন্য

অগত্যা পুর্ব বঙ্গের তফশিলী উদ্বাস্তিদের ট্রান্জিট ক্যাম্পে অনুগ্রহ অনুদান ডোলে বিনা ক্ষতিপূরণ দিয়ে রাকা হয় এবং তাংদের অধিকাংশকে বাংলার বাইরে পাঠানো হয়


বাংলার উদ্বাস্তুদের নিয়ে জেলা ও রাজ্যভিত্তিক আমার ইংরাজি লেখাগুলোয় সাক্ষ্য ও ডকুমেন্ট সহ যাবতীয় তথ্যতুলে ধরা আছে


দেখতে পারেন,লিন্ক দিচ্ছি

http://palashbiswaslive.blogspot.in/

http://unitedblackuntouchablesworldwide.blogspot.in/

http://troubledgalaxydetroyeddreams.blogspot.in/

http://nandigramunited-banga.blogspot.in/

http://indianholocaustmyfatherslifeandtime.blogspot.in/


আরো দেখতে পারেনঃ



বাংলার বাইরের পুনর্বাসিত বাঙ্গালিদের বাংলার শাসক শ্রেণী বাংলার ইতিহাস ও ভূগোল থেকে চিরকালের জন্য বাইরে পাঠিয়েও ক্ষান্ত হয়নি

তাঁদের দেশ নিকালার জন্য প্রণব মুখার্জির নেতৃত্বে সঙ্ঘ পরিবার ভারতের নাগরিকত্ব আইন কম্যুনিস্টদের সাহায্যে বদলে দেয়

18 জুলাই 1948 এর পর যারা ভারতে বিনা পাসপোর্ট ছাড়া এসেছেন তাঁরা সবাই বেনাগরিক ঘুসপেঠিয়া,অথচ নেহরু লিয়াকত চুক্তির আগে পাসপোর্টের বালাই ছিল না এবং গান্ধী নেহরু প্যাটেলদের পুনর্বাসনের অঙগীকারেই তখন ওপারের হিন্দুরা এপারে এসেছিলেন


রেসিয়াল শাসক শ্রেণী কিন্তু আজও ওপার বাংলার শরণার্থিদের সমান সমান হিন্দু মনে করেন না


দন্ডকারণ্যর হিন্দু তফশিলি বাঙ্গালি উদ্বাস্তুরা যখন কম্যুনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু রাম চ্যাটার্জি ও অন্যান্যদের নিমন্ত্রণে বাংলায় এলো কম্যুনিস্টদের ক্ষমতা দখলের জন্যপ্রয়োজনীয ভোট ব্যান্ক প্রকল্পে,ততক্ষনে 1977 এর নির্বাচনে কম্যুনিস্টরা সাম্রাজ্যবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার জিগির তুলে বাংলার মুসলিম ভোট ব্যান্ক দখল করে ফেলেছে


তাই মরিছঝাঁপিতে নির্মম গণহত্যা সংগঠিত করা হয়

বাঘের খাদ্যে পরিণত করা হয় পূর্ববঙ্গীয় তফশিলি উদ্বাস্তুদের জানুযারি,1979 সালে

এখনো তদন্ত হয়নি

অনু জালিয়াস, রস মল্লিক,জগদীশ চন্দ্র মন্ডল,অমিতাভ ঘোষের লেখায় ও তুষার ভট্টাচার্যের ফিল্মে ও লেখায় সাক্ষ্য প্রমাণ সহ সমস্ত তথ্যদেওয়া হয়েছে

পাংলার নূতন সম্রাজ্ঞী মমতা ব্যানার্জি মতুয়া সমর্থন তফশিলি উদ্বাস্তু ভোটব্যান্ক গঢ়তে মরিচঝাঁপেকে বামপন্থীদের বিরুদ্ধ হাতিয়ার করেছেন প্রতিটি নির্বাচনে

তবূ সেই তিনি ও মরিচঝাঁপি গমহত্যার তদন্ত করাতে চান না

বাংলায় জাত পাত বুঝতে হলে মরিচঝাংপি গমহত্যার বীজগণিত বুঝতে হয়

আমি অবিরাম এ প্রসঙ্গে লিখে আসছি



बाबा साहेब डा. अम्बेलडकर का यह भी मानना था कि आज किसी नए धर्म की आवश्यकता नहीं है। किसी भी समाज को धार्मिक विकृतियों को दूर करने के लिए मौजूदा धर्मों में से ही किसी एक को अंगीकार कर समकालीन धार्मिक जरूरतों की पूर्ति करने का उपक्रम करना चाहिए। इसलिए दलितों को हिन्दू धर्म की जातिगत दलदल से निकालने के लिए डा. अम्बेडकर ने बुद्ध धर्म का अंगीकार ही नहीं किया बल्कि दलितों को भी इसका अनुसरण करने के लिए आहृवान किया।

एकीकडे आंबेडकरवादी बौध्दांच्या आर्थिक समृध्दीचा स्तर वाढला आहे तर दुसरीकडे त्यांच्या वैचारिक निष्ठेत डळमळीतपणा आला आहे


Dalits in large numbers embraced Buddhism at a public event in Dungarpur, eight km from Junagadh, on Sunday. Organizers claimed this was the biggest religious conversion event in decades. They accepted the new religion in the presence of Buddhist monks, who had come down specially from Ladakh, Mumbai and Sri Lanka.


Thousands of Dalits from the state gathered at Patapar village near Junagadh and converted to Buddhism with an aim to "walk on the path of Truth" on Sunday.


The event 'Chalo Buddh Ki Aur' was organized by Buddha Diksha Mahotsav Samiti.


"This was the first single event where at least 60,000 people converted, leaving behind the age-old caste discrimination and untouchability,'' said Parikshit Rathod, one of the organizers. Besides dalits, people from Koli community and other castes also embraced Buddhism at the event. "We saw people coming from 19 districts and 51 talukas of the state coming for the event," said Deven Vanvi, another organizer. "The biggest reason behind the conversion of dalits to Buddhism is the deep-rooted caste discrimination and untouchability. They have to protest and often have to suffer even to enter temples,'' claimed Bharat Vaniya from Bhachau in Kutch, who embraced the new religion.


"Though many claims are being made about the development of the state, dalits are often subject to humiliation only due to their castes. DrBhimrao Ambedkar showed us a different path, where there is no discrimination between human beings. Dalits are taking Ambedkar's path who had also embaraced Buddhism,'' said Vaniya.


Organizers selected Junagah as the venue for the event because the city is important from a historical perspective. There are several historical monuments of Emperor Ashoka here who had also adopted Buddhism.


But India is essentially a Hindu state. Without Hinduism, India would cease to exist. Its the whole faith, including the caste system, that make these Indian believe that their "country" in thousands of years old. If its no Hinduism as a country, these Indians would readily agree with me that India was created by the British, which is the historical fact.




Eyewitnesses said that around 5,000 Dalits from Saurashtra and Kutch and other parts of the state attended "Chalo Buddh Ki Aur" event and converted to Buddhism in the presence of Bikhhu Sanghasena, the founder of the Mahabodhi International Medication Centre (MIMC), and leaders of Mahabodhi Society from Sri Lanka.

Jaydev Bapa, a revered figure here, was among the Dalits who converted to Buddhism.


"We seek to walk on the path of Truth. Buddhism preaches equality, brotherhood and non-violence. This change would help develop the community," Deven Vanvi, convenor of Buddha Diksha Mahotsav Samiti (BDMS), an umbrella organisation of Dalit associations, said.

The BDMS had organised the event.


"We all know what is happening in the society. This will change our identity as individuals. If someone asks us who we are, from now on we shall say we are Buddhists, forsaking the term 'Harijan' coined by Mahatma Gandhi for us and uncomfortable feelings associated with it," Vanvi further said. Tushar Shripal, a member of BDMS, said, "This is a matter of self-respect. Being a Dalit is like living in a constant state of humiliation. The change will give people self-respect and self-pride."


The organisers claimed that the event was largest of its kind in the state. Dalits from Kodinar, Manavadar, Keshod and Junagadh talukas attended the event with entire community.

"We took inspiration from Dr B R Ambedkar and had been planning the event since this February under the guidance of Jaydev Bapa," Vanvi added.

Dr Ambedkar, the architect of our Constitution, had converted to Buddhism along with scores of his community members in protest against caste prejudice.

Lenin Raghuvanshi shared PVCHR's event.
PVCHR needs your support to make this conference a successful learning platform. You can do that in the following ways: (a) by suggesting topics, which you think has not been discussed yet but relevant to end torture, or impunity or strength rights of the survivors; (b) by participating. If you wish to present a research paper, which you have not published before, please send one page abstract note. The organizing committee will go through it to decide its acceptance; (c) by contributing relevant articles for reference; and (d) sponsoring, collaborating and financing the Conference.
https://www.facebook.com/events/247498888734557/

Join

Asian Conference on "Ending Torture: Collective concern"

March 31, 2014

PVCHR in Varanasi, India

You were invited by Lenin Raghuvanshi



Vidya Bhushan Rawat
धम्म चक्र प्रवर्तन दिवस पर सभी को शुभकामनायें !! वैसे तो यह आप पर निर्भर करता है के आप ब्रहमणवादी कहानियों में ही डूबना चाहते है या बाबा साहेब आंबेडकर के सुझाएँ नए रस्ते पर चलना चाहते है. डॉ आंबेडकर भी हिन्दू धर्म की पहेलियों को बुझ चुके हैं और उसके अन्दर जितना घुसोगे चक्रव्यूह में फंसकर रह जाओगे और बाहर निकलने का कोई रास्ता नहीं है. बाबा साहेब आंबेडकर ने लाखो लोगो को जो रास्ता दिखाया वो तर्क और मानववाद का है, वोह आधुनिकता और लोकतंत्र का है, वो विज्ञानं और शिक्षा का है और मुझे नहीं लगता के इसको अपनाने में किसी को कोई घटा होने वाला है सिवाय उनके जिनकी दूकान लोगो की अशिक्षा और अन्धविश्वास के कारण सजती है. १४ अक्टूबर एक ऐतिहासिक दिन है. भारत के लाखो लोगो के जीवन में बदलाव का दिन और बिना हथियारों के क्रांति का दिन, सांस्कृतिक क्रांति का दिन जिसने भारत में बुद्ध को फिर से स्थापित किया है और उनके दर्शन को ब्राह्मणवादी चंगुल से निकलने का काम किया है. सलाम आंबेडकर।। परिवर्तन का चक्र चल चूका है वो रुकने वाला नहीं है ,

लोकसंघशाहीचे नवयान ! Mahanayak editoral 13 oct

October 13, 2013 at 11:59am

जगाच्या इतिहासात मानवी मुक्तीच्या ज्या काही मोजक्या उल्लेखनीय घटना घडल्या आहेत, त्यापैकी एक घटना असलेल्या डॉ. बाबासाहेब आंबेडकरांनी केलेल्या धम्मचक पवर्तनाचा  57 वा वर्धापन दिवस आज आहे.  या ऐतिहासिक घटनेच्या स्मृतीपित्यर्थ नागपूर शहरात शेकडो संघटनांतर्फे अनेकविध कार्यकमांचे आयोजन ठिकठिकाणी केले जाते. बाबासाहेबांच्या  नावाने संस्थाने, पतिष्ठाने, पक्ष, समित्या, संघटना उघडून स्वतचे चांगभले करु पाहणारे `कट्टर' भीमसैनिक / भीमानुयायी आपआपल्या राहुट्यांमध्ये कांतीची मशाल पेटवून संपूर्ण भारत बौध्दमय करण्यासाठी दरवर्षी सज्ज होत असतात. एका अर्थाने ही जागृती सुखावणारी वाटते, तर दुसरीकडे   वेगवेगळ्या तंबूमध्ये विभाजित झालेली आंबेडकरवादी शक्ती पाहून मन विषण्ण होते. या पार्श्वभूमीवर धम्मचक पवर्तनाच्या 57 वर्षांत काय झाले याचा लेखाजोखा घेण्याची आवश्यकता दुर्लक्षित करता येत नाही.

14 ऑक्टोबर 1956 रोजी डॉ. बाबासाहेब आंबेडकरांनी बौध्द धम्माची दीक्षा घेणे आणि आपल्या  कोट्यावधी अनुयायांना दीक्षा देणे या घटनेचे वर्णन अनेक पकारे केले जाते. डॉ. बाबासाहेब आंबेडकरांचे अनुयायी या घटनेला आधुनिक जगाने पाहिलेली महान कांती, मानवमुक्तीची सर्वात मोठी घटना म्हणून या घटनेचे वर्णन करतात. तर बाबासाहेबांचे विरोधक या घटनेला स्वदेशी धर्माच्या परिघात राहून हिंदू धर्माविरुध्द केलेले बंड या स्वरुपात या घटनेची समिक्षा करतात. बहुसंख्य आंबेडकरवादी बौध्द लोकांचा या घटनेकडे पाहण्याचा दृष्टीकोन `हिंदू धर्माच्या डबक्यातून बाहेर पडून बौध्द धर्माच्या विशाल महासागरात सामील होण्यासाठी केलेले धर्मांतर' अशा स्वरुपाचा आहे.

या घटनेची समिक्षा कोणत्याही पकारे केली तरी या घटनेमुळे भारताच्या मानसिक, सामाजिक, सांस्कृतिक आणि धार्मिक विश्वाला अभूतपूर्व कलाटणी मिळाली ही वस्तुस्थिती आहे. यामुळे धम्मचक पवर्तनाच्या  घटनेला एका धर्मातून दुसऱया धर्मात पवेश करण्याची धर्मांतराची घटना एवढे संकुचित स्वरुपात न पाहता जगाच्या इतिहासाला कांतीकारी वळण देणारी भू-राजकीय घटना अशा विशाल स्वरुपात पाहिले पाहिजे. जागतिक स्वरुपाचे परिणाम घडवून आणणाऱया   भू-राजकीय  घटनांचे समिक्षण करतांना अशा घटना घडण्याची कारणे व त्या घटनांचे जागतिक समुदायावर झालेले परिणाम याची चर्चा आणि विश्लेषण अभ्यासकांकडून केले जाते. धर्मांतराच्या घटनेचे समिक्षण आणि विश्लेषण मात्र अजूनही पांतिक स्तरावरील सामाजिक / धार्मिक विद्रोहाची घटना म्हणूनच केले जाते. याला हिंदू धर्मिय तज्ञ, अभ्यासक जसे जबाबदार आहेत त्यापेक्षाही जास्त जबाबदार आंबेडकरवादी तज्ञ, अभ्यासक आहेत, असे आमचे मत आहे.

