সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়
বিমল গুরুংকে বাদ দিয়েই পাহাড় শাসনের রাস্তা খুলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
রাজ্য সরকার 'রিমুভাল অফ ডিফিকালটিস অ্যাক্ট'-এর সুযোগ নিয়ে জিটিএ আইনের বিধি বদল করার প্রস্ত্ততি নিচ্ছে৷ ফলে নির্বাচিত সদস্যদের বদলে মনোনীত সদস্যকেও রাজ্য সরকার জিটিএ প্রধান করতে পারবে৷ জিটিএ আইনটি নতুন, তাই দু'বছরের মধ্যে 'রিমুভাল অফ ডিফিকালটিস অ্যাক্ট'কে হাতিয়ার করে বিধানসভার দ্বারস্থ না হয়েই জিটিএ-র বিধি সংশোধন করা সম্ভব৷ ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচনের জন্য ডাকা জিটিএ বৈঠক ভেস্তে গেলেই রাজ্য সরকার পাহাড় শাসনে এই পথে পা বাড়াবে বলে মহাকরণ সূত্রের খবর৷ রাজ্যেরস্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'পাহাড়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে৷ জিটিএ আইনের সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ধৃত মোর্চা কাউন্সিলরদের জামিন আদালত দেবে৷ সরকারের বা প্রশাসনের এব্যাপারে কী বলার আছে৷' প্রসঙ্গত, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দাবি, জিটিএ সদস্যদের মুক্তি না দিলে তারা প্রধান নির্বাচনে অংশ নেবে না৷
বিমল গুরুং গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) প্রধান থেকে পদত্যাগ করেছেন গত ৩০ জুলাই৷ আইনমাফিক এর পর থেকে ৬০ দিনের মধ্যে জিটিএর নতুন প্রধান নির্বাচন করতে হবে৷ কিন্ত্ত মোর্চা নেতৃত্ব আর জিটিএতে আগ্রহী নন৷ বরং তাঁরা গোর্খাল্যান্ড দাবিকে সামনে রেখে নতুন করে আন্দোলনের নামে পাহাড়কে অশান্ত করার খেলায় মেতেছে৷ তাই গত ৪ সেপ্টেম্বর নতুন প্রধান নির্বাচনের জন্য রাজ্য সরকার জিটিএর বৈঠক ডাকলেও মোর্চা নেতৃত্ব তাদের ধৃত কাউন্সিলারদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে তা বয়কট করেন৷ এরপর রাজ্য সরকার ফের ২৭ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচনের জন্য জিটিএর বৈঠক ডেকেছে৷ এখনও পর্যন্ত মোর্চা নেতৃত্বের যা মনোভাব, তাতে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পাহাড়ে বন্্ধ প্রত্যাহার হলেও প্রধান নির্বাচনের জন্য জিটিএর ডাকা বৈঠকে তাঁরা যোগ দেবেন না৷ এই মনোভাব জিটিএতে একটা আইনি সঙ্কট তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ বর্তমান আইনে দু'মাসের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচন না হলে প্রশাসক নিয়োগ করে সরকারকে ছ'মাসের মধ্যে আবার জিটিএর নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে৷
বর্তমান আইনে বলা রয়েছে, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে প্রধান নির্বাচন করতে হবে৷ যেহেতু মোর্চা সদস্যরা সহযোগিতা করছেন না, তাই রাজ্য সরকার বিধির বদল ঘটিয়ে মনোনীত সদস্যদের মধ্যে থেকেই প্রধান নির্বাচন করবে৷ প্রধান নির্বাচনের বৈঠক ভেস্তে গেলেই রাজ্য সরকার এইভাবেই পাহাড় শাসেনর পথ বেছে নেবে৷ লক্ষ্য, জিটিএকে রক্ষা করা৷ এজন্য বিধানসভার দ্বারস্থ হতে হবে না সরকারকে৷ প্রশাসনিক নির্দেশ বলেই এটা করা সম্ভব৷
http://eisamay.indiatimes.com/state/mamata-plans-to-overtake-GTA/articleshow/22827035.cms
No comments:
Post a Comment