| ওবিসি তালিকা নিয়ে চলছে মহা ঘোট ঃ ভারতীয় সংবিধান অনুসারে অনগ্রসর জাতি সমূহের সংজ্ঞায় অনুসূচীত জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর জাতি স্থান পেয়েছে। কিন্তু সরকার অনুসূচীত জাতি ও জনজাতিদের কিছু ক্ষেত্রে সংরক্ষণ স্বীকার করলেও ওবিসিদের ক্ষেত্রে প্রায় কিছুই ব্যবস্থা করেনি। যদিও সংবিধানের ১৬(৪) অনুচ্ছেদ অনুসারে পিছিয়ে পড়া জাতিসমূহ মানে অনুসূচীত জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর জাতিকেই বোঝায়। তথাকথিত স্বাধীনতার পর ৬৪ বছর কেটে গেলেও সরকার এবিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেনি; বরং সযত্নে এড়িয়ে চলেছে। অথচ আমরা জানি যে সার্বিক ভাগিদারী না হলে ভারত কখনোই আদর্শ গণতন্ত্রে উন্নিত হতে পারবেনা। মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে ভারতবর্ষের ওবিসি সংখ্যা ৫২%। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ভাগীদারতে এই ক্যাটেগরির মানুষ একেবারে তলানিতে পড়ে আছে। তাদের হাতে আছে মাত্র ২% জমি, ৩.৫% ব্যবসা, ৫% চাকরী ৮% রাজনীতি। অর্থাৎ ওবিসি ক্যাটেগোরির মানুষেরা তাদের পাওনা ন্যয্য পাওনা ৫০% জমি, ৪৯.৫% ব্যবসা, ৪৭% সরকারি চাকরি ও ৪৪% রাজনৈতিক ভাগিদারী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই সমস্ত সুযোগই কেড়ে নিচ্ছে জেনেরেল ক্যাটেগরি ভুক্ত মাত্র ১৫% মানুষ ( ৩.৫% ব্রাহ্মন, ৫.৫% ক্ষত্রিয় এবং ৬% বৈশ্য )। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা আরো সঙ্গিন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তো বলেই দিয়েছিলেন এখানে ওবিসি টোবিসি নেই। বুদ্ধ ভট্টাচার্যের সময় পর্যন্ত সরকারী ভাবে মাত্র ৭% স্বীকার করা হয়েছিল। শেষের দিকে তা এসে ১৬% দাঁড়ায়। মুসলিমদের ওবিসি তালিকায় এনে আরো ১০% বাড়ানো হয়। বর্তমানে ১৪৪টি জাতিকে ওবিসি তালিকায় সংযোজিত করলেও লোক সংখ্যার নিরিখে কত শতাংশ হবে তা ধোঁয়াশায় ঢাকা রাখা হয়েছে। একই ভাবে ধোঁয়াশা রাখা হয়েছে কত শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় আসবে। |
No comments:
Post a Comment