डॉ. बाबासाहेब आंबेडकरांनी 14 ऑक्टोबर 1956 रोजी केलेले धम्मचक पवर्तन हा केवळ हिंदू धर्मांविरुध्द बंड करुन दुसऱया धर्मात धर्मांतर करण्याचा पकार नव्हता. त्याचपमाणे ती केवळ एका देशातील  काही लोकांवर लादलेली धार्मिक गुलामगिरी नष्ट करण्याचाही पकार नव्हता. तर तो जागतिक स्तरावर पभावी असलेल्या  उदारमतवादी भांडवलदारी लोकशाही आणि कम्युनिष्ट / समाजवादी हुकूमशाही या राज्यपणालीला नैतिक आचरणाधिष्ठीत कल्याणकारी लोकसंघशाहीचा पर्याय देण्याचा सम्यक पयत्न होता. दुसऱया महायुध्दानंतर  जग भांडवलदारी लोकशाही समर्थक राष्ट्रे व कम्युनिष्ट समाजवाद समर्थक राष्ट्रे अशा दोन गटात विभागले गेले होते. या दोनही गटामध्ये राजकीय आणि आर्थिक वर्चस्व पस्थापित करण्याची पचंड स्पर्धा सुरु झाली होती. जेथे स्पर्धा सुरु होते तेथे विजय मिळविणे या उद्दीष्टाला सर्वोच्च महत्व पाप्त होते. विजय मिळविण्याच्या महत्वाकांक्षेपोटी व्यक्ती मानवी मूल्ये पायदळी तुडवीत जातो. कसेही करुन विजय पाप्त करणे, दिलेले उद्दीष्ट साध्य करणे ही एक पकारची  तृष्णाच आहे. तृष्णेचा अंत करायचा असेल तर त्यासाठी माणसाला संस्कारीत करावे लागेल. माणसाला संस्कारीत करुन नितीवान माणूस घडविण्याची व्यवस्था ना भांडवलदारी व्यवस्थेत आहे, ना समाजवादी व्यवस्थेत आहे. भांडवलदारी लोकशाही राज्यव्यवस्था कायदे -नियमांच्या धाकावर तर कम्युनिस्ट राज्यव्यवस्था शस्त्राच्या धाकावर टिकवून धरली गेली आहे. हे डॉ. बाबासाहेब आंबेडकर या द्रष्ट्या महापुरुषाने जाणले. म्हणूनच  ते काठमांडू येथील भाषणात सांगतात की, ``भय दाखवून लादलेली कोणतीही  विचारपणाली मूळ धरु शकत नाही. मनुष्याची मनोधारणा बदलल्याशिवाय आणि पर्यायाने जगाची मनोधारणा बदलल्याशिवाय जगाची सुधारणा किंवा उन्नती होऊ शकत नाही. मनुष्याची मनोधारणा बदलण्यासाठी विशेष व्यवस्था तत्कालीन रशियन राजवटीने अथवा भांडवलदारी व्यवस्था स्विकारणाऱया राजवटींनी केलेली नाही. या कारणास्तव या दोनही पकारच्या राज्यपणालींना भवितव्य नाही. जगाला आज ना उद्या बुध्दाचाच आश्रय घ्यावा लागणार आहे,' असे भाकीत ते करतात. त्यांचा बौध्द धर्माविषयीचा हा दृष्टीकोन पाहिल्यास त्यांनी बौध्द धम्माला हिंदू धर्माविरुध्द बंड करण्याचे साधन म्हणून नव्हे तर जागतिक राज्यपणालीचे अधिष्ठान म्हणून पाहिले आहे, हेच दिसून येते. आज जागतिक स्तरावर कम्युनिस्ट / समाजवादी हुकूमशाही मरणासन्न झालेली आहे. तर दुसरीकडे निर्बलविध्वंसक भांडवलदार नियंत्रित कंपूशाही (Demarchy) पबळ झाली आहे. यामुळे जग अशांततेने ग्रासले गेले आहे. `जगात जोपर्यंत न्याय मिळत नाही तोपर्यंत शांतता राहणार नाही.' असे भाकीत  डॉ. बाबासाहेब आंबेडकरांनी त्यांच्या 15 ऑक्टोबर 1956 च्या भाषणात वर्तविले होते.  हे पाहता जगामध्ये न्यायाचा अभाव निर्माण झाल्यामुळे कधी नव्हे इतकी अशांतता आणि हिंसक संघर्ष जगाच्या पाठीवरील अनेक देशात निर्माण झाले आहेत. या पार्श्वभूमीवर कल्याणकारी लोकसंघशाहीची कधी नव्हे इतकी गरज निर्माण झाली आहे. ही कल्याणकारी लोकसंघशाही निर्माण करण्याची मूलभूत सुत्रे केवळ बुध्दाच्या विचारातच अंतर्भूत आहेत. त्यामुळे बुध्द विचाराकडे धार्मिक उन्नतीचा मार्ग म्हणून नव्हे तर न्यायाच्या पस्थापनेचा मार्ग म्हणून बघितले पाहिजे.

डॉ. बाबासाहेब आंबेडकरांनी जागतिक स्तरावरील शासनसंस्थांचे नियामक तत्वज्ञान म्हणून विकसित आणि पूर्णरचित केलेल्या बौध्द तत्वज्ञानाला  धार्मिक संपदायाचे स्वरुप दिले गेले आहे. ही अत्यंत क्लेषदायी गोष्ट आहे. धम्मचक पवर्तनाच्या दुसऱया दिवशी `बौध्द धम्माचा स्विकार का केला?' या संबंधीचे स्पष्टीकरण करतांना डॉ. बाबासाहेब आंबेडकरांनी बौध्द धम्माच्या स्विकारानंतर धर्मांतरीत बौध्दांची जबाबदारी किती वाढली आहे, याची जाणीव करुन दिली होती. या पसंगी बोलतांना ते म्हणाले होते की, `तुमच्याबद्दल इतर लोकांना आदर वाटेल, अशी तुम्ही कृती केली पाहिजे. आपण उत्तम रितीने धर्म पाळण्याचा निर्धार केला पाहिजे. नाहीतर महार लोकांनी तो निंदाजनक स्थितीत आणला, असे होऊ नये.' आजच्या संदर्भात बाबासाहेबांचा हा इशारा खरा तर ठरला नाही ना? अशी शंका यावी इतपत धर्मांतरीत बौध्दांचे अधपतन झाले आहे. धर्मांतरीत बौध्दांमधील एकमेकापतीची बंधुत्वाची भावना लयास जातांना दिसत आहे. भारतातील हा असा एकमेव समाजसमूह आहे की, जो पत्येक क्षेत्रात विघटीत आणि शत्रूभावी गटात विभाजित झालेला दिसत आहे. राजकीय क्षेत्रातील विघटन आणि शत्रूभावी विरोध समजू शकतो. परंतु धम्माच्या क्षेत्रातही धर्मांतरीत बौध्दांचे विभाजन चिंताजनक स्तरावर पोहचले आहे.  विजयादशमी समर्थक बौध्द आणि 14  ऑक्टोबर समर्थक बौध्द, विपश्यना समर्थक बौध्द, विपश्यना विरोधक बौध्द, 22 पतिज्ञांचा आग्रह धरणारे बौध्द आणि दर रविवारी वंदना करण्याचा आग्रह धरणारे बौध्द, बौध्दजन पंचायत समितीवाले बौध्द आणि घाटावरचे बौध्द असे अनेक सुक्ष्म संपदाय बौध्दांमध्ये निर्माण होत आहेत. या विभाजनवादी पवृत्तीमुळे बौध्द धम्माचा उत्कर्ष होण्याऐवजी हानी जास्त पमाणात होताना दिसत आहे. विभाजन ही विनाशाच्या मार्गावरील पहिली अवस्था असते. विभाजन  थांबविण्याचे सार्थक पयत्न वेळीच करण्यात आले नाही तर विघटनास सुरुवात होते. एकदा विघटन सुरु झाले तर त्याची परिणिती विनाशातच होते. आजचे आंबेडकरवादी लोक याच अरिष्टात सापडल्याचे  दिसते आहे.

एकीकडे आंबेडकरवादी बौध्दांच्या आर्थिक समृध्दीचा स्तर वाढला आहे तर दुसरीकडे त्यांच्या वैचारिक निष्ठेत डळमळीतपणा आला आहे. वैचारिक निष्ठा डळमळीत होण्यासाठी इतर कोणाला दोष देऊन चालणार नाही. यासाठी स्वतच स्वतचे स्वत्वपरिक्षण केले पाहिजे. पामाणिकपणे स्वतचे स्वत्वपरिक्षण केल्यास आपल्याला आढळून येईल की, बौध्द धम्माचा तत्वज्ञानात्मक केंद्रबिंदू अनिर्बंध स्पर्धेपासून दूर राहून मध्यम मार्गाचे आचरण करणे हा आहे. तर आपल्या अवतीभोवतीच्या जगाचे व्यवहारात्मक तत्वज्ञान अनिर्बंध स्पर्धेत उतरुन लक्ष्यपाप्ती करणे हे आहे. जीवनाचे तत्वज्ञान नियंत्रित मध्यममार्गी आणि व्यवहाराचे तत्वज्ञान अनिर्बंध स्पर्धामार्गी असल्यामुळे आंबेडकरवादी बौध्दांचे मानसिक वास्तव आणि भौतिक वास्तव यात पचंड विरोधाभास निर्माण झाला आहे. यातून सुटका करण्याचा मार्ग म्हणजे आपले मानसिक वास्तव बुध्दाच्या विचाराने परिपूर्ण संस्कारित करुन व्यावहारिक तडजोड न स्विकारता अंतर्बाह्य बौध्द होणे हाच आहे.


खैरलांजीच्या सात वर्षानंतर...!

खैरलांजीच्या सात वर्षानंतर...!

September 30, 2013 at 2:20pm
Sunil Khobragade

भंडारा जिह्यातील खैरलांजी गावात भोतमांगे कुटुंबियांचा वंशसंहाराला आता सात वर्ष पूर्ण झाली आहेत. मात्र, या घटनेची आठवण राज्यातील बौध्दांच्या आणि कमकुवत समाज घटकांच्या मनपटलावून अद्याप पुसली  गेलेली नाही. या वंशसंहाराला पाठबळ देणारे सत्ताधारी व विरोधी पक्षाचे राजकारणी, शासकीय यंत्रणा आणि न्याय व्यवस्थेने या भीषण घटनेचा वापर आंबेडकरवादी जनतेत भयग्रस्तता निर्माण करण्यासाठी केला. तर या एकूणच व्यवस्थेचे दलाल असलेल्या परंतु स्वतला  आंबेडकरवादी म्हणविणाऱया काही राजकारणी व्यक्ती, काही लेखक-विचारवंत तसेच दलित अत्याचारविरोधी कायद्याची ऍडव्होकेसी करणाऱ्या काही अशासकीय संघटनांनी या घटनेच्या भांडवलाचा वापर स्वतची सौदाशक्ती वाढविण्यासाठी केला. ज्या सामान्य जनतेने उस्फुर्तपणे या अमानवीय घटनेचा निषेध करण्यास्तव स्वत:चा जीव धोक्यात घातला त्यांच्या अपेक्षांची पूर्तता सरकारकडून, न्यायपालिकेकडून तसेच चळवळीच्या नेत्यांकडून होऊ शकली नाही.खैरलांजीच्या निमित्ताने भारतातील दलित अत्याचाराचा पश्न जागतिक स्तरावर चर्चिला गेला.जागतिक समुदायाचे लक्ष भारतातील दलित व कमकुवत समुहांच्या होणाऱया मानवी अधिकाराच्या पायमल्लीकडे वेधले गेले.परंतु त्यानंतरही गेल्या सात वर्षात देशातील अनेक भागात दलितांवरील भीषण अत्याचारांच्या संख्येत घट झाली नाही.या पार्श्वभूमीवर दलितांनी आता केवळ प्रतिकाराच्या,ऍडव्होकेसीच्या आणि अस्मितावादी घोळकेगिरीच्या बाहेर पडून अपारंपारिक पद्धतीने चळवळ गतीमान करण्याचा मार्ग शोधणे गरजेचे झाले आहे.
खैरलांजी प्रकरणाच्या व त्यानंतर देशात वाढलेल्या दलित अत्याचाराच्या घटनांच्या निमित्ताने एक गोष्ट स्पष्ट झाली आहे की, भारतातील राज्यकर्ते व सत्तेच्या सहाय्यक यंत्रणांना दलितांच्या मुलभूत हक्कांबाबत आस्था नाही. 26 जानेवारी1950 रोजी लागू झालेल्या भारतीय संविधानाने देशातील दुर्बल व कमकुवत घटकाचे संरक्षण सरकार नावाची यंत्रणा करील अशी तजवीज केली होती. या संविधानाच्या पायावर प्रस्थापित झालेल्या शासनयंत्रणांनी मात्र आपल्या अस्तित्वाचा आधार असलेल्या संविधानाला पायदळी तुडविलेआहे.भारत देशाच्या निर्माणकर्त्यांनी 63 वर्षांपूर्वी हुकूमशाही साम्यवाद आणि  विषमतावादी भांडवलशाही नाकारून कल्याणकारी लोकशाही प्रस्थापित करण्याचे उद्दिष्ट डोळ्यासमोर ठेवले होते. 1991 नंतर सत्ताधारी कांग्रेस व त्यानंतर सत्तेत आलेल्या भाजपने भारताच्या निर्माणकर्त्यांचे हे उद्दिष्ट ठोकरून लावले  आहे. आता अमेरिकन व युरोपियन भांडवलशाही देशांच्या तालावर नाचणारी शुद्ध भांडवली लोकशाही भारतामध्ये प्रस्थापित करण्यात आली आहे. शुद्ध भांडवली व्यवस्थेत ज्यांच्याकडे क्रयशक्ती असेल त्यांचाच माणूस म्हणून विचार केला जातो.  भांडवली व्यवस्थेला भस्मसात करण्याचे सामर्थ्य असलेल्या विशाल लोकसमुहाला एकतर दुर्लक्षित केले जाते किंवा अन्नसुरक्षा, तथाकथित रोजगार सुरक्षा यासारख्या भूल पाडणाऱया योजनांचे गाजर दाखवून दाबून ठेवले जाते. त्यातही स्वाभिमानाचा संघर्ष करणारे जे समुह असतात त्यांना अत्याचार,शारीरिक इजा पोहोचविणे, मूलभूत मानवी अधिकारापासून जबरदस्तीने वंचित करणे यासारख्या माध्यमाचा वापर करून भयग्रस्त अवस्थेत ठेवले जाते. खैरलांजी प्रकरणात अमानवीय अत्याचार करणे, अत्याचाराचा विरोध करणाऱयांवर पोलीसी बळाचा वापर करणे, अत्याचारग्रस्तांना न्यायापासून वंचित ठेवणे हे जे प्रकार घडविण्यात आले आहेत ते दलित बौद्धांना भयग्रस्त करून नियंत्रित करण्याच्या उद्देशाने केले गेले आहेत हे उघड आहे. त्यामुळे आजच्या स्थितीत ही भयग्रस्त मानसिकता समाप्त करणे आणि पर्यायी राज्यव्यवस्था, अर्थव्यवस्था, बाजारपेठीय व्यवस्था आणि प्रतिकार व्यवस्था निर्माण करणे या अंगाने आंबेडकरवादी चळवळीने विचार करणे आवश्यकआहे.
खैरलांजी वंशसंहार प्रकरणाप्रमाणेच जगातील इतर देशात सामाजिक अत्याचाराची जी प्रकरणे घडली आहेत त्याचा मुकाबला करताना संबंधीत समाजसमुहांनी कोणत्या मार्गाचा अवलंब केलाहे पाहणे त्यानिमित्ताने उद्बोधक ठरेल. यासाठी अमेरिकेतील ट्रेव्हन मार्टिन खून पकरणाची तुलना खैरलांजी प्रकरणाशी करणे गैरलागू होणार नाही. अमेरिकेतील फ्लोरीडा राज्यातील स्टॅनफोर्ड शहरात राहणाऱया ट्रेव्हन मार्टिन या कृष्णवर्णिय किशोरवयीन  मुलावर जॉर्ज झिमरमन या गोऱया सुरक्षा रक्षकाने गोळ्या झाडून त्याचा बळी घेतला. काळ्यांच्या संघटनांनी हा वर्णद्वेषातून केलेला खून आहे म्हणून आंदोलन केले. काळ्यांच्या आंदोलनामुळे जॉर्ज झिमरमन यांच्यावर सदोष मनुष्यवधाचा खटला चालविला गेला. मात्र पूर्णत गोऱया न्यायाधिशांचा समावेश असलेल्या न्यायमंडळाने झिमरमनला या प्रकरणात निर्दोष ठरविले. याची तीव्र प्रतिकिया अमेरिकेतील कृष्णवर्णिय लोकांमध्ये तसेच नागरी अधिकारांच्या पुरस्कर्त्यांमध्ये उमटली.कृष्णवर्णियांच्या नागरी अधिकारांसाठी संघर्ष करणाऱया नॅप (एन.ए.ए.सी.पी) संघटनेने संपूर्ण अमेरिकेत या पक्षपाताविरूद्ध जनमत जागृत केले. न्यायालयीन निकालाच्या केवळ एका तासात 1 लाख 30 हजार अमेरिकन नागरिकांनी न्यायालयाचा  निकाल अमान्य असल्याचे व झिमरमन यांच्यावर पुन्हा खटला चालविण्याचे समर्थन करणारे ऑनलाईन निवेदन सरकारला दिले. संपूर्ण अमेरिकेत पक्षपाती कायदे रद्द करण्यासाठी 10 लाख लोक रस्त्यावर उतरले. यामुळे या पकरणाची दखल राष्ट्राध्यक्ष बराक ओबामा यांनी घेऊन आपणही 35 वर्षांपूर्वी ट्रेव्हिन मार्टिनसारखेच होतो असे वक्तव्य केले आणि पक्षपाती कायदे रद्द करण्यासाठी अमेरिकन सरकार पुढाकार घेईल अशी ग्वाही दिली. खैरलांजी प्रकरणाची तुलना या प्रकरणाशी करताना आपल्याला हे लक्षात घ्यावे लागेल की, भारतामध्ये दलितांना स्वत:ची लढाई स्वतलाच लढावी लागेल.  दलितांवरील अत्याचाराच्या विरोधात तथाकथित उच्चजातीय आवाज उठवितील ही अपेक्षा धरणे व्यर्थ आहे. स्वत:ची लढाई स्वतला लढण्याची तयारी करायची असेल तर ज्या व्यवस्थेशी आपण लढणार आहोत ती व्यवस्था कशा प्रकारची आहे हे समजूनघेणे गरजेचे आहे. 65 वर्षांपूर्वी तथाकथित उच्च जातीय हिंदूंच्या अत्याचाराला लगाम घालून दलितांना न्याय देणारे ब्रिटिश सरकार अस्तित्वात होते. आता तसे नाही. आता अत्याचारांना संरक्षण देणारे उच्च जातीय हिंदूंचे सरकार आहे. उच्चजातीय हिंदूंच्या सरकारमध्ये एखादे मंत्रीपद मिळवून किंवा राजकीय सत्ता हातात घेऊन व्यवस्था परिवर्तन घडवून आणता येत नाही हे काँग्रेसमधील फुटकळ मंत्र्यांच्या आणि उत्तर प्रदेशातील मायावती सरकारच्या उदाहरणातून स्पष्ट झाले आहे.  त्यामुळे संघर्षाची दिशा केवळ राजकीय असून चालणार नाही तर ती सामाजिक,सांस्कृतिक, राजकीय आणि आर्थिक अशी सर्वसमावेशक असावी लागणार आहे. पुन्हा खैरलांजीसारख्या घटना घडू नये असे जर वाटत असेल तर सरकारच्या तोंडाकडे पाहून आम्हाला वाचवा अशी आरोळी ठोकून चालणार नाही. अमेरिकेतील कृष्णवर्णीयांनी जशी आपली समांतर सांस्कृतिक आणि आर्थिक व्यवस्था निर्माण केली आहे.तशीच समांतर सांस्कृतिक आणि आर्थिक व्यवस्था दलितांनी निर्माण केली पाहिजे. व्यवस्था जर बाजारपेठीय आहे तरआम्हाला बाजारपेठेचे नियम शिकणे आवश्यक आहे. व्यवस्था जर लाथाबुक्क्यांना घाबरणारी आहे तर आम्हालाही लाठी-दंडा चालविण्याची तयारी करणे गरजेचे आहे. व्यवस्था जर भांडवलदारांच्या हिताची काळजी घेणारी आहे तर आम्हालाही भांडवलदार बनावे लागणार आहे. आजचा व्यवहार बाजारपेठेवर आधारित आहे. त्यामुळे बाजारपेठेत शिरकाव करणे व त्यावर कब्जा मिळविणे हे आपले उद्दिष्ट असले पाहिजे. आम्हाला लागणारी ग्राहक उत्पादने, चैनीच्या वस्तू, व्यापारी उपयोगाच्या वस्तू, सेवा इत्यादी जे काही असेल ते कोणत्याही स्थितीत बनिया-मारवाड्यांकडून, जैन-गुजरात्यांकडून खरेदी न करणे हे हत्यार शहाणपणाने कसे वापरता येईल याचा चळवळीच्या पातळीवर विचार होणे व त्यासाठी नियोजन करणे ही आमच्या संघर्षाची दिशा असली पाहिजे. आतापर्यंत आम्ही रिपाईचे विविध गट,पँथर,बामसेफ,बहुजन समाज पार्टी,काँग्रेस-राष्ट्रवादी काँग्रेस, भाजप-सेना यांचे गुलाम असलेले आमचे अमूक-तमूक भाऊ यांना आगे बढो-संघर्ष करो असे म्हणत अधिकाधिक खिन्न आणि विपन्न होत आलेलो आहोत. या असल्या दळभद्री वागण्यातून आम्हाला स्वाभिमानाचेजगणे पाप्त होणे कठीण आहे याची खात्री आतातरी आम्हाला पटली पाहिजे. म्हणूनच खैरलांजीच्या सात वर्षानंतर चळवळीचे पुनरावलोकन करताना आम्ही एवढेच म्हणू इच्छितो की, कोणीतरी आकाशातला बाप येईल आणि आम्हाला सुखी करून जाईल या भ्रमात आता आम्ही राहू नये. आमची समांतर पर्यायीअर्थव्यवस्था, सांस्कृतिक व्यवस्था, राज्यव्यवस्था निर्माण करण्यासाठी जोमाने कार्यरत होऊ या! असे करताना कोणी जर आम्हाला फुटीरतावादी म्हणत असेल, जातीवादी म्हणत असेल,देशद्रोही म्हणत असेल तर अशांची पर्वा करण्याची गरज नाही. आमचा बाप आणि आम्ही मिळून एक नवे जग निर्माण करू. ज्यामध्ये संघ-भाजप, काँग्रेस त्यांचे मालक अंबानी, टाटा, मित्तल नसतील. मनुवादी ब्राह्मण-बनिये नसतील! संघ-भाजप, काँग्रेस- राष्ट्रवादीची गुलामी करणारे आमच्यातीलच दलाल-भडवे नसतील! असतील ती केवळ मानवतेच्या आणि बंधुभावाच्या धाग्याने एकमेकाशी बांधली गेलेली, माणसाला माणूस म्हणून वागविणारी निखळ धम्मधर माणसे!

