কলকাতা: গ্রামবাংলায় ঘাসফুলের দাপট দেখাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটের ফল। ঝড়ের গতিতে একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জিতছেন বা জেতার পথে এগিয়ে চলেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।সন্ধ্যা পর্যন্ত ফলাফলের যে গতিপ্রকৃতি দেখা যাচ্ছে, তাতে ১৭টি জেলার মধ্যে ১৩টিতেই বিরোধীদের অনেক পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। দক্ষিণবঙ্গ নিরঙ্কুশ দখলের পথে তৃণমূল৷ তারা এগিয়ে রয়েছে সিংহভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতে৷ তাদের দখলে বীরভূম, নদিয়া, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর৷ সন্ধ্যা সাড়ে ছটা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল জিতেছে ৯০০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন৷ বামেরা পেয়েছে ৩৪০টি আসন৷ কংগ্রেস জিতেছে ২১৮টি আসনে, বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৬টি আসনে, অন্যান্যরা পেয়েছেন ২০টি আসন৷ কিছু কিছু পঞ্চায়েত সমিতির আসনের ফলও জানা গিয়েছে৷এ পর্যন্ত তৃণমূল ১২টি পঞ্চায়েত সমিতি পেয়েছে৷ মুর্শিদাবাদ বাদে গোটা দক্ষিণবঙ্গে জয়জয়কার শাসক দলের৷ দক্ষিণবঙ্গের ১১টি জেলার ১০টিতে তারা একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছে৷ এককালের দূর্গ হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় নিশ্চিহ্ন সিপিএম৷ পূর্ব মেদিনীপুরেও তাই৷ তবে তাদের ফল ভাল হয়েছে মালদায় ৷ সেখানে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে৷ চলছে বাম-কংগ্রেস জোর লড়াই৷ কংগ্রেসের দখলে ৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েত৷ বামেদের ৪০টি৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বামেদের ভাল ফল হয়েছে৷ তাদের দখলে গিয়েছে ডায়মন্ডবার, মথুরাপুর, রায়দিঘি৷ এসইউসির হাতছাড়া হয়েছে কুলতলি, জয়নগর৷ উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে বামেদের দাপট৷ ভাল ফল হাসনাবাদেও৷ আমডাঙা দখলে নিল তৃণমূল৷ জোর লড়াই মুর্শিদাবাদেও জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরে এগিয়ে সিপিএম৷ একমাত্র মুর্শিদাবাদ বাদে কংগ্রেসের ফল ভালো হয়নি কোথাও৷
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সব মিলিয়ে দুবছরের শাসনে গ্রামবাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি জনসমর্থনে যে ভাঁটা পড়েনি, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে সেই ইঙ্গিত-ই রয়েছে৷ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ার পর একলা চলো নীতি নিয়ে তিনি যে সফল, সেটাও প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলে তাঁরা মনে করছেন৷
তবে এবারের ভোটের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক বিতর্কিত বা রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা কেন্দ্রগুলির ফলাফল।যেমন, বীরভূমের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়েছে তৃণমূলের দখলে৷সেখানে গুলিচালনার ইস্যুতে প্রতিবাদী কমিটি ভোটে দাঁড়ালেও তৃণমূলের কাছে হেরেছে। আবার বীরভূমে বিতর্কিত অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকে তিনটিতে জয়ী নির্দলেরা। নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষ হেরেছেন কিন্তু অন্যরা জিতেছেন৷ অর্থাত যাঁদের বিরুদ্ধে তিনি হুমকি দিয়ে তিনি শিরোনামে এসেছেন, তাঁরাই সফল হলেন। আবার ধনেখালির সোমসপুর ১-এ জয়ী মৃত তৃণমূলকর্মী কাজী নাসিরুদ্দিনের স্ত্রী মানুজা বিবি৷ সুটিয়ায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ সিঙ্গুরে ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৫টিতে এগিয়ে তৃণমূল৷
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সব মিলিয়ে দুবছরের শাসনে গ্রামবাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি জনসমর্থনে যে ভাঁটা পড়েনি, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে সেই ইঙ্গিত-ই রয়েছে৷ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ার পর একলা চলো নীতি নিয়ে তিনি যে সফল, সেটাও প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলে তাঁরা মনে করছেন৷
তবে এবারের ভোটের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক বিতর্কিত বা রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা কেন্দ্রগুলির ফলাফল।যেমন, বীরভূমের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়েছে তৃণমূলের দখলে৷সেখানে গুলিচালনার ইস্যুতে প্রতিবাদী কমিটি ভোটে দাঁড়ালেও তৃণমূলের কাছে হেরেছে। আবার বীরভূমে বিতর্কিত অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকে তিনটিতে জয়ী নির্দলেরা। নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষ হেরেছেন কিন্তু অন্যরা জিতেছেন৷ অর্থাত যাঁদের বিরুদ্ধে তিনি হুমকি দিয়ে তিনি শিরোনামে এসেছেন, তাঁরাই সফল হলেন। আবার ধনেখালির সোমসপুর ১-এ জয়ী মৃত তৃণমূলকর্মী কাজী নাসিরুদ্দিনের স্ত্রী মানুজা বিবি৷ সুটিয়ায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ সিঙ্গুরে ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৫টিতে এগিয়ে তৃণমূল৷
No comments:
Post a Comment