রাজা চট্টোপাধ্যায়, অতনু দাস ও পল্লব ভট্টাচার্য
প্রতিকূলতার পাহাড় ডিঙিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনায় মাটি কামড়ে লড়াই করেছে বামফ্রন্ট৷ পঞ্চায়েত স্তরের ফলাফলেই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট৷ তৃণমূলের সার্বিক জয় সুনিশ্চিত হলেওজ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জেলায় অন্তত গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নিরঙ্কুশ নয় তৃণমূল৷ শাসকদলকে ইছামতীর জলে ডুবিয়ে ছেড়েছে বসিরহাট লোকসভা৷ জেলার ২০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯৯টি দখলকরতে পেরেছে তৃণমূল৷ উত্খাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা মাথায় নিয়েও বামফ্রন্ট ৫৯টি পঞ্চায়েত দখল করেছে৷ খেল আরও জমিয়ে দিয়েছে 'অমীমাংসিত' ফলাফল৷ ত্রিশঙ্কু ফল হওয়ায় এই জেলায় ৩৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্য ঝুলে আছে৷ গোঁজের মহিমা কী তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শাসকদল৷ তবে এই জেলায় সব থেকে বড় 'লুজার' কংগ্রেস৷ উত্তর ২৪ পরগনায় কংগ্রেসের যেটুকু নামগন্ধ ছিল তা-ও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে৷ এমনকী দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে হাতের মুঠোয় ধরে রাখা বাদুড়িয়াতেও দাঁত ফোটাতে পারেনি কংগ্রেস৷ আট বারের বিধায়ক আবদুল গফ্ফরের এলাকায় মাত্র একটি পঞ্চায়েত হাতে এসেছে কংগ্রেসের৷
উত্তর ২৪ পরগনায় শাসক দলের ভোট মেশিনারি পরিচালনার মূল নায়ক খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁর নিজের এলাকা হাবড়াতেই একাধিপত্য ধরে রাখতে ব্যর্থ৷ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ৪০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন৷ অথচ পঞ্চায়েতে হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের ৭ টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনে জিতে গিয়েছে বামেরা৷ আবার হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে মোট ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে মাত্র দু'টি৷ দু'টি দখল করেছে বামেরা এবং দু'টিতে ত্রিশঙ্কু অবস্থা৷ স্বরূপনগরেও ১০টির মধ্যে ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বামেরা৷
কিন্ত্ত বসিরহাট এবং হাবড়ার ক্ষতি ব্যারাকপুর মহকুমায় কিছুটা পুষিয়ে দিয়েছে তৃণমূল৷ তড়িত্বরণ তোপদারের একদা খাসতালুক ব্যারাকপুর ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটি দখল করেছে তৃণমূল৷ ঠিক তেমনি শাসনেও দীর্ঘ চার দশক পর সিপিএম ধুয়েমুছে সাফ৷ এই পঞ্চায়েতের ২২ টি আসনের ১১টিতে ভোটের আগেই জিতে গিয়েছিল তৃণমূল৷ অবশিষ্ট ১১টি আসনও গণনার দিন ছিনিয়ে নিয়েছে শাসকদল৷ দেগঙ্গা, বসিরহাট স্বরূপনগরে সংখ্যালঘু ভোটারদের একাংশ তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ কারণ যে সমস্ত জায়গায় দল খারাপ ফল করেছে সেখানে সংখ্যালঘু ভোটারদেরই আধিক্য৷ বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামকে এ নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে৷
প্রতিকূলতার পাহাড় ডিঙিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনায় মাটি কামড়ে লড়াই করেছে বামফ্রন্ট৷ পঞ্চায়েত স্তরের ফলাফলেই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট৷ তৃণমূলের সার্বিক জয় সুনিশ্চিত হলেওজ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জেলায় অন্তত গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নিরঙ্কুশ নয় তৃণমূল৷ শাসকদলকে ইছামতীর জলে ডুবিয়ে ছেড়েছে বসিরহাট লোকসভা৷ জেলার ২০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯৯টি দখলকরতে পেরেছে তৃণমূল৷ উত্খাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা মাথায় নিয়েও বামফ্রন্ট ৫৯টি পঞ্চায়েত দখল করেছে৷ খেল আরও জমিয়ে দিয়েছে 'অমীমাংসিত' ফলাফল৷ ত্রিশঙ্কু ফল হওয়ায় এই জেলায় ৩৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্য ঝুলে আছে৷ গোঁজের মহিমা কী তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শাসকদল৷ তবে এই জেলায় সব থেকে বড় 'লুজার' কংগ্রেস৷ উত্তর ২৪ পরগনায় কংগ্রেসের যেটুকু নামগন্ধ ছিল তা-ও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে৷ এমনকী দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে হাতের মুঠোয় ধরে রাখা বাদুড়িয়াতেও দাঁত ফোটাতে পারেনি কংগ্রেস৷ আট বারের বিধায়ক আবদুল গফ্ফরের এলাকায় মাত্র একটি পঞ্চায়েত হাতে এসেছে কংগ্রেসের৷
উত্তর ২৪ পরগনায় শাসক দলের ভোট মেশিনারি পরিচালনার মূল নায়ক খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁর নিজের এলাকা হাবড়াতেই একাধিপত্য ধরে রাখতে ব্যর্থ৷ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ৪০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন৷ অথচ পঞ্চায়েতে হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের ৭ টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনে জিতে গিয়েছে বামেরা৷ আবার হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে মোট ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে মাত্র দু'টি৷ দু'টি দখল করেছে বামেরা এবং দু'টিতে ত্রিশঙ্কু অবস্থা৷ স্বরূপনগরেও ১০টির মধ্যে ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বামেরা৷
কিন্ত্ত বসিরহাট এবং হাবড়ার ক্ষতি ব্যারাকপুর মহকুমায় কিছুটা পুষিয়ে দিয়েছে তৃণমূল৷ তড়িত্বরণ তোপদারের একদা খাসতালুক ব্যারাকপুর ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটি দখল করেছে তৃণমূল৷ ঠিক তেমনি শাসনেও দীর্ঘ চার দশক পর সিপিএম ধুয়েমুছে সাফ৷ এই পঞ্চায়েতের ২২ টি আসনের ১১টিতে ভোটের আগেই জিতে গিয়েছিল তৃণমূল৷ অবশিষ্ট ১১টি আসনও গণনার দিন ছিনিয়ে নিয়েছে শাসকদল৷ দেগঙ্গা, বসিরহাট স্বরূপনগরে সংখ্যালঘু ভোটারদের একাংশ তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ কারণ যে সমস্ত জায়গায় দল খারাপ ফল করেছে সেখানে সংখ্যালঘু ভোটারদেরই আধিক্য৷ বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামকে এ নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে৷
No comments:
Post a Comment