          বিষয় : বাংলায় জাতপাত
         বিভাগ : অন্যান্য
         শুরু করেছেন :Pritha
         IP Address : 24.139.86.99 (*)          Date:30 Sep 2013 -- 02:03 AM



Name:  Pritha          

IP Address : 24.139.86.99 (*)          Date:30 Sep 2013 -- 02:05 AM

Prof Sarbani Bandyopadhyay is an Assistant Professor of Sociology at the St Xaviers College, Kolkata, West Bengal. She has written on the caste question in Bengal at various places, which includes EPW.

Here, in the first part of this series of videos, Prof Bandyopadhyay tells us about the political movements of lower castes in undivided Bengal, the initial history of the Matua movement, the political works of figures like Manindra Nath Mondal, Jogendra Nath Mondal etc. She explains the close political link in undivided Bengal between the lower caste Muslims and Hindus, and how the partition came as a clear political boon for the caste Hindus.

*Note: There is a section where Prof Bandyopadhyay speaks of a caste hierarchy in Bengal that was based on the right to fetch water. In Bengal, this was slightly different from the usual practice of untouchability, and is called 'a-jalachal'. There were, among the Untouchables as well as other non-upper-castes, a select number of caste groups who could fetch water from communal ponds and wells, while others could not. This did not perfectly co-inside with the groups who were 'Asprishya-s'; and it varied regionally a great deal. In short, it worked like a second-order untouchability, making the system even more oppressive and complex.


https://www.youtube.com/watch?v=4jE7_mp_0jg

Name:  Pritha          

IP Address : 24.139.86.99 (*)          Date:30 Sep 2013 -- 02:24 AM

নমস্কার। আমি পৃথা, হায়েদ্রাবাদেয় থাকি, এখানে পিএইচডি করছি ইংলিশ এন্ড ফরেন লান্গুয়াগেস ইউনিভার্সিটি-তে। আমার কিছু বন্ধু বান্ধব ও আমি একটি youtube চ্যানেল চালাই, নাম দলিত ক্যামেরা। এই চ্যানেল-টি শুরু করেন রাভিচান্দ্রান চাক্কিলিয়ান বলে একজন পিএইচডি স্টুডেন্ট যিনি তামিল নাডুর Arundhatiyaar নামক scavenger caste থেকে উঠে এসেছেন অনেক বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে।আমরা বিগত ২ বছরের ওপর ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে SC /ST/OBC এবং minority -দের ওপর নানাবিধ খবর, আলোচনা, তথ্য যোগার করে এই চ্যানেল-এ জড়ো করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য যে খবর tv তে দেখানো হয়না বা যে সব আলোচনা আমাদের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া করেনা সেগুলো সামনে আনা। এই মাস থেকে আমরা পশ্চিমবঙ্গের জাতপাত সমস্যা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমাদের কলকাতার প্রতিনিধি একজন কেরালা-র ছেলে, নাম Georgy Kuruvila , তিনি পাটুলি তে সেন্টারে ফর সোশ্যাল সাইন্সেস-এ পিএইচডি করছেন, তার ফোন নম্বর 8281296574 ।

গুরুচন্ডালির কাছে আমরা কৃতগ্য তারা আমাদের এইখানে স্থান দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কাজটা ডকুমেন্ট করার জন্য ও আপনাদের কাছে তুলে ধরার জন্য। আমাদের youtube চ্যানেল-এর লিংকhttps://www.youtube.com/user/kadhirnilavan?feature=ওয়াচ



Name:  debu          

IP Address : 82.130.151.116 (*)          Date:30 Sep 2013 -- 03:42 AM


https://www.youtube.com/watch?v=tPHHcJHqXOc

Name:  Pritha          

IP Address : 24.139.86.99 (*)          Date:30 Sep 2013 -- 09:50 PM

In the second part of a series of videos, Prof Bandyopadhyay talks about the deep-seated casteism in the bhadralok-dominated Left politics of West Bengal, and how it led to the MarichjhNapi massacre, which was a state-organized genocide of Dalits that saw a death-toll of seven thousand!


https://www.youtube.com/watch?v=-PqhAaE9TJ8

Name:  Pritha          

IP Address : 24.139.86.99 (*)          Date:01 Oct 2013 -- 10:39 PM

In the last part of this series of videos, Prof Bandyopadhyay talks about miscellaneous issues of deprivation of lower castes in West Bengal: from educational sector, from jobs etc. She points out how the scavenging sector is kept to the lower caste, even through the illegal practice of 'outsourcing' such government jobs. She also speaks about the theoretical understanding the Left parties have of 'caste' and how that completely ignores the most primary experience of oppression by most Indians, that is, caste violence.
Caste in West Bengal Part 3: The 'Bhadralok' Ploys of Defeating Reservation

https://www.youtube.com/watch?v=KWLC1ml5Qak

Name:  Pritha          

IP Address : 24.139.86.99 (*)          Date:03 Oct 2013 -- 04:59 AM

Bapi Mondal, an artist from the Poundra caste, member of DAFODWAM (Democratic Action Forum of Dalits, Women and Minorities) and an anti-eviction activist from Nonadanga, West Bengal, speaks of his life as a dalit in Bengal. He tells us how his entire life, and of his ancestors, have been lived as a perpetual evictee, and how the illusive 'freedom' and 'democracy' of India have always failed to provide them with the basic human needs: food, clothing, abode. He describes how for the government and the upper-caste leaders of political parties they are nothing more than a 'son of a pig'.He continues to fight these injustices against all the odds.


http://www.youtube.com/watch?v=p3BLyt6z4TM

Name:  Pritha          

IP Address : 212.153.41.162 (*)          Date:12 Oct 2013 -- 12:54 AM

A Bengali Muslim student from Jadavpur University talks about the various problems faced by Muslim students trying to find accommodation in Kolkata. While most landlords turn them away, even the brokers charge more from them because they allegedly have to face more "risk". While most of the Hindu festivals are celebrated in the Jadavpur University hostels including Saraswati Puja and Viswakarma Puja, when they tried to organise a seminar on the occasion of Ramzan on campus, the administration refused to allow them to do so because it was allegedly a "religious festival". He also talks about the various difficulties faced by him among the students because he is a Muslim. They have not tried to create any organisation to support our cause as yet. But he agrees that lower castes and Muslims should come together to create a political organisation because even they face the same problems as him. Pointing out caste discrimination in the hostels, he says that when a ST student passes by the corridor, other students often pass comments like "where is that black (dark-skinned) boy going? How did he get in here?" Even the student unions are dominated by upper-caste Hindus although the lower castes and Muslims put together are often more in number in the hostels. So they are trying to come together under the same banner. He ends saying, "I could not even get any mess service... It feels really bad that because I am a Muslim, I cannot be accepted as a Bengali."


https://www.youtube.com/watch?v=6JOkdEuhmD0

Name:  Pritha          

IP Address : 212.153.41.162 (*)          Date:12 Oct 2013 -- 12:55 AM

In order to eradicate caste discrimination, Matua 'Kabigaan' singers sing songs about the source of this caste system.


http://www.youtube.com/watch?v=zRXOZRJTI7k

Name:  Pritha          

IP Address : 212.153.41.162 (*)          Date:12 Oct 2013 -- 12:56 AM

Matua singers present 'kabigaan' (song of the poets) as a mark of protest against caste discrimination. This particular song mocks the false honour of the upper castes which they lose by the mere touch of the Dalits.


http://www.youtube.com/watch?v=cAzlfdoRsSM

Name:  Pritha          

IP Address : 212.153.41.162 (*)          Date:12 Oct 2013 -- 12:59 AM

A brief history of Dalit political movements in post-Emergency Bengal

Intro of speaker: Ranjit Kumar Hira, who contributed generously lot of money, time and efforts into Bahujan Samaj Movement in West Bengal, was the 'giant' behind that movement in West Bengal. Ranjit Kumar Hira was also the person who headed SC/ST and Buddhist Employees Federation in Reserve Bank of India.

Employees from SC background were abused and discriminated against for a long time in government offices in Bengal. In 1980s he began to be associated with DS-4, BAMCEF and later Bahujan Samaj Party. Kasiram asked them to unite and follow Babasaheb Ambedkar. In 1981, he realised the importance of Ambedkar's teaching. In the late 80-s he started the birthday celebration of Babasaheb Ambedkar in Reserve Bank of India. Initially there was resistance from the officers, but ultimately it was accepted across most offices. He was a member of the SC/ST Federation of RBI employees. Nearly 40 people came for their meetings every Saturday. He also speaks about his gradual disillutionment with BSP. He then goes about speaking about the dalits who came from East Bengal after partition and how the worst places, marshlands, were designated for them. The government made things worse for them when they were sent to Dandakaranya and Andaman. The placement of the refugees were as per caste. He then speaks about the left-government's role in killing so many lower castes in Marichjhanpi. When the left came to power, they realised how unorganised the dalits in Bengal were. He says that SCs are Harijans, caught in the trap of Gandhiji's upper caste ideology. It is the dalits who speak of lower caste people as humans with self respect and fight for their rights. He then speaks about Jogen Mondal's contribution to lower castes in Bengal. He ends speaking about the effect of partition of Bengal on them.


http://www.youtube.com/watch?v=hV5C_Mj1Eb4

Name:  Pritha          

IP Address : 212.153.41.162 (*)          Date:12 Oct 2013 -- 01:00 AM

Paromita Chakraborty is a Reader, Department of English, Jadavpur University. She has been active as an activist with the Durbar Mohila Samanway Committee, a non-profit organization working with the sex workers of Kolkata.

