নেপোয় মারে দই
বেশি উত্তেজনায় কারো কারো কলম ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে একটা সত্যি কথা - 'বুক চেতানোর প্রথম খবর'। গত চার দশক ধরে চেতানো বুকে যারা লাথি মেরে এসেছে তাদের কাছে 'প্রথম খবর' বৈ কি? মায় ১৬ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যেতেই ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকার সময়ও যাদের অবস্থান 'লেজ গুটিয়ে' তারাই আজ শাসকের চোখে চোখ রাখার প্রতিস্পর্ধাকে পুঁজি করতে নেমেছে। মার খাওয়ার সে রাতে কোথায় ছিলেন তারা?
অথচ যাদবপুরে মেরুদন্ড সোজা রাখাটা বহু পুরোনো। সাতের দশকেই সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলার ইতিহাস রচিত হয়েছিল। বছরের পর বছর বহু ছাত্রছাত্রী ' গেরুয়া' রোব পরবে না বলে বা উপনিষদের বাণী আওরাবে না বলে কনভোকেশান না নেওয়ার মত ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ করেছে। লাগাতার আন্দোলন করে, এমনকি বামজমানার প্রবল দমনপীড়নের ভয়ানক শেষের সেদিনগুলোতেও যারা লড়াই চালিয়ে নিয়ে গিয়ে প্রতিস্পর্ধার একটা space কে বাঁচিয়ে রেখেছে - সে ইতিহাসটা আজ না বলা নিশ্চিতভাবে ধান্দাবাজি। সেই সঙ্গে আজ একজনকে আইকন বানিয়ে হাজারো ছাত্রছাত্রীর বয়কট বা মেডেল-সার্টিফিকেট প্রত্যাহারের গণআন্দোলনকেও সযত্নে এড়িয়ে যাওয়াটাও একই গোত্রের। আর আন্দোলনের সেই স্পেসের ওপর দাঁড়িয়ে আজকের এই সপ্রতিভ প্রতিস্পর্ধা সেই ঐতিহ্যকেই তুলে ধরে, ক্ষমতালোভীদের ঝোপ বুঝে কোপ মারার সুযোগকে নয়।
No comments:
Post a Comment