In this video she acknowledges that the Bengali intelligentsia are incapable of 'reading'caste. She profiles the caste hierarchies of sex workers, and how no work has been done at all on the caste question among them.


http://www.youtube.com/watch?v=SQdopkHlQc0

Name:   π           

IP Address : 172.129.44.87 (*)          Date:12 Oct 2013 -- 01:21 AM

যাদবপুরের ছাত্রের বয়ানের ভিডিওটি নিয়ে গ্রুপে প্রচুর তর্ক হয়েছে। একটা লিং রইলোঃhttps://www.facebook.com/groups/guruchandali/662747033743246/?notif_t=
group_comment_reply

Name:   π           

IP Address : 118.12.173.94 (*)          Date:14 Oct 2013 -- 03:22 AM

ফেবু গ্রুপের এই তর্ক সূত্রে (https://www.facebook.com/groups/guruchandali/663911293626820/?notif_t=group_comment জানলাম, গ্রামের দিকে পুজোতে নাকি প্রচুর ছুত অচ্ছুত ব্যাপারস্যাপার আছে। প্রচুর নিচুজাতের মানুষের ঠাকুর ছোঁওয়ার অধিকার নেই। হয়তো কোলকাতাতেও আছে। কোনোদিন তো সেভাবে খোঁজ নিইনি বা নিতে চাইনি। আমাদের হাউসিং এর পুজোয় জমাদারের কাজ করা বুড়িমা , রাধাদিরা ঠাকুর ছুঁতে পেত কিনা। হয়তো কোনোদিন ছুঁতেই চায়নি। বা জেনে এসেছে, ছুঁতে নেই। কে জানে। একদিকে ভাবি এইসব অসুর পুজো টুজো করে জাতপাতের সমস্যা খুঁচিয়ে তৈরি করা হচ্ছে, আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, সেটা ভিতরে ভিতরে আছেই, সেটাকে সেভাবে স্বীকার করিনি বা সেই নিয়ে খোঁজই নিইনি। অসুর পুজো ভাল ব্যাপার নয় বলছি একদিকে, কিন্তু সেভাবে চালু হয়ে গেলে কি এই নিচুজাতের লোকজনের নিজেদের একটা ছোঁয়াছুঁয়ির ভেদাভেদবিহীন পুজো হবে, সেটা ভালো হবে ? জানিনা। নাকি, আরেকটা বিভেদকারী কিছু চালি না হয়ে এক্সিস্টিং পুজোগুলোতে ছুঁৎমার্গ ওঠানো নিয়ে কিছু হলে ভাল হত। আবার সেটা বলতে গেলেও তো খটকা লাগে। একদিকে বলব, পুজোর ধর্মীয় দিকটাই মানিনা, অন্যদিকে সেটার রিফর্মের কথা বলবো। ধন্দ লাগে।

যাই হোক, অসুর পুজোর খবর আর ভিডিও।

http://www.ebela.in/epaperimages/11102013/11102013-md-hr-4/4337515.jpg


http://www.youtube.com/watch?v=Prg5R7QTIlM&feature=youtu.be

অসুর পুজো নিয়ে এমনিতেই আপত্তি ছিল কিছু। এক তো এর ঐতিহাসিক ভিত্তি কী ? যদি মিথও হয়, তো অনেকে অভিযোগ করছেন, এই মিথ সাঁওতালদের মধ্যে অনেকদিন ধরে প্রচলিত এমন নয়, ইদানীং নাকি কিছু লোক গিয়ে প্রচার করে এই গল্পটি বানিয়েছেন যে সাঁওতাল রাজা মহিষাসুর ছিলেন। এটা নিয়ে কেউ আলোকপাত করলে ভালো হয়। তবে সেরকম কোন গল্পকথা কোন কালে কোথাও থেকে থাকলেও, সেটা যদি প্রচলিত না হয়, আর আজ দুর্গাপুজোকে সেই দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখা না হয়, তাহলে সেই নিয়ে এখন খুঁচিয়ে ঘা করে লাভ কী ?
দ্বিতীয়তঃ , অ্যান্টি দুর্গাপুজো ক্যাম্পেন করে একটা ভেদাভেদ নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে নাকি ? যাঁরা এমনি উৎসবের আনন্দে পুজোয় অংশ নেন, এরকম একটা বড় অংশের সাথেও বিভেদ তৈরি করা হবে।

ভিডিওটা দেখতে দেখতে অন্য আরো কিছু আপত্তিকর জায়গা খুঁজে পেলাম। দুর্গাকে বেশ্যা বলে গালি দেওয়া। এক তো এই দিয়ে লোক তাতানো। মূল আপত্তি অবশ্য বেশ্যা শব্দটাকে গালি হিসেবে ব্যবহার করা নিয়েই। আর দ্বিতীয় ও সবচেয়ে বড় আপত্তি, এই ভিডিওটা তে 'অসুররাজ প্রতিষ্ঠার' দাবি শুনে। ব্রাহ্মণ্যবাদ খারাপ, কিন্তু একটা আধিপত্যকে কাউণ্টার করতে গিয়ে আরেকটা আধিপত্যবাদের জন্ম দেওয়া ? এটা বড় বিপজ্জনক ট্রেণ্ড মনে হল।

http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1380486808869#writehere



দুর্গাপূজা না নরমেধ যজ্ঞ -১

শরদিন্দু বিশ্বাস

অসুরদের কাছে বেধড়ক মার খেয়ে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হওয়ার কাহিনী আর্যদের প্রতিটি গ্রন্থেই  ক্ষোভের সাথে উল্লেখ আছে এই স্বর্গে কি এমন মধুক্ষরাঢালাও ব্যবস্থাপনা ছিল যে সেখান থেকে অপমানিত হয়ে বন বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানোর গ্লানি আর্যরা কিছুতেই ভুলতে পারেনা?  এবং যার জন্যে এই ভূদেবতারা রাশিকৃত বাইয়ের পাহাড় তৈরি করে তাদের জিঘাংসাকে ব্যক্ত করেছে। ক্ষোভ উজাড়া করে দিয়েছে এবং অসুরদের নিধন করার জন্য অস্ত্র-শস্ত্র, ধর্ম-অধর্ম; অন্যায়-অপকর্ম এবং দুষ্কর্মের পথ গ্রহণ করতে কার্পণ্য করেনি!  এই আজগুবি গাঁজাখুরি মাইথলজির চরিত্রগুলিকে ঐতিহাসিক চরিত্র বলে জণমানসের মধ্যে সঞ্চালিত করে দেবার মধ্যে কী এমন গূঢ়ার্থ রয়েছে যে এগুলি না থাকলে ভূদেবতারা অপাংক্তেয় হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা বোধ করছে! এই চালিয়াতি, ধাপ্পাবাজি ও চালাকিগুলি কালে মিথ্যে বলে প্রমানিত হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্যেও কেন তারা পাহাড় প্রমান পুঁথি তৈরি করে করে নিজেদের চৌর্য বৃত্তি, লাম্পট্য ও নীতিহীনতা লিপিবদ্ধ করে রাখল তার মূল রহস্য জানা দরকার। এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারলেই বোধহয় দেবাসুরের মৌলিক লড়াই এবং নিরন্তর দ্বন্দ্বের রহস্যভেদ করা সম্ভব হবে।    

স্বর্গ কোথায়?

ভুদেবতাদের বর্ণনা অনুসারে স্বর্গের অবস্থানটা  বেশ হেঁয়ালি পূর্ণকিন্তু তারা প্রতিনিয়ত দাবী করেছে স্বর্গই দেবতাদের আদি নিবাস তাদের পিতৃভূমি। যেখান থেকে দেবতারা তিন ভূবনের কোথায় কি হচ্ছে দেখতে পায়। যেখানে কোনদিন রাত হয় না। সহস্র সূর্য আলোকিত করে রাখে। কিন্নরীদের নুপুর নিক্কন আর অনন্ত যৌবনা অপ্সরাদের দেহ মধু ভাণ্ড পান করে গন্ধর্ব, কিন্নর ও দেবতারা যেখানে অন্তহীন সুখ ভোগ করতে থাকে। দেবতাদের কাঙ্ক্ষিত এই অমর লোকের হদিস পেতে হলে ঋক বেদের দশম মণ্ডলের পুরুষ সূক্তের ৯০ শ্লোক থেকে খুঁজতে হবে। এতে বলা হয়েছে  

-      পুরুষ নিজেই হল সমস্ত বিশ্ব। তিনি অমর জগতের প্রভু ...

-      এই পুরুষকে উৎসর্গ করে দেবতারা যখন যজ্ঞ করলেন তখন বসন্ত ছিল তার মাখন, গ্রীষ্ম হল তার আগুন এবং শরৎ হল তার নৈবেদ্য।

-      এই পুরুষকে দেবতারা ঘাসের উপর বলি দিলেন। ব্রাহ্মণ হল তার মুখ, রাজন্য হল তার বাহু, বৈশ্য হল তার উরু এবং পায়ের থেকে সৃষ্ট হল শূদ্র।

-      নাভি থেকে উঠে এল বাতাস, মাথা থেকে আকাশ, পা থেকে পৃথিবী, কান থেকে চতুর্দিক।

-      দেবতারা আকাশকে স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে স্থাপন করলেন।

মনু সংযোজন করলেন, "স্বয়ম্ভু জীব সৃষ্টি করার জন্য প্রথমে জল ও তার মধ্যে বীজ (বীর্য) প্রথিত করলেন। সেটা ডিমের আকার নিল। এই ডিমের থেকে ব্রহ্মা জন্ম নিল। এই ডিম দুই ভাগে ভাগ হল। এক ভাগ হল স্বর্গ এবং অন্য ভাগ হল পৃথিবী। এই দুইয়ের মাঝখানে আকাশকে স্থাপন করা হল। অর্থাৎ বেদের দশম মণ্ডল ও মনুর সংযোজনের মধ্যে স্বর্গ ও পৃথিবীর অবস্থান নিয়ে একটি সাযুজ্য আমারা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু পরবর্তী কালের রচিত পুরাণ, শ্রুতি শাস্ত্র, রামায়ন, মহাভারত ইত্যাদি  গ্রন্থগুলির বর্ণনা শুনে মনে হতে পারে যে স্বর্গটা হিমালয়ের কোন একটি অঞ্চল হবে  কৈলাস পাহাড়েরআসে পাসে কোন এলাকা, অথবা মানস সরোবরের সন্নিকটে অপূর্ব সুন্দর কোন এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল মহাভারতের পঞ্চ পান্ডব তো পায়ে হেঁটেই স্বর্গে পৌঁছে যাবার বন্দোবস্ত করেছিল। ধন্ধটা বেস মজাদার যদি  আমারা জায়গাটাকে হিমালয়ের কৈলাসের আশেপাশের কোন এলাকা ধরি তবে বেজায়ফ্যাসাদে পড়ে যেতে হবে কেননা  আর্যদের আসার বহুকাল আগেই এ অঞ্চল প্রোটো অস্ট্রাল ও মঙ্গোলয়েড মানুষের দখলে এসে গেছে আবার যদিআকাশের ওপারের কোন জায়গা ধরি যে, সেখানে গিয়ে অসুরেরা  দেবতাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল; এটা বড় বেমানান লাগবে এবং ভীষণহাস্যরসের উপাদান জোগাবে। এবং এই হাস্যরস শেষ পর্যন্ত নিজেদের অশিক্ষিত ও অসভ্য হিসেবে প্রতিপাদিত করবে   

তবে দেবতারা স্বর্গ প্রাপ্তির জন্য এত লালায়িত কেন? কি এমন আলাদা রসনালয় এই স্বর্গ?

এ হেঁয়ালির খানিকটা লিখিত উপাদন জোগাতে পারে অসিরিয়  সভ্যতার অসুর নগরী সম্রাট অসুর বাণী পালের লাইব্রেরীতে প্রাপ্ত ২৫০০০ ক্লেটেবলেটস পৃথিবীর সর্ব প্রাচীন এই  লাইব্রেরী থেকে জানা যায় যে, একদিকে অসুর নগরী যেমন  শিল্প সভ্যতা ও স্থাপত্যে সর্বোচ্চতা লাভ করেছিল; অন্যদিকে এর তাক লাগিয়ে দেওয়া বৈভব বহু দস্যু, লুঠেরাদের আক্রমণ করার জন্য প্রলুব্ধ করেছিল। বাইবেলের কাল শুরু হওয়ার বহু আগেই এই অসুর নগরীসুখ্যাত ছিল বাইবেলের old Testament-এর শুরুতে এই নগরী উল্লেখ করেছে

"A river watering the garden flowed from EDEN, and from there it divided, had four head streams …….The name of the third is the Tigris, it runs along the east of ASSUR. And the fourth river is the Euphrates". ...Genesis, Old Testament, Holly Bible.

ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদী দ্বয়ের মাঝে অবস্থিত অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল সুমহান অসুর সভ্যতা বা আসিরিয়ান সভ্যতা দক্ষিনের অংশটি সুমের বা সুমের-আক্কাদ গ্রীক লেখকেরা এই সভ্যতাকে মেসোপটেমিয়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন মেসোপটেমিয়া কথার অর্থ হল দুই নদীর মধ্যবর্তী দেশ এই দেশেররাজধানী "অসুর" তাদের সুমহান ঈশ্বরের নামে পরিচিত ছিল নিনেভ শহর ছিল উন্নত অসুর সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র একটি জাঁকজমক পূর্ণ শহরআরমেহেরগড়, হড়প্পা ও মহেঞ্জোদড়ো ছিল এই সুউন্নত অসুর সভ্যতার সহ নাগরিক , যাদের যৌথ প্রচেষ্টায় গড়ে গড়ে উঠেছিল সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের ভাবনা

অসুর রাজারা ছিলেন প্রজ্ঞাবান ও ন্যায় পরায়ণ। একদিকে তারা ছিলেন প্রজাবৎসল কিন্তু অন্যায়কারীদের কাছে বিভীষিকা। নিষ্ঠুর ও একরোখা। ক্লটেবলেটস ও পরবর্তী কালের জেন্দাবেস্তায় অসৎ অন্যায়কারী ও দুশ্চরিত্রদের আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যান ("বার‍্যুয়া" শব্দটি এখনো চন্ডালী ভাষায় দুশ্চরিত্রকে বোঝায়) হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এই সকল অকর্মা, অসৎ অন্যায়কারী ও দুশ্চরিত্র আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের নির্বাসন দেওয়াই ছিল  অসুর নগরীর বিধান। অসুর রাজারা এদের কঠোর হাতে দমন করেছে এবং নির্বাসন দন্ড দিয়ে বিতাড়িত করেছে দূরে। কিন্তু সম্পত্তি লুন্ঠন ও লাম্পট্ট বজায় রাখার জন্যই আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানেরা সংগঠিত ভাবে বহুবার অসুর নগরী আক্রমণ করছে, নগর ধ্বংস করেছে, পুরুষদের খুন করেছে এবং মহিলাদের বন্দী করে দুর্গে নিয়ে গেছে। যথেচ্ছ যৌনাচার চালানো হয়েছে তাদের উপর। লুণ্ঠন করা সম্পদ, নারী ও সুরার এই ত্রয়ী সমন্বয়ে দুর্গ হয়ে উঠেছে স্বর্গের ছাউনি। অন্তহীন সুখসাগর। আর এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই   আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষের ভাবনা তাদের জীবন দর্শণের মধ্যে চিরস্থায়ী ভাবে প্রথিত হয়ে গেছে

আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের এরকম একটি আক্রমণের প্রেক্ষাপ্ট ঐতিহাসিক গুস্তাভ তুলে ধরেছেনঃ   

"About 2500 B.C.  the Accaddian dybasty had reigned for long period in Babylon the Aryans invaded Chaldia and pressing at the same time on the Kannanites of the Persian Gulf and Dravidian in Persia, drove the formers towards North-west and the later to the South-East of India". Dr. BR Ambedkar, W &S-Vol-12 P. 14.       

অর্থাৎ খ্রিষ্ট পূর্ব ২৫০০ বছর আগে থকেই আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের বেলেল্লাপনার ইতিহাস আমরা জানতে পারছি বিভিন্ন সূত্র থেকে। একই ভাবে খ্রিষ্ট পূর্ব ১৫০০ বছর আগে তারা যে খাইবার-বোলান গিরি পথ ধরে অনুপ্রবেশ করে হড়প্পা, মহেঞ্জোদড়োর, লোথাল, ধলাভিরা, কালিবঙ্গান প্রভৃতি সুমহান অসুর নগরগুলিকে লুণ্ঠন করে ধ্বংস করেছিল, পুরুষদের হত্যা করে নারীদের বন্দী করে দুর্গে নিয়ে এসে ভোগ করেছিল তা লিপিবদ্ধ হয়েছে বেদ, পুরান, উপনিষদ ও পরবর্তী কালে মহাকাব্যগুলিতে বেদের ৭ম মণ্ডলে  দেবাসুরের  এমনই এক যুদ্ধের কথা বর্ণীত হয়েছে যা দশহরা (Battle of Ten Kings)বা দশেরা নামে পরিচিত।

Battle of Ten Kings - দশহরা বা দশেরা

এই যুদ্ধের বর্ণনা হিসেবে বেদের সপ্তম মণ্ডলের ১৮ তম লোকটি দেখুনঃ

purolaa it turvasho yakshur aasheed raaye matsyaaso nishitaa apeeva |

shrushtim cakrur bhrgavo druhyavash ca sakhaa sakhaayam atarad vishuco || 7.018.06

Eager for spoil was Turvaśa Purodas, fain to win wealth, like fishes urged by hunger.

The Bhgus and the Druhyus quickly listened: friend rescued friend mid the two distant peoples.


aa pakthaaso bhalaanaso bhanantaalinaaso vishaninah shivaasah |

aa yo anayat sadhamaa aaryasya gavyaa trstubhyo ajagan yudhaa nrn || 7.018.07

Together came the Pakthas, the Bhalanas, the Alinas, the Sivaas, the Visanins.

Yet to the Trtsus came the Ārya's Comrade, through love of spoil and heroes' war, to lead them.

arṇāṃsi cit paprathānā sudāsa indro gādhāni akṛṇot supārā |

śardhantaṃ śimyum ucathasya navyaḥ śāpaṃ sindhūnām akṛṇod aśastīḥ || 7.018.05

What though the floods spread widely, Indra made them shallow and easy for Sudās to traverse.

He, worthy of our praises, caused the Simyu, foe of our hymn, to curse the rivers' fury.

এই যুদ্ধে অসুরদের মধ্যে সুদাস দেবতাদের পক্ষ নেয়দেবরাজ ইন্দ্র সুদাসের সহযোগিতায় অসুর রাজ দ্রুহু, ভৃগু, তুরবাস, পাক্তা, ভালানাস, আলিনা, ভিসানী ও শিবকে পরাজিত করে। বর্তমান পাঞ্জাবের রাবি নদীর তীরে এই যুদ্ধে দশ অসুর রাজাকে পরাজিত করে দেবতারা তাদের সমস্ত সম্পদ লুট করে নেয়। দাসসুলভ আনুগত্যের জন্য সুদাস কে পুরস্কৃত করা হয়। অসুর রাজাদের পরাজিত করে যে বিজয় উৎসব পালন করা হয় তার নাম দশহরা বা দশেরা।  দশহরা মূলনিবাসিদের নিধন যজ্ঞ। ভূদেবতাদের বিজয় উল্লাস।

কৃষ্ণ ও ইন্দ্রের যুদ্ধ ঃ  

এই যুদ্ধের কথা এখানে উল্লেখ না করলে আলোচনাটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে মনে করি।   সম্ভবত এরকম একটি যুদ্ধের পরেই ভূদেবতাদের কায়েমী দর্শন ভারতবর্ষে প্রসারিত হতে আর তেমন বাঁধা থাকেনি । এটি  "অংশুমতি"র যুদ্ধ নামেও পরিচিত। বেদ অনুশারে কৃষ্ণ ছিলেন অসুর রাজা যিনি তারমাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য অংশুমতি নদীর তীরে দশ হাজার সৈন্য সহ আর্য সেনাপতি ইন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রস্তুতি নেন ইন্দ্র তার মহিলাগুপ্তচরদের কাছ  থেকে কৃষ্ণের অবস্থান জানতে পারে (৮/৯৬/১৩-১৪ঋকবেদ) সরাসরি আক্রমণ না করে ঘুর পথে কৃষ্ণের রাজধানী আক্রমণ করে এবংরাজা হৃজিশ্বন সহ কৃষ্ণের গর্ভবতী স্ত্রীদের হত্যা করে (১/১০১/১ঋকবেদ) এরপর ইন্দ্র  কৃষ্ণকে আক্রমণ করে তার সৈন্যদের হত্যা করে এবং তাঁকেপুড়িয়ে মেরে ফেলে (১/১৩০/৮ ঋকবেদ)  

কিন্তু কৃষ্ণ, ভারতবর্ষের এমন কিংবদন্তি রাজা ছিলেন যে,তার প্রজা বর্গ দীর্ঘদিন ধরে বৈদিক শাসন গ্রহণ করেনি বিশেষকরে নাগ, চন্ডাল, কোল,মুন্ডাপ্রভৃতি প্রাগার্য মূলনিবাসী জনপুঞ্জ এত শক্তিশালী ছিল যে, তারা আর্যদের শাসন ও সংস্কৃতি বর্জন করেছিল খ্রিস্টপূর্ব ১৮৭ সালে সম্রাট অশোকেরপ্রোপৌত্র অসুর-চন্ডাল রাজা বৃহদ্রথকে হত্যা করে পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মূলনিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ মূলক আক্রমণ আরম্ভ করে ধ্বংস করে দেয় মূলনিবাসীবহুজনের দর্শন,সংস্কৃতি ও সভ্যতার ইমারত পুড়িয়ে ফেলে বিশ্বের সর্বচ্চ জ্ঞানের সম্পদ শাস্ত্ররাশি মূলনিবাসীর রক্তস্নানের পূণ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় নরমেধ যজ্ঞের চিরস্থায়ী বন্দবস্ত। চতুর্বর্ণ সমাজ পুষ্যমিত্র শুঙ্গের পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত হয় রামায়ণ,মহাভারত, মনুস্মৃতি নামক আর্য সমাজের অমৃতকথাফিরিয়ে আনা হয় কৃষ্ণকে অসুরের বেশে নয়, একেবারে ব্রাহ্মণদের বিধাতা ঈশ্বর হিসেবে তার মুখ দিয়েই অমৃত বর্ষণ করা হয়

"yada yada hi dharmasya glanir bhavati bharata

abhyutthanam adharmasya tadatmanam srjamy aham"

paritranaya sadhunam vinasaya ca duskrtam

dharma-samsthapanarthaya sambhavami yuge yuge"

TEXT 7(চতুর্থ অধ্যাআয়, গীতা)

ব্রাহ্মন্যবাদী কৃষ্ণকে দিয়ে শুরু হয় অসুর বধের মহাযজ্ঞ মানুষকে হত্যা করা হয়ে ওঠে ধর্মযুদ্ধধর্মের নামেই চলতে থাকে অবাধ নরমেধ।   

"dharma-ksetre kuru-ksetre samaveta yuyutsavah

mamakah pandavas caiva kim akurvata sanjaya"

একই ভাবাবে পৌরাণিক যুগে মহাজ্ঞানী গোতমের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয় অসুর শিবকে। পৌরাণিক কাহিনীতে শিব আর দাস বা অসুর রাজা নন তিনি দেবাদিদেব মহাদেব।

অপসরা মেনকার বিনিময়ে ইন্দ্রপ্রস্তের সন্ধি ঃ

(মহাভারতের বনপর্ব বা মার্কেন্ডেয় পুরান অনুশারে)  

যুদ্ধ, নরহত্যা, সম্পদ লুন্ঠন, নারীদের বন্দী বানিয়ে দুর্গে নিয়ে এসে তাদের উপর যথেচ্ছ যৌন নির্যাতন চলতে থাকে নির্বিচারে। বেদের অমৃত বাণী  (যে যত অসুরদের হত্যা করতে পারবে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করতে পারবে স্বর্গে তার তত বেশি সুখ ভোগের ব্যবস্থা হবে। ইন্দ্র তাকে নারী, সুরা ও সম্পদ দান করবে) এই সকল নরমেধকে উৎসাহিত করতে থাকে।

" হে ইন্দ্র, আমাদের পাপ সকল লঘু করো। আমাদের ঋকের শক্তি দাও, যেন ঋক হীন মানুষদের আমরা বধ করতে পারি। যারা  ঋক শূন্য যজ্ঞ শূন্য ও ব্রাহ্মণ হীন তাদের শেষ করো"। ঋক ১০/১০৫/৮  

নরমেধের এই মহামন্ত্র ধ্বনিত করে ইন্দ্রের বাহিনী অসুর মহামতি গিরিরাজের অঙ্গরাজ্যে অনুপ্রবেশ করে। গিরিরাজ ইন্দ্রকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে। বাঁচার উপায় না দেখে ইন্দ্র যুদ্ধ বিরামের প্রতীক হিসেবে শ্বেত পতাকা উড়িয়ে দিয়ে সন্ধির প্রস্তাব দেয়। এই সন্ধির বিনিময়ে গিরিরাজ ইন্দ্রকে এক খন্ড ভূমি প্রদান করেন যা ইন্দ্রপ্রস্ত নামে পরিচিত। আর স্বর্গের প্রধান অপসরা মেনকাকে পান গিরিরাজ।  এই যুদ্ধে গিরিরাজ ইন্দ্রকে বন্দী করতে পারতেন, হত্যা করতে পারতেন। কিন্তু তাতে যুদ্ধের নীতি লঙ্ঘিত হতো। প্রজ্ঞাবানেরা তা করতে পারেন না। তাদের শীল, পারমিতা ও মার্গ দর্শনের মধ্যে জিঘাংসা অনুপস্থিত। ভূদেবতাদের দর্শনের সাথে অসুর দর্শনের এটাই মূলগত পার্থক্য।  

মেনকা দান আসলে অসুর নিধনের সামাজিক প্রকৌশল ঃ     

এ আর এক নতুন যুদ্ধ। নতুন প্রকৌশল। যে কৌশলের মধ্যদিয়ে ভূদেবতারা অসুর পুরীর একেবারে অন্দরে ঢুকে তাদের কায়েমী স্বার্থ চরিতার্থ করতে সক্ষম হয়েছিল। বিষকন্যা ও সেক্স গার্লদের ব্যবহার করার উল্লেখও পাওয়া যায় বিভিন্ন গ্রন্থে। প্রজনন বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে বর্ণ সংকর তৈরি করে চতুর্বর্ণ প্রথা কায়েম রাখাই ছিল ভূদেবতাদের উদ্দেশ্য। এই ভাবেই ভুদেবতারা   ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছিল অসুরদের বল, বীর্য ও মেধা।

মেনকা ও গিরিরাজের কন্যা উমা। শিবের সাথে তার বিয়ে হয়। এই শিবের আবার বহু পত্নী। বহুগামী সে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান মতে আবার শিবের দুই পত্নী গৌরী ও উমা। গৌরি ফর্সা আর উমা কালো। শিব গৌরীকে বেশি পছন্দ করে। এই নিয়ে দুই সতীনের চুলোচুলি। শিব উমাকে অপমান করলে সে জঙ্গলে চলে আসে। সাধনা শুরু করে। তার রুদ্রমূর্তি দেখে ব্রহ্মা তাকে দুর্গে নিয়ে আসে। তাকে "দুর্গা রূপেন সংস্থিতায়" রূপান্তরিত করা হয়। দেবতারাতাকেই মহিশাসুর নিধনের জন্য বিষকন্যা হিসেবে প্রেরণ করে। কেননা মহিসাসুর নাকি দেবতাদের পেদিয়ে স্বর্গ থেকে বিদায় করে দিয়েছে। কিন্তু দুর্গামহিশাসুরের রূপ,গুন ও খ্যাতি দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হয় তার গুন, শীল, পারমিতায় মুগ্ধ হয়ে সধর্মিণী হিসেবে অসুরপুরীতে সন্তানদের নিয়েদিন কাটায়। কাপালিক ইন্দ্র ও ব্রহ্মা এতে ভয়ানক ক্ষেপে যায়। এর পরেই ঘটে বালক শুম্ভ-নিশুম্ভের হত্যা লীলা ও মহিশাসুর বধ। দুর্গাকে মহিসাসুরকে ভুলিয়ে তাদের ছাউনির কাছে নিয়ে আসতে বাধ্য করে দেবতারা।  দুর্গা এখানে মহামায়া। কাত্যায়নী, ভৈরবী। তার মোহ জালে আচ্ছন্ন তিন ভূবন। দেবতাদের কথামত কাজ করে দুর্গা। মহিসাসুর সেনা ছাউনির কাছে এলে  দেব সেনাপতি কার্তিক পিছন থেকে তীর মেরে তাকে হত্যা করে। (মহাভারত, বন পর্ব)।  

দুর্গাপূজা না নরমেধ যজ্ঞ -২


Saradindu Biswas


ধম্ম বিজয়ার দিনে কেন এই দশেরা বা দশহরা ?

কলিঙ্গ বিজয় সম্রাট অশোকের জীবনে ধম্মানুভুতির একটি মাইলস্টোন। শোকাহত রাজা ঘোষণা করলেন তিনিআর যুদ্ধ বিজয়  করবেন না করবেন ধম্ম-বিজয়। মানবতা ও সখ্যতার মাধ্যমে গুড়িয়ে দেবেন জাত-পাতের প্রাচীর ও দেশ কালের সীমানা। বিশ্বভ্রাতৃত্ব এবং বসুধৈবকুটুম্বকম এর  নিবিড় বন্ধনে সব মানুষেরমন জয় করবেন। সম্রাট অশোকের নেতৃত্বে এবং তার গুরু ভন্তে মোগলীপুত্ত তিস'র সভাপতিত্বে পাটলিপুত্রে সংঘটিত হল তৃতীয় বুদ্ধ ধম্ম সম্মেলন "ধম্ম বিজয়"।     

১৩ নং রক এডিক্ট –এ সম্রাট ঘোষণা করেন "'অসুপুত্ত পপৌত্ত মে নবম্ বিজয়ম বিজিতব্যম"  আমার পুত্রএবং প্রপৌত্ররাও কোন নতুন রাজ্য যুদ্ধ বিজয় করবেনা যদি বিজয় করতে হয় তা হবে ধম্ম-বিজয়।

অসুর দর্শনের এই মূল বাণীকে ধ্বংস করার জন্যই ভুদেবতারা এই দিনে দশেরা বা বিজয়া দশমী পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

আজও এই মূলনিবাসী গণনায়কদের প্রতিকী পুতুল পুড়িয়ে ব্রহ্মণ্যবাদী বর্বরেরা বিজয় উল্লাস পালন করে।রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ৮৫% অসুর ভারতবাসীর রক্ত শুষে এই পৈশাচীক উৎসব মূলনিবাসীদের আত্মমর্যাদা,আত্মপরিচয় ও স্বধম্মের উপর এক সামাজিক বলাৎকার এবং ঘৃণ্য চক্রান্ত। মানুষকে জ্বালানো, মানুষকে হত্যাকরার এই প্রতীকি উৎসব পালন করতে ওরা কুন্ঠিত হয় না কেননা মূলনিবাসী অসুরদের পরাজয়ের মধ্যেই দেবতাদের বিজয় উল্লাস প্রতিষ্ঠিত হয়।  

এই দশহরাই বাংলায় "বিজয়া দশমী"   

বাংলায় এই দেবায়ন সুরু হয় হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর।  কনৌজ তখন বৈদিক ধর্মের প্রধান ঘাঁটিতে পরিণত । কুমারিল ভট্টের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণেরা পৈশাচিক হত্যালীলায় মেতে ওঠে। হাজার হাজার বৌদ্ধ শ্রমণের মাথা ধড় থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বৌদ্ধ শাস্ত্র রাশি। অনেক বৌদ্ধ শ্রমণ পুঁথিগুলি বাঁচানোর জন্য হিমালয়ের রাজ্যগুলিতে আশ্রয় নিতে বাদ্ধ হয়।

কনৌজ তখন বিজয়ী ব্রাহ্মণদের রাজধানী। কূমারিল ভট্ট তাঁদের প্রধান। কূমারিল ভট্ট মীমাংসা সূত্রের উপড় একটি কমেন্টরই লেখেন। এই সময় থেকে সারা ভারতবর্ষে কনৌজ থেকে ব্রাহ্মণ সরবরাহ করা হতো। অসুর বাংলায় এই সময় থেকেই ব্রাহ্মণের চালান শুরু হয়।  

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বহুবিবাহ এবং সম্বন্ধ নির্ণয় গ্রন্থে বাংলায় চালান হওয়া ৫জন ব্রাহ্মণ ও তাদের চাকরের তালিকা দেওয়া হয়েছে ঃ

১) ভট্টনারায়ণ

২) শ্রীহর্ষ

৩) দক্ষ

৪) বেদগর্ভ

৫) ছান্দড়

এদের সঙ্গে আসা চাকরগুলো যথাক্রমে ঃ

১) মুকুন্দ ঘোষ

২) বিরাট/দাশরথী গুহ

৩) দশরথ বসু

৪) কালিদাস মিত্র

৫) পুরুষোত্তম দত্ত

বল্লাল সেন  অসুর বাংলাকে কৌলীন্য প্রথার  চোলাই গেলাতে শুরু করেন এবং  বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ভুদেবতা ও তাদের ভৃত্যদের ভূদান, গাঁই দান, গোত্র দান করে দেব সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেবার ব্যবস্থা করেন। ভুদেবতারা ১৫শ শতকে বাংলায় এই দশেরা বা দশহরা কে নতুন কলেবরে প্রতিষ্ঠা করার তোড়জোড় শুরু করেন।  

বাংলায় প্রথম দুর্গা পূজা ঃ

ইংরাজী সংবাদপত্র- এর ২৮/১০/১৯৬১ সালের চিঠিপত্র কলমে শ্রী সুরথ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির একটি চিঠি প্রকাশিত হয়। তিনি দাবি করেন যে, রাজসাহী জেলার তাহেরপুরে রাজা কংস-নারায়ণ পঞ্চদশ শতাব্দীতে প্রথম দুর্গোৎসব করেন। সেই সময় কবি কৃত্তিবাস ওঝা নাকি রাজা কংসনারায়ণের সভাকবি ছিলেন। কবি কৃত্তিবাস রচিত বাংলা রামায়ণে এই দুর্গাপূজাকে "অকাল বোধন" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডাঃ দীনেশচন্দ্র সেনের উল্লেখ করেনঃ

'কেহ কেহ অনুমান করেন, কৃত্তিবাস তাহেরপুরে রাজা বা জমিদার কংস-নারায়ণের সভায় উপস্থিত হইয়াছিলেন। কিন্তু, কংস-নারায়ণের শেষে যে বংশাবলী পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে তাঁহাকে ষোড়শ শতাব্দীর লোক বলিয়া অনুমিত হয়। সুতরাং, 'রাজা কংস-নারায়ণ পঞ্চদশ শতাব্দীতে প্রথম দুর্গোৎসব করেন বলে জানা যায়', এই কথাটার মধ্যে দিনাঙ্কের একটা ভালো রকম গণ্ডগোল পাওয়া যাচ্ছে।

মুসলমান বিজয়ের/আক্রমণের পর হিন্দু রাজা গণেশের গৌড়ের সিংহাসনে আরোহন করেন। তিনি ১৩৯৮ খ্রী. পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। কবি কৃত্তিবাস জন্মেছিলেন ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দের আশেপাশে। তিনি হয়ত এই সময়ে রাজা গণেশের সভায় এসে থাকবেন।

খোদ কোলকাতায় দেবী পূজা ঃ

শঙ্কর রায়ের একটি লেখা থেকেই তুলে  দিলাম

"Imagine Calcutta in 1757, when it looked like a village with huge vacant spaces strewn haphazardly. A grandiloquent Durga puja was underway. The venue was a newly-built pucca house built upon a four-acre strip by the yet-to-be crowned Nabakrishna Deb, who named the palatial residence as Shobhabazar Rajbari.

There was a VVVIP at the centre of a podium, an Englishman, colonel Robert Clive of the English East India Company (EEIC), who had conquered Bengal by defeating Nawab Mirza Muhammad Siraj-ud-doula in the Battle of Plassey on June 23 that year.

Clive was the chief guest. Religious scruples were on the wayside and nautch girls, mostly from Muslim gharanas, entertained the Englishmen attending the dance-parties. For the new rulers, beef and ham were bought from Wilson's Hotel, let alone unlimited drinks that inebriated them.

Unbelievable as it may seem, Deb had the nod from orthodox Sanskrit pundits in bringing Clive, a firinghee, to grace a Hindu religious event in those days. Literary historian and poet, Abanti Kumar Sanyal, throws light on the situation in a small book, Baboo. Clive's Sanskrit tutor was Jagannath Tarkapanchanan, according to Sanyal, submitted to Clive for a handsome pension. As a result, there was no clamour from the erudite-but-conceited Sanskrit pundits of Bhatpara (now in the North 24 Parganas district).

Deb was conferred the title of 'Maharaja' by Warren Hastings in 1766 for his unflinching loyalty and services rendered to the company. This included the drafting of the infamous 1775 agreement between the EEIC and a group of 'aggrieved' royal officials, for dethroningSiraj-ud-Doula, the last king of greater Bengal. The agreement was signedat the palace of Jagat Seth, one of the signatories and the largest banker of Asia in those days (financially several times larger than the first ten bankers of Britain together). Other signatories included Siraj-ud-doula's commander-in-chief, Mir Jaffar, Roy Durlabh and Umichand. Also present was the Maharaja of Krishnagar, portrayed as a patron of art and culture, whom social historian Benoy Ghosh described as the initiator of 'dependent and colonial culture', hybridised with feudal grandeur.

The conspirators alleged that the young Nawab had instituted an unbearable misrule and was atrociously lascivious, making beautiful damsels insecure, and was a drunkard. This canard was later refuted by Luke Scrafton, the director of the East India Company between 1765 and 1768, "The name of Siraj-ud-daula stands higher in the scale of honour than does the name of Clive. He was the only one of the principal actors who did not attempt to deceive." He wrote that the young Siraj had taken an oath on the Quran at his father's deathbed that he would thenceforth not touch liquor – and that he had kept his promise.

The conspirators gradually became a symbol of hatred when anti-colonial sentiment grew during the national freedom struggle. It is said that the land Deb's house was built on belonged to Sobharam Basak, who was much wealthier, and that Deb pressurised Basak using his proximity to Clive. The new palace had a big dancing hall, an entrance where shehnai tunes used to welcome the guests, a large library of Sanskrit, Farsi, Arabic and English titles, and a mammoth dinner room, apart from scores of living rooms. Much of this is now on the pages of history textbooks.

Deb's ceremony of 1757 might have set a pattern for the Durga puja, which became a fashion andstatus symbol among the upcoming merchant class of Kolkata. Deb and his descendants, like Raja Radhakanta Deb, considered the aliens attending the family Durga Puja as an index of social prestige.

Over two centuries, the festival turned into a socio-religious celebration, more dispersive perhaps than Ganesha Chaturthi in Maharashtra or Dussera in northern India".

http://www.dnaindia.com/lifestyle/report_durga-pujas-colonial-roots_1754517

(Source: Biplab Pal)

দাশাই পরব ঃ

দাশাই পরব অসুর-আদিবাসীদের একটি শোকপালনের পরব পাঁচদিন ধরে চলে এই শোক পালন কারণবিদেশী দেবতারা তাদের প্রিয় রাজাকে নারীকে দিয়ে হত্যা করেছে অথবা বন্দী করে নিয়ে গেছে কোন গোপনডেরায় অসুর যোদ্ধারাও তাই নারীর ছদ্মবেশ ধারন করে।  বেরিয়ে পড়ে তাঁদের রাজাকে খুঁজতে শুরু করে ভুয়াং নাচ। হাতে ভুয়াং বাদ্য যন্ত্র। ভুয়াং আসলে তীর ধনুকের ছদ্ম যন্ত্র যাতে সন্ধিক্ষনে যুদ্ধবিজয়ে সেগুলো কাজে লাগে মুন্ডা,কোল আদিবাসীরা দাবী  করেন দুর্গা তাদের মেয়ে দেবতারা তাকে দুর্গে ধরে নিয়ে যায়। বেশ্যা বানায় হাঁড়ি সম্প্রদায়ের দাবী চণ্ডী তাঁদের মেয়ে দেবতারা তাকে দিয়ে তাঁদেররাজাকে হত্যা করে আজও বুক চাপড়ে ও হায়রে-ও হায়রে আওয়াজ করে ভুয়াং নাচের মাধ্যমে আদিবাসীরাতাঁদের রাজাকে খুঁজে বেড়ায়

বেশ্যা দুর্গার হাতে বৃহৎ বঙ্গের রাজা বঙ্গাসুরের হত্যা কাহিনী এভাবেই লোকায়ত হয়ে আছে আদিবাসীদেরমধ্যে আদিবাসী সত্তায় রাজত্ব হারানোর স্মৃতি এখনও সমান ভাবেই বর্তমান বিদেশী দেবতারা এখনো মানবহত্যার মন্ত্রগুলি বিজয় উল্লাসে উচ্চারণ করে চলছে প্রতি বছর কুমারী পূজার নাম করে চলছে দুর্গা বানানোর প্রতিযোগিতা। ধর্মীয় মোড়কে পরিবেশন করা হচ্ছে জিঘাংসার বিষ কাত্যায়নী, চামুণ্ডা ও  ভৈরবীদের মোহে আচ্ছন্ন করে রাখা হচ্ছে অসুর বাঙালীকে। বাঙ্গালী তাই আত্মবিস্মৃত। ভূদেবতাদের উল্লাস, ঢাকের গগন ভেদী গর্জনে ঢাকা পড়ে গেছে তাদের পূর্বপুরুষের আর্তনাদ। ধুপের ধোঁয়া আর ফুল বেলপাতার গন্ধে ঝাপসা হয়ে গেছে তার দৃষ্টি। দেবায়ন ও দেব দর্শনের হাঁড়িকাঠে  অসুর বাঙালীর নির্বীর্য করণ ও নরমেধের এটাই এখন সব থেকে শক্তিশালী  নিধন যজ্ঞ। 

MAINSTREAM, VOL LI, NO 17, APRIL 13, 2013

Memoirs of Chandal Jeevan: An Underdog's Story

A K Biswas

REVIEW ARTICLE

Itibritte Chandal Jeevan, Vol. I by Manoranjan Byapari; Priya Sipla Prakashan, Kolkata; Rs 250.

Part-I

Uncommon Memoirs

He is no pedigree, nor has any pillar of support. He does not rest on the laurels of ancestral tradition of letters. Nonetheless he is a unique phenomenon with no parallel in Bengali literature, if not in Indian literature. His arrival at the centre of the glittering world of creative Bengali literature and adulation in train has left his readers and critics overwhelmed. He is a gatecrasher with backbreaking burden of experiences of life he lived in dark and stifling alleys, strewn with filth, carcasses, faeces, dirt and danger; traversing through garbage dumps and sewers of cities, towns and suburbs. An outcast, he is the invader of an arena and exponent of a theme that Bengali readers hitherto were either ignorant of or unaccustomed to. Surprisingly bold in contents, unsophisticated though in style and unrestrained in narrative, he has made a spectacular mark.

Manoranjan Byapari articulates pangs of his pain, hatred, cruelties, discrimination and degra-dation. His narrative is simple but compelling: he drives his readers through a dreary land of poverty, hunger, humiliation, unemployment, illiteracy, anarchy, crime, gangsterism, deception, political betrayal, turmoil, hypocrisy etc.—all rolled into a 459-page autobiography in Bengali, under the rubric Itibritte Chandal Jeevan. He focuses on the reverse side of the social spectrum with rare candour and frankness, tearing into shreds and throwing to the winds the glossy tapestry of deception and polished hypocrisy. In the face of indomitable adversities, he delivers a powerful message—a message of hope. He exemplifies elegantly that human endeavour and perse-verance has no parallel and that human spirit in an awakened soul can conquer the most formidable obstacle.

A refugee from East Pakistan, he is a rolling stone. Manoranjan's burden of experiences is not only uncommon or multiple but also mind-boggling. He was a cowherd, dishwasher, teastall boy, cook, jailbird, labourer and munshi for road construction projects, loco workshop labour, godown darwan, sweeper-cum-scavenger, bookseller and rickshaw-puller. An illiterate, the writer was lodged in the Alipur Special Jail and Presidency Jail for two years.

In Dandakaranya, Manoranjan collected firewood from forests for a living. He worked as a crematorium guard and a forest chowkidar in Naxal-infested Chhattisgarh. He came in close touch with and won the confidence and affection of Shankar Guha Neogi, the legendary labour leader in the tribal belts of Madhya Pradesh and Chhattisgarh. Neogi's murder by contract killers at his own home left an indelible imprint on the writer. He travelled ticketless thousands of miles in trains in search of employment in Darjeeling, Assam, Uttar Pradesh etc. A hungry ticketless traveller, he fervently longed to be arrested, hoping for food in custody.

A police constable committed unnatural offence on him in Lucknow, a calamity he had fought twice before. He came face to face with death at least thrice. While others might have got pulverised under the crushing weight of adversities, the writer stood against everything as a granite and defied all odds. He brings the entire spectrum of his traumatic experiences to bear on his memoirs. His song undoubtedly is the universal theme for the disadvantaged.

The central character of a Hindi novel by a Sahitya Academy award winner has been modelled on him. (p. 406) A collection of Bengali Dalit writings, including that of Manoranjan Byapari, is under publication by the Oxford University Press. (p. 446 ) Many prominent men and women, including academicians, have befriended him. This is Manoranjan Byapari and, in short, his story.

Part-II

Life in Shiromanipur Refugee Camp

The writer introduces himself as a Chandal, renamed in 1911 as Namasudra, who are the lowliest in the hierarchical Bengali caste order. Hailing from village Turukkhali, Barisal district of former East Pakistan, he, barely a-year-old, reached West Bengal with his refugee parents in 1953. Like millions of Indians, he does not know his date of birth, a gift of illiteracy. His depiction of six years of his life in a refugee camp at Shiromanipur, district Bankura, West Bengal is harrowing. The transit camps, set up by the government for refugees fleeing from East Pakistan in the aftermath of partition, lacked the barest facilities. A 8'x6' tent was packed with a family of five-to-seven members. Four camps at Shiromanipur sheltered 15,000-20,000 refugees. Two tubewells (hand-pumps) were installed to meet their overall daily requirements of water for wash, bath, drinking, cooking etc. All along the day, men and women queued up before the tubewells to collect water. Latrines, toilets or baths were considered unnecessary there. Thousands of inmates, male and female—old or young, son and daughter, brother and sister—without exception trooped to the open spaces around the camps for defecation and/or urination, giving goodbye to their sensitivity, sense of shame, respect or dignity.

A solitary doctor detailed there had no medicines for patients suffering from even serious diseases. His stock of medicines comprised two bottles of liquids, one red and other white, which were indiscriminately dispensed to every patient suffering from headache to jaundice, pneumonia to TB and so on. So death visited every tent and spared no family. No arrangement for funeral of dead bodies of the refugees was deemed important by the authorities. And if any refugee nonetheless survived the ravages of the diseases and apathy of administration, it was a sheer miracle!

All of a sudden one day, cash payments, called dole and dry ration, were suspended and the refugees were told to go to Dandakaranya. The Shiromanipur transit camps mainly sheltered the labouring castes, for example, the Namasudras, Pods, Kamars (blacksmiths), Kumhars (potters), Jolahas (weavers), Haris (sweepers), Muchis (cobblers), etc.—all of low social strata. (pp. 32-39) The writer laments that no touch of human feelings, compassion or appreciation in handling the issues of refugee rehabilitation was visible either in the government or among public leaders. Destiny made them pawns in the hands of ambitious, calculative and foresighted leaders. The experiences of horrors of the camp over-shadowed the writer's entire life. Partition of India gave a convenient tool in the hands of the political masters and bureaucrats to segregate the refugees based on traditional social or caste identity and perpetuate the divide on lines ordained by the Hindu scriptures! The curse of Dandakaranya and the tragedies of Marichjhapi awaited one segment while the other was blissfully ignorant of those calamities.

Urban Rehabilitation of Refugees

Manoranjan Byapari tells us that the bhadralok, the euphemism for the Brahmans, Baidyas and Kyasthas, fleeing from East Pakistan, were averse to go to the transit camps and live on dole in the neighbourhood of the accursedchhotolok, a term used by the former to express their disdain for men of low castes. The bhadralok refugees got preferential and distinctive treatment in rehabilitation from the upper-caste Ministers, MLAs and MPs. In the suburbs and vicinity of the Calcutta metropolis alone, 149 unauthorised —locally or colloquially called jabor-dakhal (forcibly occupied)—colonies sprung up to accommodate the bhadralok refugees only. If anybody of the disadvantaged section ever intruded the forbidden haven, he succeeded in doing so by faking, fudging or suppressing his low-caste identity and pretending to belong to the upper caste or by paying bribes. (pp. 39-40) They were not pushed out of West Bengal to be left to their fate unlike their unfortunate counterparts of the despised castes.

The memoirs focus on the unauthorised resettlement colony of Bijaygarh in the suburbs of Calcutta. Such colonies received indulgence of the political masters, for example, Prime Minister Jawaharlal Nehru, Chief Minister Dr Bidhan Chandra Roy, Governor Kailash Nath Katju, Sarojini Naidu, Triguna Sen, Major General Satyabrata Singha, Samar Mukherjee, to note a few. The government did not even vainly oppose the encroachment and conversion of the land as colonies by the privileged refugees. (pp. 52-53)

Following partition, careful planning and meticulous execution went into the refugee resettlement so that pockets for unmixed bhadralok were created in and around Calcutta. The metropolitan region was sanitised and fortified against the entry of the low castes. In fact, thorough social and caste profiling of refugees turned these colonies into exclusive islands for the bhadralok! The same bhadralok, however, have earned mellifluous ovation as vocal advocates and protagonists of equality, harmony, solidarity, brotherhood and casteless society in the loftiest terms. Save and except the bhadralok, one might have noticed, the highland of culture, Calcutta, does not send a single people's representatives either to the State Assembly or Parliament ever from the underdogs, a direct gift of caste profiling of the refugees. The bhadralokfraternity rarely enjoyed such safe and blissful haven in the idyllic East Bengal. The demographic majority of chhotolok along with the Muslims was so acutely disproportionate that they rarely imagined such exclusive family and social life.

The present reviewer in his official career had interacted over six years with the refugees from former East Pakistan settled in 56 colonies in East and West Champaran districts in Bihar. Though they aggregated at about 250,000-300,000 souls and were largely Namasudras, near, if not total, absence of anybhadralok amongst them was an enigma to him. There the Bengali refugees had all but forgotten their mother tongue and lost their cultural moorings in 30-40 years. A researcher recently discloses: "It was decided at the official level that mainly the refugees belonging to the so-called lower castes like Namasudras, Kshatriyas, Poundra Kshatriyas, who took shelter in the refugee camps and received doles from the Government, would be sent to Dandakaranya." This was the National Development Council's prime objective for setting up the Dandakaranya Development Authority (DDA).1 Apartheid became the bench-mark in refugee rehabilitation with blessings from India's celebrated men and women. The Namasudra, Pod, Rajbanshi, Bagdi, Jalia, all untouchables, were banished for the benefit of the Bengali upper-caste Hindus. The highborn were not sent out of West Bengal to live in an environment, climate, language, culture etc. that would militate against their own traditional or cultural traits and upbringing. This was done officially. A perfect recipe for segregation of untouchables and perpetuation of the social divide in Hindu Rashtra, if ever it is established! This policy action would have pleased Adolf Hitler no end, had he survived only a decade-and-a-half more.

Part-III

Dandakaranya, Marichjhapi and Massacre: Jyoti Basu dwarfed General Dyer and Narendra Modi

The CPM leader, Jyoti Basu, visited Bhilai to address an industrial workers meeting on January 25, 1975. He invited some Bengali refugee leaders from the Mana camp, Dandakaranya to Bhilai and assured them that if and when the Leftists were voted to power, their government would bring the refugees from Dandakaranya back to West Bengal and rehabilitate them there. Barely within two years, the Left Front won the Assembly elections and formed their government. A delegation of Bengali refugees from Danda-karanya went to Calcutta and met Chief Minister Jyoti Basu. In return, a team of Left Front leaders, including Minister Ram Chatterjee, two MLAs, Kiranmay Nanda and Rabi Shankar Pandey, soon visited Dandakaranya on November 28, 1977. Another visit of Ram Chatterjee and Ashok Ghosh, the Chairman, Left Front, on January 16, 1978 is fresh in the minds of the refugees. Ashok Ghosh then thundered: "When you return to West Bengal, five crores of Bengalis will welcome you with ten crores of hands." (pp. 268-270) The trust reposed in the leaders by those poor refugees of Dandakaranya was betrayed. Unwelcome, none had risked a hazardous journey to Marichjhapi to face police brutalities.

The Superintendent of Police, 24-Parganas, Amiya Kumar Samanta, oversaw and conducted the 'Operation Marichjhapi'. He denies any police action other than teargas shelling on the refugees. An obstinate man in khaki, he also dismisses all talk of death of any refugee in police action except a solitary local tribal labourer. With stunning insinuations, the District Police chief brushes aside the findings of an internationally acclaimed Canadian scholar, Russ Mallick. He contends that Muslim gangsters were drafted in aid of the police and CPM cadres in the 'Operation Marichjhapi', having regard for historical knowledge of animosity subsisting between them and the Namasudras since the colonial era in East Bengal. The police infused and used communal blood against the Namasudras.2 The writer's father's ribs were broken by the police and this accelerated his death. The massacre disillusioned the refugees, who were the backbone of the communist movement and a solid pillar of strength. Byapari unambiguously condemns Jyoti Basu as a be-iman, betrayer of trust. (p. 267)The Telegraph, Calcutta editorially commented: "Even his predecessor (Buddhadeb Bhattacharjee's predecessor Jyoti Basu) in West Bengal did not hesitate to kill thousands in Marichjhapi."3 As the Land Reforms Commissioner, Debabrata Bandyopadhyay, a highly rated IAS officer, was the architect of Operation Barga, which ensured for the Left a lease of 35 years unbroken rule in the State. He laments: "Under the CPI-M rule of the last 34 years in this State 34 events of mass murder were organised either directly by the police resorting to wanton firing on the crowds consisting of Opposition party members or by the armed 'harmads' of the CPI-M to seek political revenge or to establish political control over the areas lost [...........] he (Jyoti Basu) organised genocide by the police and CPI-M cadres starting with the Marichjhapi case. It was the first rehearsal."4

Bloodbath under the long communist rule, claiming hundreds of lives, began with the Namasudra massacre in Marichjhapi. A hard-boiled bureaucrat does not term a few deaths as genocide. It implies a policy of deliberately killing a nationality or ethnic group. The State Police was thoroughly indoctrinated and the media unmoved or passive. Any voice discordant with the communist barbarism was/is castigated as bourgeois and agent of imperialism. Jyoti Basu launched a vicious campaign that the refugees, in connivance and cooperation with Bangladesh, had conspired to create an inde-pendent sovereign nation inside the Sundarbans. He also insinuated that their aim was to destabilise and dislodge a government of the proletariat! He was oblivious that Bangladesh, a fledgling nation born through unprecedented bloodbath, could ill afford to indulge in such misadventure against a neighbour as gigantic as India. (p. 272) Byapari says some 30,000 refugee families had gone to Marichjhapi. Over 2000 families of them perished. (p. 53)

The Jallianwala Bagh massacre in April 1919 stands out as the darkest chapter of the Indian freedom struggle. Brigadier-General Reginal Dyer ordered firing on a gathering of 15,000-20,000 unarmed men, women and children. The official report claimed that 379 persons were killed and 1100 wounded. But the Indian National Congress estimated the casualties at 1500 of whom 1100 died. The entrance of the meeting venue was closed, leaving no escape route for the innocent people. Sixty years later, Jyoti Basu outstripped General Dayer in barbarism. Prohibitory orders under 144 Cr. P.C. were clamped in Marichjhapi. Armed police in 40-42 motor boats had surrounded the island, sealing the entry and exit. (pp. 270-271) Inter-national aid agencies, with drinking water, medicine, milk-power and food-stuff etc., were denied access to even relieve the marooned people. Boats carrying refugees to and fro the island were sunk by the police in the Bay of Bengal to the delight of the hungry crocodiles and sharks. Dead bodies of men and women killed or died of starvation were left without funeral on the shores to be washed away during the high tide of the sea, erasing all traces of human tragedy.

In Marichjhapi, though more than 4000 people were massacred within a span of 20 days in 1979 to save the tigers, no environmentalists anywhere in the world, including the World Wildlife Fund, protested against the tragedy. "Ross Mallick, who carried out remarkable research on the Marichjhapi massacre" held that "in the case of Marichjhapi it was the poorest people who paid with their lives, while the benefits went to the animals, tourists and tourist operators".5 An unrepentant General Dyer later had boasted that the objective of his action "was not to disperse the meeting but to punish the Indians for disobedience". A remorseless Jyoti Basu was punishing the Namasudras for defiance of his diktat!!! The police records of deaths, injuries sustained, and rapes are unavai-lable. No serious efforts to document this chapter has been made to arrive at an accurate number of deaths; and Marichjhapi has remained beyond the frame of historiographical discourse. Byapari, however, thinks that at least 2000 men and women were killed by police action. He further says that at least 200 women were raped. (pp. 267-272) When the refugees were forcibly sent back to Dandakaranya in special trains, they were packed in its compartments as sardines. The trains had no arrangement for food, drinking water or medicines and they were treated worse than animals. In course of their journey during sweltering summer, many children died. The dead bodies of the children were thrown out of the windows of running trains. (p. 272)

Marichjhapi, a Communist Brainchild

In 1951 Chief Minister Bidhan Chandra Roy mooted the scheme for rehabilitation of refugees in the Andamans. The Communist Party and Forward Bloc jumped to fish in the troubled waters and the most vulnerable sections of the refugees were targeted. They opposed the scheme tooth and nail arguing that they would not allow deportation of the refugees to kalapani, by which the ordinary Bengali understands a place of banishment, meant for condemned prisoners. By virulent propaganda, a fear psychosis against the Andamans was injected in the minds of the victims of partition. In the face opposition, ultimately the government dropped the idea. In this background, on August 11, 1959, the United Central Refugee Council (UCRC), comprising the Communist Party, Forward Bloc, etc., submitted a memorandum to the Chief Minister for rehabilitation of refugees in Marichjhapi, a 160 square mile (20 miles long and eight miles wide) unmanned island in the Bay of Bengal. They had argued that some 3000 fishing families could be settled over 12,000 acres there. Dr B.C. Roy had actually admitted that there were 5000 acres of fallow land in Marichjhapi but the government did not accept the Opposition proposal. As a destination for settlement of Bengali refugees, therefore, Marichjhapi was the brainchild of the Communist Party and Forward Bloc. (p. 268)

If Gujarat has Narendrabhai Modi, who butchered Muslims in communal violence, West Bengal boasted of his counterpart in Jyoti Basu who launched genocide against the uprooted Namasudra and other low-caste refugees in Marichjhapi. The Gujarat Chief Minister is no a friend of the Muslims or minorities, a fact known the world over. A pretender as the benefactor of the proletariat, Jyoti Basu is a wolf in the bhadralok's clothing. The communist edifice in the State was sculpted entirely on refugee support and loyalty. The Left odyssey to power was built over their unswerving commitment. Sadly, they were unaware of the fascist proclivity deeply inlaid in its leaders, all drawn from the bhadralok stock. Even Indians in general are not aware of the genocide of the very people whose support helped the party to wield power in the State for close to 35 years! An analysis shows that 48 per cent of the Namasudras voted for the Trinamul Congress in the Assembly election 2011, as against 38 per cent in the preceding election, registering a rise of 10 per cent. In comparison, 16 per cent of the Namasudrs votes went against the ruling CPM, marking a critical drop of votes from 57 per cent in 2006 to 41 per cent in 2011.6 No other community deserted the CPM en bloc as the Namasudras did, reflecting their highest degree of disenchantment for the party of the proletariat. The vacuous Left ideological blabbering no longer enamours those whose innocent or unsuspecting brothers and sisters suffered bloodbath and gory purge at their hands. The Gujarat stalwart, Narendrabhai Modi, has, however, the powerful national media against him, but the Bengali Communist had unfortunately the entire intelligentsia infatuated on his side.

Part-IV

Could Genocide of Brahman, Baidya and Kayastha be Ever Imagined?

With the history of rehabilitation through forcible and unauthorised encroachment of land in Bijaygarh in the suburbs of Calcutta in view, Chandal Jeevan raises the most critical, nay logical, question: "Would the Government do to Brahman, Baidya and Kayastha refugees what they did to Namasudras at Marichjhapi?" (p. 53) In other words, would the government treat the samebhadralok as savagely, if they were not Namasudra, Pod, Jalia (fishermen)? This question will haunt and ring in the hearts of millions of the underprivileged for long. The posterity of the victims could never forgive or forget the perpetrators of the genocide. The upper-caste rulers of the State have never been as unorthodox and free of caste bias as they profess and propagate. Despite colourful gloss, vociferous pretension and deception, caste bias is explicit in the actions and performances of the Left leaders. This dark chapter has either been sidetracked or camouflaged or left beyond margins to be erased with the passage of time from public memory.

Part-V

Dalit Writings and Publications

Byapari, in common with many Dalit writers and intellectuals, believes that Dalit literature can or should be written by the Dalits themselves for truthful or faithful portrayal and presentation of their life and times. Some of the writings on Dalits by non-Dalits, though lauded for literary qualities, do not make the grade. (pp. 443-446) Actually those who are not born underdogs fail to appreciate and delve into the complex labyrinth of their privations, hazards and tragedies and struggles for survival. Bengali literature has Dalit writings—novels, short stories, poems, plays, critiques and autobiographies, though not known and much less reviewed anywhere beyond their own magazines, with limited circulation, readership and high mortality. Their works are summarily dismissed by the elite readers and critics as the output of the chhotolok. Spelling mistakes, poor quality paper, printing, binding and get-up could be other reasons to dismiss their writings. Their narratives, more importantly, are marked by seething anger, frustration and discontent. Their aggressive and sharp attacks against the caste system, caste-based manipulation, discrimination or depri-vation and injustice offend the elite class. The Dalits hold the socio-cultural-administrative and political establishments not just partially but fully responsible for their plight in their writings. In fact, repeated instance(s) of glaring discri-mination, painful humiliation and abuses hurled at them, irrespective of their station, have compelled each of the educated Dalit writers take up the pen and portray their life. This is strongly detested by readers beyond the Dalit society. The elite and intelligentsia consider themselves to be the targets of Dalit attacks. Dalit works are not published by mainstream publishers nor are they reviewed, much less received without reservation. So the writers or their works do not get noticed. Rarely is a Dalit writer also not the publisher of his own works. Manoranjan learnt it by paying literally through his nose!

Organised campaigns and overt insinuations by the elite class against the Dalit has been one of the major tragedies of Bengal. The victims need to defend their honour, dignity and esteem though the Dalits rarely get the opportunity against the superior elite offensive. They are, indeed, on identical footing with the attackers and violators of human rights of Dalits as anywhere outside their cultural highland. In 1989, for instance, Sunanda K. Datta-Ray, the editor of The Statesman, Calcutta, belched venom against the Namasudras. "With Calcutta in the throes of celebrating 300 years of existence, some thought may be spared for a people who are generally blamed for the city's decline. East Pakistan refugees were said to account for 13 per cent of West Bengal's population in 1974 [......] But if these migrants have compounded the city's congestion, leading to the collapse of every civic amenities, it may be because

95 per cent of them are Namasudra destitutes.

(italicised by this writer) Their predecessors—earlier weaves of well-to-dobhadralok from beyond the Padma—made no small contribution to Calcutta's development. If a balance-sheet were to be compiled [..............] it may well emerge that the gains overweigh the damages. In any case, the immediate task is to ensure that the six million or so people who fled to West Bengal between 1947 and 1958 (old migrants) and again between 1964 and 1971 (new migrants)—those who came in between have always been disregarded which is one of the many unexplained cruelties of the situation—are not still pilloried as chronic layabouts, content to eke out miserable existence on the dole while providing manpower for West Bengal's politico-criminal underworld........."7

The unprovoked offensive did not invite any repost whatsoever from the guardians of public morality though many of them sing soulfully for equality, human dignity and brotherhood. Collection, collation and publication of data on crime by caste was discontinued with the departure of the British. So attacking Namasudras as the source of "manpower for West Bengal's politico-criminal underworld" is not only unfortunate but betrays the sick mind of the attacker. Crime merits dissertation in historical perspective on a broader canvas, which, for paucity of space, is better avoided. But suffice it to state that the discourse on this aspect of social-administrative record is camouflaged more by misinformation than by candid frankness. Data culled from the colonial archives in Bengal may present a microscopic view of crime by caste. (See Table-1)

Table-1

Showing Proportion of the Selected Castes in Jail to the Free Population of those Castes according to 1872 Census in Bengal8

Serial   Proportion of caste men in jail in 1872

No.

1. Of the Bagdi 1 in 1364 was in jail during 1872

2. Of the Kayastha 1 in 1404 was in jail during 1872

3. Of the Rajput and Chhetri 1 in 1425 was in jail during 1872

4. Of the Hari 1 in 1465 was in jail during 1872

5. Of the Kahar 1 in 1504 was in jail during 1872

6. Of the Aguri 1 in 1585 was in jail during 1872

7. Of the Brahman 1 in 1808 was in jail in 1872

8. Of the Goala 1 in 2085 was in jail in 1872

9. Of the Gandhabanik 1 in 2301 was in jail in 1872

10. Of the Sadgop 1 in 2301 was in jail in 1872

11. Of the Santal 1 in 2302 was in jail in 1872

12. Of the Pan 1 in 2406 was in jail in 1872

13. Of the Chamar and Mochi 1 in 2738 was in jail in 1872

14. Of the Chandal 1 in 3007 was in jail in 1872

Datta-Ray, without an iota of substance, wanted us to believe that Chandals, later renamed as Namasudras, in half-a-century outstripped the Kayasthas and Brahmans in crimes. The conclusion is based on prejudice, not on fact and other relevant materials.

Dalit magazines, though cash-trapped, are published in scores and many disappear sooner than imagined. They have a lot to tell and propagate. The mainstream journals and periodicals, exclusive as they are, brush the Dalit issues aside as plague. Dalit perspectives, incon-venient issues, aspirations and aspects of life are perceived to militate against elite interests. Abuses, reflective of their social attitudes and ossified mindset against the underdogs, continue to dominate elite literature. Sadly, the world of elite literature and publications are unaware of Dalit critiques that take very strong and unequivocal positions in many respects with cogent logic and justification. However, readers beyond the Dalit society strongly detest them even though they marshal unchallengeable substance in their themes.

The present reviewer in the 1990s wrote, under a pen name, a 380-page Bengali monograph captioned Anweshan, It was a dissertation of archival records, focusing the social, anthro-pological and cultural life of colonial Bengal. His approach and treatment was unconventional and the work was serialised in a Bengali Dalit monthly Adal Badal Patrika, which is in existence uninterruptedly till date since 1983. This monthly does not receive advertisements, from the Central or State Government, though it fulfils all the necessary conditions. Prominent writer, Jnanpeeth Awardee and tribal rights crusader Mahasweta Devi is associated with the magazine ab initio. She had read Anweshan serialised in the monthly. When taken up for publication as a book, Mahasweta Devi wrote its preface. Further, she addressed a personal letter to the publishers of College Street, Calcutta with her recommendation favouring Anweshan; but no publisher took interest in it. Ultimately Bimal K. Biswas, the editor of the Adal Badal,himself published Anewshan.

Part-VI

Chandal Jeevan through the Mill

Hunger and desperation pushed the writer to the labour market early in the day. While still in the Shiromanipur camp, he worked as the cattle grazer of a farmer. The curtain on his childhood thus dropped at a time when other children go to school, chase and shape their dreams. He spent his entire day with the cattle for two square meals only. In the morning, he procured on his shoulders two buckets of water from a distance of a mile-and-a-half for spraying in the kitchen garden. The buckets were suspended on two ends of a bamboo stick like a scale. He did this for three months. This did not, however, bring any lessons of social dynamics till he met his next employer. His camp in Shiromanipur did not have any Brahman and Kayastha refugees. So he did not know till then the curse of caste hatred.

A Brahman doctor had engaged him as a cowherd. Though the new employer was a migrant from East Pakistan, he was not a refugee. He had resources to build his own house. He knew Manoranjan was a Chandal, a Namasudra. He was not allowed entry on his master's verandah. Food was served in a broken plate by the master's wife, keeping a good distance from the servant to beat the fear of pollution by proximity. His utensils were kept in the cowshed where Manoranjan slept on heaps of dry cow-dung cakes. At night, he vainly and sleeplessly fought the invading army of mosquitoes, besides overpowering smells of cow urine and raw dung. While grazing the master's cattle, one day he was caught napping and badly assaulted by the doctor. The Brahman was choleric and fastidious. Once the doctor had invited some local respectable Muslims for entertaining them with home-made delicacies, having an eye on his professional interests. After they left, Manoranjan had to clean the verandah and forecourt, polluted by the mlechchh, a term upper-caste Hindus use to refer to Muslims (and the beef-eating British). The guests came to know soon, how after their departure, the house was depolluted by water mixed with raw cow-dung cakes. In an opportune moment, the doctor's house was set on fire. Manoranjan got his first lesson in the dynamics of caste and communal hatred. This place is in the vicinity of Calcutta. (pp. 59-61) With this experience at the back of his mind, he changed his name to work as a teastall boy so that the proprietor, a native of Uttar Pradesh, did not know his caste identity. His malik was unconcerned about his caste. How does West Bengal differ from UP or Bihar, though derided?

The memoirs cite instance after instance of caste-based hatred ingrained in the high-caste Bengalis. Byapari worked as a cook for a Brahman caterer. Once the caterer fell ill and deputed Manoranjan and Dukhe for cooking for annaprasan (the first food given to a child after birth) in a Brahman family. Their culinary skills impressed all. But once their identity of caste—one a Namasudra and the other a Kaora, equally low—came to light, the consequences were predictable. The cooks, entering the kitchen, had defiled its sacredness, a calamity hardly conceivable in the Brahman house. Both were made to perform sit-ups, holding their ears and rubbed noses on the hard surface of the ground, a form of punishment that marks unqualified penance in Bengal. Humiliated, they fled the place without even collecting their wages. (pp. 141-143) All over India, bhadralok preach from various platforms that caste is irrelevant in West Bengal. They better rely on the victims of discrimination and hatred for the situation obtaining at the ground level.

The author once got a job as a casual sweeper at Rs 200 a month in a government school. On confirmation after three months of satisfactory service, he would draw a sum of Rs 770 with entitlement for casual and medical leave, provident fund, bonus, gratuity, pension, etc. He threw himself headlong in sweeping, cleaning and scavenging the long accumulated filth, dirt, garbage, urine and human excreta in the 300-year old school building. The celebration of the tercentenary anniversary of the foundation of the school synchronised with Manoranjan's three-month probation (sweeper on probation?). The school planned to bring out a magazine to mark the occasion. The souvenir carried a short story of the sweeper entitled 'Acharya' which was hailed as the best. The headmaster felt hurt and offended as his own story got eclipsed. He summoned Manoranjan and summarily dismissed him. He did not believe an illiterate sweeper could write that story. He was thrown on to the jaws of hunger. (pp. 287-292 ) A laurel universally brings recognition and elevation in the career of the achiever. Alas! An unsuspecting Byapari lost his bread. In the Mecca of letters, pen in the hand of a Chandal is a dangerous weapon.

He fell back again on the rickshaw, his last resort as an anchor for living whenever others doors are shut on him. His stand was at the Jadavpur railway station. There he along with fellow rickshaw-pullers formed a union. One day he was threatened with dire consequences by the CPM cadres who wanted him to close down the union, as it was not affiliated to the All-Bengal Rickshaw Union under the CITU. The author's account is an authentic reflection of the state of trade unionism in West Bengal. Already a rickshaw-pullers union headed by a local gangster under the tutelage of a local Congress leader was in existence. He and the local CPM leader were very close. The rickshaw union members were under three obligations:

[[<> (1) to pay monthly membership subscription Rs 2 to the union office;

(2) to attend political rallies and form processions for boosting up attendance; and

(3) to pick up selective voters from their homes; drive them to the polling booths and drop them back to their residences after they had voted on the day of polling. No fare was chargeable from such privileged passengers.

These unions are a good source of money. In Calcutta, its suburbs and mufassil towns, the bhadralok are usually the office-bearers of their unions but not the rickshaw-wallas themselves. Hence they have no affinity or sympathy for the rickshaw-pullers. Their union members never get loans at nominal interest in emergencies for example, accidents, sickness, bereavement, marriage etc. In fact, the members had no idea what happens to the money collected from their membership fees. The leaders of the working class in West Bengal are not labourers themselves. Leaders are imposed from above and they are privileged men or women, who never soiled their hands by menial labour. In 1992, an estimated 32,000 rickshaws plied in Calcutta. This seems an gross underestimation. In the cities and towns during the Left rule norickshaw-walla without joining the CPM union, was allowed space in any stand.

The Communist Party of India-Marxist Plenum, held at Salkia, Howrah, adopted a resolution authorising party cadres to actively participate in Durga puja,Kali puja etc. This has resulted in burgeoning incidence of pujas of every description, which too yield good money for the cadres and leaders. Further, the Plenum resolved to bring labourers of unorganised sectors, for example, rickshaw-pullers, domestic helps, construction workers, railway porters, employees of shops and establishments, sex workers etc. under the umbrella of trade unions. (pp. 292-293) Pujas are organised with political blessings and roads, parks, gardens and crowded spaces are nonchalantly encroached. Disturbance to public peace and order, nuisance, chaos, hooliganism and crime are concomitant features of pujas in West Bengal.

Dislodged from the Jadavpur rickshaw stand for fear of life, Byapari got a job as a night guard at Narendrapur in the suburbs of Calcutta at a salary of Rs 300 along with a small rent-free room for residence inside a factory as perks. He left the job after a year-and-a-half because he was required to manipulate a record of deliveries of bags of sand, stone-chips, etc. His conscience protested against the irregularities and corrupt practices.

Chapter VII

Metamorphosis of a Rickshaw-puller in Alipur Jail 

On charges of rioting, arson, bomb throwing and attempts to murder, Manoranjan was arrested and incarcerated first in the Alipur Special Jail and then shifted to the Presidency Jail for two years. Here he metamorphosed into a new soul. His odyssey to the light began from the dark corners of jail under the inspiration and guidance of a highly educated co-prisoner, who was a fraud himself. Pointing to a green banyan plant on the roof of the National Library, Calcutta, once the co-prisoner told Manoranjan: "See how on the hard surface of concrete building, a plant has grown. This means life-giving nutrients and congenial environment have contributed a seed to germinate, its sapling to grow, a plant to survive and flourish." (p. 220) Manoranjan realised that no overpowering circumstances or hardship is indomitable enough to crush the human spirit to conquer even the most severe adversity. An awakened prisoner, he grabbed the opportunity he lost in his childhood for learning. It was not an easy job. There was no reading-writing materials, no congenial environment, nor facility or eagerness in anybody for the dissemination of knowledge. His venture invited crass jibes, vitriolic sarcasm and overflowing ridicule from fellow prisoners and the jail staff alike. All these he stoically endured and/or ignored. Surprisingly, a jail sipahi Bhuban, otherwise known as unmerciful with inmates, extended his sympathy. Handing over a box of chalk pencil secretly, one day he told Byapari: "This is my has humble contribution in your journey to the world of enlightenment." The prisoner would write alphabets with a twig on solid concrete floors and learn them under the caring eyes of his benevolent co-prisoner. (pp. 236-237) A thoroughly dedicated, inspired Manoranjan spent hours in practising alphabets, learning words and sentences and finally mastered the skill of reading. He donated blood in the Blood Donation Camp organised inside the jail. Many co-prisoners would do so for buying bidis, cigarettes,lungi, foodstuffs etc. with the money they got from donating blood. Byapari's request for a pen and papers surprised the jail officials, who flatly rejected it. Bhuban siphahi was there by the side of the adult learner. Bhuban argued his case forcefully before the deputy jailer. Manoranjan got 20 reams of paper and a pen at Rs 20 which was the price of the blood. (pp. 238-239) He was gifted with a burning hunger for books and insatiable abilities for reading anything that came his way. Two years in jail transformed him and gifted a new lease of life. He wanted to be a writer.

Turning-point

On a hot summer day, he drove in his rickshaw an elderly woman from Jyotish Roy College, Bijaygarh. After driving some distance, Manoranjan asked his passenger unhesitatingly: "Didi, will you tell me the meaning of the word, 'jijibisha'?" It means: the "will to live". The difficult word coming from a rickshaw-puller surprised her. After some initial exchanges, she disclosed that she was Mahasweta Devi, the famous writer, novelist, tribal rights activist and Jnanpeeth Awardee. This was the turning-point in Manoranjan's life. She invited the rickshaw-puller to her home. Thus started a bonding that persists till date. He was invited to write his story in 'Bartika', a magazine Mahasweta Devi edits. (pp. 252-256) A writer was born out of a rickshaw-puller.

The autobiographer has focus on the dark contours of the socio-cultural glitterati of Calcutta. One day he read in a leading Calcutta newspaper that Nata Mallick, the solitary hangman of the State, was hospitalised with heart ailment that needed prolonged treatment and rest. What surprised him was the undue prominence given to Nata Mallick who was not a celebrity though. He saw through the game—a conspiracy was weaved by a group involving medical and legal practitioners and jail officers, having vested interest. A prince of the glitterati along with his father was awaiting execution in Presidency Jail for murdering his wife. The Jail Manual mandates that the execution of a condemned prisoner has to be carried out within two years of the conviction. This provision was targeted to be compromised by declaring the hangman unfit to perform his job. An alarmed Manoranjan submitted a written application to the jail authorities for appointing him as a hangman to perform the job within the stipulated time-frame in the absence of Nata Mallick. [pp.282-286] He felt the convicted father-and-son duo, who were a curse for the society, could not be allowed to subvert the law and evade punishment by dubious means.

The author presents a graphic picture of the murky world of publishing. Despite nineteen years of writing, he had no book to his credit. He is the cook of a hostel under an organisation which has a publication unit. He approached the head of the organisation, who, after a good deal of leg-pulling and persuasion, asked Manoranjan to advance a sum of Rs 5000 for publishing a collection of his stories. He unsuspectingly threw and trapped himself, though voluntarily, to the wolves. Unbridled harassment and undue delay awaited the publication of the 184-page collection of 22 stories. The quality of paper, printing and binding were deplorable. The manager, who brazenly squeezed the last drop of his blood, gave him 498 copies of the book against a total payment of Rs 16,000. He was exorbitantly overcharged for the cost of paper, composition, proof-reading, binding etc. He found out later to his consternation that some 1100 copies of the book could be printed at the cost he paid for 498 copies! (pp. 410-417) Many people who publish their works at their own cost as no publishers are willing, will find Manoranjan's experience a guide for their (mis)adventure, if any and at all.

Spelling mistakes of the memoirs should have been corrected by the proof-reader. Pandit Rahul Sankrityayan used to be casual about his spellings in his MSS which, he hoped, the publishers would take care. Further Chandal Jeevan'slong narrative without chapters might appear to many tedious or boring. The tale should have been divided into chapters and appropriate headings given in each to indicate the themes the author has dealt therein. It is hoped in the subsequent edition, these deficiencies would be removed.

Manoranjan has a large number of novels, short stories, poems and articles published in various magazines. He is an established writer who has earned huge appreciation for his sharp focus on the underbelly of the society and the presentation of its dirty picture. This illiterate man, who has risen to great heights, may be envied by many but nobody would envy the accursed life he has lived and the hard way he survived. That is the unique experience which commands attention from his readers and critics alike. Manoranjan's memoirs, I have little doubt, is a landmark not only in Bengali literature but in the entire Indian literature. He will inspire many in similar circumstances with his message that the human spirit and ingenuity can overcome the heaviest of odds and conquer the most formidable heights. Besides, he has brought on record all that has remained over centuries beyond the margins and may prompt others to take up the pen to carry the trend forward. His memoirs have the potential to anger and annoy or provoke influential sections who are

the cultural czars of Bengal as they will feel rubbed rudely by the exposition.

Footnotes

1. Anusua Basu Roy Chaudhury and Ishita Dey, Citizens, Non-Citizens, and in the Camps Lives, 2009, Mahanirban Calcutta Research Group.

2. In March 1980, A.K. Majumdar, Commissioner, Presidency Division, spent about five-weeks at Rajgir for recuperating his ill health. I was the District Magistrate, Nalanda and paid him courtesy call twice. Once I had asked him about the Marichjhapi massacre. He made a cryptic comment. "It's handled by the police and party cadres. District Administration is nowhere involved." Marichjhapi falls under the Presidency Division.

3. The Telegraph, Calcutta, editorial captioned "Too Little too late", June 20, 2009.

4. D. Bandyopadhyay, "West Bengal: The Genocidal State under CPI-M Rule",Mainstream, Vol. XLIX, No 14, March 26, 2011.

5. Dhrubajyoti Ghosh, "Ecosystem and Development, A Scientific Way To Grasp The Complexities Of The Universe", The Statesman, Calcutta, Special Article, February 17, 2012.

6. Economic and Political Weekly, June 18, 2011, vol xlvi, no. 25, p. 145.

Comparatively Brahman votes dropped from the CPM kitty by 17 per cent (from 54 per cent to 37 per cent) and Kayastha votes by 18 per cent (from 54 per cent to 36 per cent). The TMC in essence gained seven per cent Brahman votes and six per cent Kayastha votes. The Brahman votes rose from 44 per cent to 51 per cent whereas Kayastha votes from 44 per cent to 51 per cent went in favour of the TMC. These two castes are small and increase or decrease of their vote share does not underline much significance in comparison to the populous castes. The Rajbanshi community, marginally larger than the Namasudras, did not dessert the CPM as much as the latter. Their votes for the CPM declined by two per cent from 55 per cent in 2006 to 53 per cent in 2011. Muslim votes for the CPM too dropped by four per cent, from 46 per cent to 42 per cent. Electors from other SC communities expressed displeasure against CPM as well. Their votes decreased from 54 per cent to 43 per cent, a fall of 11 per cent. With increasing awareness of electoral politics, no ruling party can afford to ignore the Namasudra voters in particular and others SCs in general, a lesson the Assembly Election 2011 has demonstrated doubtlessly.

7. Sunanda K. Datta-Ray, "Deceit in the East", The Statesman, Calcutta, August 6, 1989.

8. Report on the Administration of Bengal, 1872-73, pp. 132-133.

The reviewer is a former Vice-Chancellor, Babasaheb Bhimrao Ambedkar Univrsity, Muzaffarpur, Bihar. He can be reached for comments and observations, if any, at the e-mail ID: atulb64@ gmail.com  



No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...